ক্রীড়া ডেস্ক
জুলাই ২৪, ২০২৫, ১০:১৪ পিএম
ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। আজ মিরপুরে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে লক্ষ্য ছিল প্রতিপক্ষকে ধবলধোলাই করা। তবে সে আশা পূরণ হয়নি লাল-সবুজদের। ১৭৯ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। মাত্র ৪১ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে এক পর্যায়ে টি–টোয়েন্টিতে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন স্কোরে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় ছিল লিটন দাসের দল। তবে শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের লড়াকু ইনিংসে লজ্জা কিছুটা এড়ায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ১০৪ রানে অলআউট হয়ে ৭৪ রানে হারে স্বাগতিকরা।
তবে এ হার সত্ত্বেও সিরিজ ২–১ ব্যবধানে নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কলকাতার ইডেন গার্ডেনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ৭০ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ, যা এখনো দলটির সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। আজ দ্রুত ৭ উইকেট হারানোয় সেই রেকর্ড নতুন করে লেখার শঙ্কা জাগে। তবে সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে ৩৫ রানের প্রতিরোধী ইনিংস খেলে দলকে বড় লজ্জা থেকে বাঁচান।
১৭৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই কট বিহাইন্ড হন তানজিদ হাসান তামিম। এরপর একে একে ফিরে যান লিটন দাস (৮), মেহেদী হাসান মিরাজ (৯), জাকের আলী (১), শেখ মেহেদী (০), শামীম হোসেন (৫) ও মোহাম্মদ নাইম (১০)। দলের প্রথম সাত ব্যাটারের মধ্যে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল নাইম শেখ।
শেষ দিকে কিছুটা লড়াই করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার ইনিংসে ছিল ২টি ছক্কা ও ২টি চারের মার। তবে তার সংগ্রাম শুধু হার কমিয়েছে, জয় এনে দিতে পারেনি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা পায় পাকিস্তান। একাদশে সুযোগ পেয়েই নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দেন ওপেনার শাহিবজাদা ফারহান। সাইম আইয়ুবকে সঙ্গে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে যোগ করেন ৮২ রান। এর মধ্যে ১৫ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাইম।
অন্যদিকে ফারহান ২৯ বলে ফিফটি তুলে নেন এবং শেষ পর্যন্ত ৪১ বলে ৬৩ রান করেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৫টি ছয়। তিনিও আউট হন নাসুম আহমেদের বলে। এরপর মোহাম্মদ হারিসকে ফিরিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ।
শেষ দিকে দ্রুত রান তোলেন হাসান নওয়াজ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ। হাসান করেন ১৭ বলে ৩৩ রান এবং নাওয়াজ খেলেন ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ১৭৮ রান।
বাংলাদেশের পক্ষে তাসকিন আহমেদ নেন ৩টি উইকেট, নাসুম আহমেদ ২টি এবং শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন নেন একটি করে উইকেট।