নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৯, ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৯, ২০২৫, ০৪:৫৬ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নেতা সারোয়ার তুষারের সঙ্গে এক নারীর ফোনালাপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সেটি নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনার ঝড়।
অডিওতে থাকা নারী কণ্ঠটি এনসিপির এক নেত্রীর বলে সামাজিক মাধ্যমে দাবি করা হয়। পরে এনসিপি নেত্রী নীলা ইস্রাফিল নিজেই একটি দীর্ঘ ফেসবুক পোস্টে ওই কথোপকথনটি তার বলেই স্বীকার করেন।
বৃহস্পতিবার দেয়া ফেসবুক পোস্টে নীলা ইস্রাফিল জানান, নেপালে অবস্থানকালে তুষার নিয়মিত তাকে ফোন করতেন এবং সময়ের সাথে তার আলাপচারিতার ধরন পাল্টাতে থাকে।
তুষার তাকে উদ্দেশ করে বলতে থাকেন—“তোমার ছবি দাও”, “তোমার ঠোঁট সুন্দর”, “তোমার স্লোগান, প্রতিবাদী কণ্ঠ আমাকে আকৃষ্ট করে” ইত্যাদি মন্তব্য।
নীলা জানান, এই ধরনের মন্তব্যে তিনি বরাবরই বিব্রত ছিলেন এবং তুষারকে সম্পর্কটি সাংগঠনিক ও আনুষ্ঠানিক (ফর্মাল) রাখার অনুরোধ জানান। তিনি লেখেন, “বাংলাদেশের নতুন রাজনীতি—এনসিপি আমার জীবনের প্রধান অবলম্বন। আমি তুষারকে বলেছি, তার আচরণ সংযত রাখতে এবং একটি ফর্মাল সম্পর্ক বজায় রাখতে।”
রোজার সময় একদিন তুষার তাকে একটি অত্যন্ত আপত্তিকর কথা বলেন, যা আলাপের সীমা অতিক্রম করে। তখন থেকেই নীলা তুষারের সঙ্গে আর যোগাযোগ না রাখার সিদ্ধান্ত নেন। তবে পরে তুষার তাকে জানান, গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তার সঙ্গে কথা বলেছে এবং নীলা সম্পর্কে জানতে চেয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে বিষয়টি আইনি এবং নিরাপত্তাজনিত হতে পারে ভেবে তিনি আলাপটি রেকর্ড করেন।
নীলা জানান, “তুষার আমাকে জানায়, সে ডিবিকে বলেছে আমি তার গার্লফ্রেন্ড—যা নিয়ে আমি তুষারকে প্রশ্ন করি। আমাদের আলাপের মধ্যে তার আপত্তিকর প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা হয়। পুরো আলাপ দেড় ঘণ্টা হলেও আমি এর ৪৭ মিনিট রেকর্ড করি।”
তিনি আরও জানান, বিষয়টি তিনি এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামকে সরাসরি জানান। কোরবানির দিন রাতে এক অনুষ্ঠানে দেখা হলে তিনি নাহিদকে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন। তখন নাহিদ বিষয়টি দলীয় শৃঙ্খলার মধ্যে রেখে সমাধান করার পরামর্শ দেন এবং দলের মহানগর পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ শাহরিয়ার ও নিজামকে জানাতে বলেন। সেই মোতাবেক সন্ধ্যায় বিষয়টি তাদের জানানো হয়।
পরদিন সকালে নীলা দেখতে পান, কথোপকথনের একটি অংশ কেটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে এবং তা ভাইরাল হয়েছে।
নিজেকে নিয়ে হওয়া প্রচার ও সমালোচনার বিষয়ে নীলা বলেন, “দুঃখজনকভাবে আমি দেখতে পেয়েছি, মিডিয়া ট্রায়ালের সময় আমার অনেক নারী সহকর্মীও আমার পক্ষে দাঁড়াননি।”
ইএইচ