পাবনায় স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান ধর্মঘট

নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ, চাকরিতে ১৪তম গ্রেড এবং ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডসহ ছয় দফা দাবিতে পাবনায় অবস্থান ধর্মঘট পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টাব্যাপী পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে এই কর্মসূচি পালিত হয়। বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই কর্মসূচিতে অংশ নেন উপজেলার স্বাস্থ্য সহকারীরা।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন— বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের পাবনা জেলা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মো. ফজলুল হক, সদর উপজেলা সভাপতি কে এম মাহফুজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মো. রইচ উদ্দিন, অর্থ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, সহ-অর্থ সম্পাদক মাহবুব আলমসহ অন্যান্য নেতারা।

বক্তারা বলেন, চার দশক ধরে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে রোগ প্রতিরোধ ও প্রতিকারমূলক স্বাস্থ্যসেবায় কাজ করছি। অথচ পশু চিকিৎসকরা যেখানে ১১তম গ্রেড পান, আমরা এখনো ১৬তম গ্রেডে পড়ে আছি। পদমর্যাদায় আমরা উপেক্ষিত।

তাঁরা অভিযোগ করেন, সাপে কাটা রোগী থেকে শুরু করে টিকাদান কর্মসূচি—সব ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। কিন্তু প্রণোদনা বা প্রাসঙ্গিক উপকরণ তাঁদের হাতে পৌঁছায় না। এই অব্যবস্থার অবসানে দ্রুত দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানান নেতারা।

স্বাস্থ্য সহকারীদের ছয় দফা দাবির মধ্যে রয়েছে:

নিয়োগবিধি সংশোধন করে শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক নির্ধারণ ও ১৪তম গ্রেড প্রদান।
ইন সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ।
পদোন্নতির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে উচ্চতর গ্রেড নিশ্চিতকরণ।
পুরোনো নিয়োগবিধির আওতায় থাকা কর্মীদেরও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্তি।
টাইম স্কেল বা উচ্চতর গ্রেডের হিসাব নতুন গ্রেডে যোগ করে পুনঃনির্ধারণ।
ইতোমধ্যে এসআইটি কোর্স সম্পন্নকারীদের ডিপ্লোমাধারী হিসেবে গণ্য করে সরাসরি ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ।

পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, “স্বাস্থ্য সহকারীরা মাঠ পর্যায়ে অমানুষিক পরিশ্রম করেও ন্যায্য মর্যাদা পাচ্ছেন না। তাঁদের দাবি যৌক্তিক। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন হওয়া উচিত।”

বক্তারা হুঁশিয়ার করে বলেন, প্রস্তাবিত সুপারিশ ও দাবি বাস্তবায়ন না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের দিকে যাব।

বিআরইউ