আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
আখাউড়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি:
এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ১১:৪৩ এএম
সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, সীমান্তে গরু পাচার, বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগ রয়েছে, এসব অনিয়ম ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে একটি চিঠি পাঠিয়েছে দুদক।
দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে উপ-সহকারী পরিচালক মো. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে বলা হয়, রাশেদুল কাউছার, তাঁর স্ত্রী লুৎফুন নাহার এবং ঘনিষ্ঠ সহযোগী আওয়ামী লীগ নেতা উত্তম কুমার চক্রবর্তী ও তাঁর স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরী চক্রবর্তীর নামে থাকা স্থাবর সম্পদের তথ্য আগামী ৫ মে’র মধ্যে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে।
দুদকের চিঠিতে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানের স্বার্থে সংশ্লিষ্টদের সম্পত্তির সঠিক তথ্য যাচাই জরুরি।
জানা গেছে, কসবার নয়নপুর গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়া কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি একাধিক বিস্ফোরক মামলা ও বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় কারাগারে আছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়ার নামে ঢাকায় ও নিজ গ্রাম নয়নপুরে রয়েছে একাধিক বিলাসবহুল বাড়ি। সরকারি জমিতে অবৈধভাবে মার্কেট নির্মাণসহ নানা অভিযোগ নিয়েও রয়েছে সমালোচনা।
আখাউড়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে তাঁর ও পরিবারের সদস্যদের জমি-জমা ও স্থাবর সম্পদের তথ্য চাওয়া হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ডাকযোগে চিঠিটি পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে আখাউড়া সাব-রেজিস্টার কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা দুদকের চিঠি পেয়েছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হবে।’
এদিকে স্থানীয় রাজনীতিতেও বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। অভিযোগের বিষয়ে রাশেদুল কাউছার ভূঁইয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁরা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দুদকের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, অনুসন্ধান প্রাথমিক পর্যায়ে থাকলেও প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্যাপক অস্বচ্ছতার আভাস মিলেছে। প্রয়োজন হলে আরও সরকারি দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে তথ্য চাওয়া হবে।
বিআরইউ