ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কে গাছ ফেলে দুই মাসে ৬টি ডাকাতি

মীর মো. আব্দুল কাদির, হবিগঞ্জ

মীর মো. আব্দুল কাদির, হবিগঞ্জ

এপ্রিল ৩, ২০২৫, ১০:৩৮ পিএম

ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কে গাছ ফেলে দুই মাসে ৬টি ডাকাতি

হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার মিরপুর-শ্রীমঙ্গল সড়ক ক্রমেই অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কে গাছ ফেলে গত দুই মাসে ছোট-বড় অন্তত ৬টি ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। মুছাই পাহাড়ের লেবু, আনারস, চা ও রাবার বাগান ঘেরা এই আঞ্চলিক মহাসড়কটি নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে, যদিও এখানে বাহুবল থানার অধীনে কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ি এবং অপর প্রান্তে শ্রীমঙ্গল উপজেলার লছনায় সাতগাঁও হাইওয়ে থানার অবস্থান রয়েছে।

অতীতে এই সড়কটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে দুটি পুলিশ ফাঁড়ি থাকলেও বর্তমানে সড়কটি অরক্ষিত হয়ে পড়েছে। ফলে আশপাশের বাসিন্দা এবং সড়ক দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের শ্রমিক ও যাত্রী সাধারণ চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।

ঘনঘন ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি, যার কারণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পুলিশের প্রতি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।

অভিযোগ উঠেছে, ডাকাতির খবর জানালেও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বিলম্ব করে, যার ফলে ডাকাতরা নিরাপদে পালিয়ে যায়। লছনা হাইওয়ে পুলিশ পাহাড়ের ভিতরে টহল দেওয়ার কথা থাকলেও তারা মিরপুর চৌমুহনায় চায়ের আড্ডায় মগ্ন থাকেন, অথচ লছনা থেকে কামাইছড়া পর্যন্ত সড়কটি প্রায় ৪ কিলোমিটার এবং কামাইছড়া থেকে মিরপুর ৬ কিলোমিটার দূরে।

সর্বশেষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে ১ এপ্রিল দিবাগত রাত ১টায়। কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ২০০ গজ দূরে মিরপুর-শ্রীমঙ্গল সড়কের ফিনলে চা বাগানের ভিতরে ১০-১২ জনের একটি ডাকাত দল গাছ ফেলে যানবাহন আটকিয়ে লুটতরাজ চালায়। সশস্ত্র ডাকাতরা দুটি প্রাইভেটকার ও রুপসী বাংলা বাসের স্টাফ ও যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোনসহ মালামাল নিয়ে যায়।

এক ঘণ্টা ধরে চলা ডাকাতির সময় হবিগঞ্জ সিলেট বিরতিহীন এবং ঢাকা সিলেট রুটের শ্যামলী ও হানিফ বাসে ডাকাতরা হানা না দেওয়ায় অনেকের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ডাকাতরা কামাইছড়া লামাবাজার ক্রস করে রশিদপুরের দিকে চলে গেলেও পুলিশ তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়নি।

এদিকে, ফিনলে চা বাগানের বাবু আব্দুস সালামের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। রাতের আঁধারে তার অধীনে চা বাগানে কর্মরত পাহারাদাররা স্থানীয় অনেক ডাকতকে চিনলেও তিনি তাদের তথ্য দিতে গড়িমসি করেন।

কামাইছড়া এলাকার বাসিন্দা মাসুক মিয়া জানান, কামাইছড়া থেকে মুছাই পর্যন্ত পাহাড়ি এলাকা হওয়ায় ডাকাতদের সেফ জোন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। তিনি বলেন, এক মাসের ব্যবধানে তিনবার এই সড়কে ডাকাতি হয়েছে।

বড়গাঁও গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম জানান, বাহুবল ও চুনারুঘাট থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালালে অনেক ডাকাতকে আটক করা সম্ভব হবে।

এ বিষয়ে সাতগাঁও হাইওয়ে থানার ওসি সাইফুর রহমান বলেন, "ডাকাতির খবর পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ডাকাতরা পালিয়ে যায়।" তিনি আরও বলেন, "চুনারুঘাটের রানীগাঁও এবং আশেপাশের কিছু চোর-ডাকাত এই ডাকাতি ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।"

কামাইছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই এখলাছুর রহমানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ব্যস্ততার কথা জানিয়ে পরে কথা বলবেন বলে লাইন কেটে দেন।

ইএইচ

Link copied!