দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
জুন ১৯, ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
জুন ১৯, ২০২৫, ০৪:২৫ পিএম
“দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই”—এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে এবং উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় এ মেলার উদ্বোধন করেন দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অমিত কুমার সাহা।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন—দীঘিনালা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সুমন, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা পরেশ চাকমা, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সুপন চাকমা এবং সিনিয়র সাংবাদিক মো. সোহেল রানা প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে ইউএনও অমিত কুমার সাহা দেশীয় ফলের বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। প্রতিটি স্টলে ফলের দেশীয় নাম, বৈজ্ঞানিক নাম এবং ফলের পুষ্টিগুণ, বিশেষ করে এতে বিদ্যমান ভিটামিনের নাম উল্লেখ করে চিরকুট টাঙানো হয়।
ফলমেলা দেখতে আসা হোসনারা আক্তার বলেন, “আমি এবং আমার ছেলে এখানে এসে অনেক দেশীয় ফল দেখলাম, যেগুলো আগে কখনো দেখিনি। আমার ছেলে দেখে খুব খুশি হয়েছে এবং বলেছে এখন থেকে দেশীয় ফল বেশি খাবে। প্রতিটি ফলের পাশে ফলের নাম ও ভিটামিন সম্পর্কে লেখা থাকায় বিষয়টি আরও তথ্যবহুল হয়েছে।”
দীঘিনালা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান সুমন বলেন, “জাতীয় ফল মেলার মূল উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় জনগণকে দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে সচেতন করা এবং চাষিদের দেশীয় ফলের বাগান করতে উৎসাহিত করা। দেশীয় ফলের প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং এগুলোর চাষ আমাদের পুষ্টি ও অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, “দেশীয় ফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি, দামেও সাশ্রয়ী। বিশেষ করে শিশুদের বেশি করে দেশীয় ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। এই মেলার মাধ্যমে স্থানীয়দের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে এবং ফলের চাষেও আগ্রহ বাড়বে।”
উল্লেখ্য, জাতীয় ফল মেলাটি আগামী ২১ জুন পর্যন্ত চলবে এবং এটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
ইএইচ