অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি:
জুলাই ২৪, ২০২৫, ০৫:৪৬ পিএম
সরকারি খালে নেট-পাটা ও বিভিন্ন ধরনের জাল বসিয়ে পানিপ্রবাহে বাধা সৃষ্টি করলে জেল–জরিমানা কিংবা মামলা—যেকোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। যশোরের অভয়নগরে এমনই হুঁশিয়ারি দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) থেকে উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে এ বিষয়ে মাইকিং শুরু হয়েছে।
উপজেলা সমন্বিত পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির নিয়মিত সভা থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জানানো হয়, খালে মাছ ধরার জন্য বসানো জাল ও নেট-পাটার কারণে সুন্দলী, চলিশিয়া, পায়রা, শুভরাড়া ও সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কমিটির সভাপতি পার্থ প্রতিম শীল বলেন, ‘এক শ্রেণির মানুষ খালে জাল বসিয়ে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করছেন। এতে খালের পানি আটকে জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে কৃষি ও জনজীবন মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, নিজ উদ্যোগে খাল থেকে এসব প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করতে হবে। নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন, মৎস্য কর্মকর্তা আমিনুল হক, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান সানা আব্দুল মান্নান, জহুরুল ইসলাম, বিকাশ রায় কপিল এবং বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিরা।
সভার আয়োজন করে, সলিডারিডাড নেটওয়ার্ক এশিয়া ও জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন। সভায় প্রকল্পের নীতিমালা ও উদ্দেশ্য তুলে ধরেন সলিডারিডাডের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার কৃষিবিদ ড. এস এম ফেরদৌস এবং প্রোগ্রাম অফিসার শেখ মনিরুল ইসলাম।
বিআরইউ