কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:
জুলাই ২, ২০২৫, ১২:১১ পিএম
কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ার ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়া দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ ২২ ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, দুর্ঘটনার দিনই মারা যায় আরও একজন। একই ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে এলাকা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
বুধবার সকাল ৭টার দিকে ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার টাংগাব ইউনিয়নের বাঁশিয়া এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে দুই শিশুর মরদেহ ভেসে থাকতে দেখেন স্বজনরা। পরে তারা মরদেহ উদ্ধার করেন। নিহতরা হলো কিশোরগঞ্জের চরফরাদি ইউনিয়নের চর আলগী গ্রামের আবির (৭) ও জুবায়েদ (৬)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চরফরাদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান।
চেয়ারম্যান জানান, ভোরে নিহতদের স্বজনরা নৌকা নিয়ে নিখোঁজদের খুঁজতে বের হন। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে নদীর কিনারায় শিশুদের মরদেহ পাওয়া যায়।
এর আগে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দত্তেরবাজার এলাকায় মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে ব্রহ্মপুত্র নদে একটি ছোট নৌকা ডুবে যায়। তখন ঘটনাস্থলেই মারা যায় নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাপলা আক্তার (১৪)। সে একই গ্রামের মাইনুদ্দিনের মেয়ে।
নিহত তিনজনই বিরুই নদীরপাড় দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার সময় ৯ শিক্ষার্থী নদী পার হচ্ছিল। হঠাৎ নৌকাটি দত্তেরবাজার সংলগ্ন এলাকায় এসে ডুবে যায়। ছয়জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বাকিরা নিখোঁজ হয়।
দুর্ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে তল্লাশি চালায়। কিন্তু রাত পেরিয়ে সকালেও খোঁজ মেলেনি দুই শিশুর। পরে স্বজনদের খোঁজাখুঁজিতে তাদের মরদেহ উদ্ধার হয়।
বিআরইউ