সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া
মে ১৫, ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম
সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া
মে ১৫, ২০২৫, ০৪:৫৪ পিএম
ভারতের বিভিন্ন কারাগারে দালালের খপ্পরে পড়ে কারাভোগের পর ১১ জন বাংলাদেশি নারী ও পুরুষ দেশে ফিরেছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া-আগরতলা স্থলবন্দর দিয়ে তারা দেশে ফেরেন।
জানা গেছে, বিভিন্ন সময় এসব ব্যক্তি দালালের মাধ্যমে অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে প্রবেশ করেন। পরে সেখানকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে আটক হয়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাবাস করেন। সাজা শেষে পশ্চিম ত্রিপুরার নরসিংগর ক্ষণস্থায়ী আটক কেন্দ্রে রাখা হয় তাদের। পরে ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে প্রত্যাবর্তন করেন।
বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনের সময় আখাউড়া স্থলবন্দরে উপস্থিত ছিলেন আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আলমাস হোসেন, কনসুলার অ্যাসিস্ট্যান্ট ওমর শরীফ, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জি এম রাশেদুল ইসলাম, ইমিগ্রেশন অফিসার আব্দুস সাত্তার, আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন, আইসিপি ক্যাম্প কমান্ডার মো. মুখলেছুর রহমান এবং ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র অফিসার মো. শিহাবুল হোসেন।
দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনদের ফিরে পেয়ে স্থলবন্দরের শূন্যরেখায় আবেগঘন দৃশ্যের সৃষ্টি হয়। স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।
ফেরত আসা ব্যক্তিদের একজন চাপাইনবাবগঞ্জের রুহুল আমিন জানান, “১৪ মাস আগে এক ঠিকাদার কাজের কথা বলে আমাকে ভারতে নিয়ে যায়। ৬ মাস কাজ করার পর পুলিশ আটক করে। এরপর ৬ মাস জেলে ও আড়াই মাস হোমে ছিলাম। দেশে ফিরে আসতে পেরে খুব ভালো লাগছে।”
ফারজানা আক্তারের মা রাবেয়া আক্তার বলেন, “আমার মেয়ে বান্ধবীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে চলে যায়। পরে পুলিশ তাকে আটক করে। আজ মেয়েকে ফিরে পেয়ে খুব স্বস্তি লাগছে।”
ঢাকার নাঈম আলী জানান, তার ভাই দালালের খপ্পরে পড়ে ৮-৯ মাস আগে ভারতে গিয়ে আটকা পড়ে। সেখানে সাজা শেষে অবশেষে সে দেশে ফিরে এসেছে।
ফেরত আসা অন্যান্যরা হলেন: কুমিল্লার ফারজানা আহমেদ নিপা, ফেনীর মো. ইব্রাহিম, বাগেরহাটের হেলাল জমাদ্দার, রাজশাহীর মো. আকরামুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কবীর শেখ, রাহুল শেখ, মো. আশরাফুল হক, সুমন রানা, বদরুল ইসলাম, মো. আব্দুল মান্নান ও মো. রুহুল আমিন।
ভুক্তভোগীরা জানান, দালালদের প্রলোভনে পড়ে তারা দেশ ছাড়েন। এখন তারা ফিরে এসে সবাইকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
ইএইচ