দিরাই প্রতিনিধি
জুন ২৯, ২০২৫, ০৬:১১ পিএম
সুনামগঞ্জের দিরাই পৌরসভার ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে রাজস্ব ও উন্নয়ন খাত মিলিয়ে মোট ১৪ কোটি ৩৭ লাখ ৪২ হাজার ৬৯৯ টাকার বাজেট পেশ করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও পৌর প্রশাসক অভিজিৎ সূত্রধর।
বাজেটে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে অবকাঠামো নির্মাণ খাতে, যার পরিমাণ ১০ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
বাজেট ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আয়োজিত উন্মুক্ত বাজেট সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব সরকার।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা প্রকৌশলী ইফতেখার হোসাইন, সমাজসেবা কর্মকর্তা সাকিফ ইশমাম চৌধুরী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মফিজুর ইসলাম খান, জেলা বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর হোসেন, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজান, উপজেলা জামায়াতের সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ দিরাই উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুক্তার হোসেন চৌধুরী, দিরাই বাজার মহাজন সমিতির আহ্বায়ক হাজী নূর মিয়া, আশরাফ আহমেদ, দিরাই প্রেসক্লাব আহ্বায়ক সোয়েব হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান লিটন, পৌর হিসাব কর্মকর্তা আশিষ রায়, প্রধান সহকারী মুহিবুর রহমানসহ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
বাজেট পেশকালে পৌর প্রশাসক অভিজিৎ সূত্রধর বলেন, “আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগসহ সব খাতে উন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। জলাবদ্ধতা নিরসন ও শহরের সৌন্দর্য বর্ধনে ড্রেন নির্মাণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। সম্মানিত নাগরিকদের প্রতি আহ্বান, সময়মতো পৌর কর প্রদান করে সার্বিক উন্নয়ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করুন।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্জীব সরকার বলেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে নতুনভাবে অনেক কিছু সাজাচ্ছে। দিরাই পৌরসভার প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নই আমাদের মূল লক্ষ্য, যাতে নাগরিক সেবার মান উন্নত হয় এবং পৌরসভার উন্নয়ন মডেল হিসেবে গড়ে ওঠে। আপনারা জানেন, গত অর্থবছরের তুলনায় এবার বাজেটের পরিমাণ বেড়েছে। আমরা চাই, প্রতিটি খাত বাস্তবায়ন হোক। পৌরসভার মানুষের চাহিদা অনেক, কিন্তু সক্ষমতা সীমিত। তাই এই বাজেট যেন জনকল্যাণে যথাযথভাবে ব্যয় হয়।”
তিনি আরও বলেন, “পৌরসভার সেবা উন্নত করতে হলে আমাদের সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে এবং কর প্রদানে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সহযোগিতা ছাড়া এ বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
ইএইচ