Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫,

থানার সামনে এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর কাড়াকাড়ি

মাসুদ রানা, ধামরাই (ঢাকা)

মাসুদ রানা, ধামরাই (ঢাকা)

মে ১৪, ২০২৫, ১২:১৪ এএম


থানার সামনে এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর কাড়াকাড়ি

ঢাকার ধামরাইয়ে এক নারীকে কেন্দ্র করে দুই পুরুষের টানাহেঁচড়ার ঘটনা ঘটেছে। দুইজনই দাবি করছেন, ওই নারী তাদের স্ত্রী। এ নিয়ে ধামরাই থানার সামনে সৃষ্টি হয় চরম হট্টগোল ও ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

পুলিশ জানায়, পটুয়াখালী জেলা সদরের স্কুলশিক্ষক মো. সুলতান উদ্দিনের ছেলে শিক্ষক মো. অলিউল্লাহ প্রায় ১৫ বছর আগে ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের শোলধন এলাকার এক নারীকে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের কোনো সন্তান হয়নি।

কিছুদিন আগে ওই নারীর সঙ্গে জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার শহিদুর রহমান নামে এক যুবকের ফেসবুকে পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারী অলিউল্লাহর ঘর ছেড়ে দুইবার শহিদুরের সঙ্গে পালিয়ে যান। প্রতিবারই অলিউল্লাহ তাকে ফিরিয়ে আনেন।

এক সপ্তাহ আগে আবারও তিনি ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। কোনো খোঁজ না পেয়ে অলিউল্লাহ ধামরাই থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। সেই ডায়েরির ভিত্তিতে এসআই মো. আব্দুর রহমান মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে মঙ্গলবার ওই নারীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। থানার সামনে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে শুরু হয় টানাহেঁচড়া ও বাকবিতণ্ডা।

পরে এসআই আব্দুর রহমান উভয় পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। জিডির সূত্র ধরে ওই নারীকে প্রথম স্বামী অলিউল্লাহর জিম্মায় দেওয়া হয়।

এদিকে, নারীটির ভাষ্য, তিনি প্রথম স্বামীর ঘর করতে চান না। 

তিনি বলেন, “আমার ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনে সন্তান হয়নি। আমি মা হতে চাই। শহিদুর রহমানকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করেছি। আমাকে জোর করে অলিউল্লাহর ঘরে পাঠানো হলে আমি আত্মহত্যা করব।”

দ্বিতীয় স্বামী শহিদুর রহমান বলেন, “আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে থাকতে চায়। তাকে জোর করে ফেরত পাঠাবেন না। আমি আপনাদের কাছে তার জীবনের ভিক্ষা চাই।”

অন্যদিকে, প্রথম স্বামী অলিউল্লাহ বলেন, “আমি সবসময় তাকে সম্মান দিয়েছি, কখনো কষ্ট দিইনি। এবারও আমি তাকে স্ত্রী হিসেবে ঘরে ফিরিয়ে নিতে চাই।”

এসআই মো. আব্দুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন, “প্রথম স্বামীর করা জিডির ভিত্তিতে গৃহবধূকে উদ্ধার করে তার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

ইএইচ

Link copied!