চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
মে ৫, ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি
মে ৫, ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
চরফ্যাশনে সম্প্রতি নিজের বিরুদ্ধে উঠা এক নারীর অভিযোগের বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাইফুল্লাহ মানসুর নামের এক ব্যবসায়ী।
সোমবার শশীভূষণে নিজ বাসায় তিনি সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত শুক্রবার বিকালে আমার দূর সম্পর্কের মামাতো বোন দাবি করেন যে তাকে আমি বিয়ে করেছি, যার পক্ষে তিনি কোন প্রমাণ দেখাতে পারেন নি। মূলত তার বাবা আমাদের আত্মীয় হওয়াতে তাদের বাড়িতে ছোটবেলায় আমার যাতায়াত ছিল। আমি বরিশাল পড়াশুনা করায় দীর্ঘসময় তাদের সাথে আমার যোগাযোগ ছিল না। প্রায় ১০ বছর আগে আমার পিতার মৃত্যুর পর আমি পরিবারের একমাত্র ছেলে হওয়ায় শশীভূষণ বাজারে ব্যবসা শুরু করি। সে আমার মামাতো বোন পরিচয়ে পারিবারিক বিভিন্ন প্রয়োজনে মাঝে মাঝে আমার সাথে মোবাইলে কথা বলতো। শুনেছি আগে এক জায়গায় তার বিবাহ হয়েছিল, যা স্থায়ী হয়নি। এরই মধ্যে তার মোবাইল নাম্বার থেকে আমার মোবাইলে বিকাশে বিশ হাজার টাকা আসে, এবং সেই মামাতো বোন আমাকে ফোনে জানায়, সে ঢাকায় একটি চাকরি করে, তার মোবাইল চুরি হয়ে গেছে, যাতে টাকা না হারিয়ে যায়, তাই আমার বিকাশে টাকা রেখেছে, পরবর্তীতে টাকা গুলো বিভিন্ন সময় আমার কাছ থেকে সে চেয়ে নেয়। এভাবে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম্বারে আমার বিকাশে সে টাকা সেন্ড করে, আবার তার প্রয়োজনে সে চেয়ে নেয়। বিভিন্ন মাধ্যমে সে তার বক্তব্যে দাবি করছে যে আমি নাকি তাকে বিয়ে করে, ঢাকায় ঘর ভাড়া করে রেখেছি, এবং বিভিন্ন সময়ে তার খরচ বাবদ টাকা দিয়েছি। যা মূলত ভিত্তিহীন।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, আমি যদি তাকে খরচ বাবদ ঢাকায় টাকা পাঠাতাম, তাহলে উলটো সে কেন তার মোবাইল থেকে আমার নাম্বারে বিকাশে টাকা পাঠালো? এখন আমার কাছে মনে হচ্ছে, এমন একটি মিথ্যা অভিযোগকে ডকুমেন্ট আকারে প্রতিষ্ঠিত করতেই আমার এই মামাতো বোন আমার নাম্বারে মিথ্যা কথা বলে টাকা পাঠায় এবং বিভিন্ন সময়ে তার প্রয়োজনে আমার কাছ থেকে চেয়ে নেয়। যা সে মিথ্যা স্টেটমেন্ট আকারে দেখিয়ে বিভ্রান্ত করছে।
সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী সাইফুল্লাহ মানসুরের মা জানান, আমার স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে সাইফুল্লাহ মানসুর সংসারের হাল ধরে, গত শুক্রবার আমার দূর সম্পর্কের ভাতিজি কোন প্রমাণ ছাড়াই আমার এতিম সন্তানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। তিনি অনুরোধ করে জানান, আমরা আইনের আশ্রয় গ্রহণ করেছি, তাকেও বলেছি আমার ছেলে আইনের চোখে অপরাধী প্রমাণিত হওয়ার আগে, কোন ডকুমেন্ট ছাড়া আমার ছেলের বিরুদ্ধে যেন এভাবে অভিযোগগুলো না ছড়ায়।
শশীভূষণ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জানান, ১০ দিনের মধ্যে উভয় পরিবারকে বিষয়টি সমাধান করতে বলেছি, তা না হলে তারা আইনের দ্বারস্থ হয়ে বিষয়টি সমাধান করতে পারেন।
আরএস