তজুমদ্দিন (ভোলা) প্রতিনিধি
জুলাই ২৭, ২০২৫, ০৪:৪০ পিএম
ভোলা জেলার তজুমদ্দিন উপজেলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২০২৫ এক উৎসবমুখর ও প্রাণবন্ত পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর উপজেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে এতো বড় পরিসরের জমায়েতের মধ্য দিয়ে নতুনভাবে সক্রিয় হয়ে উঠেছে বিএনপির তৃণমূল শক্তি।
সম্মেলনের প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ, বীর বিক্রম।
তিনি বলেন, “ধানের শীষ প্রতীক যাকেই দেওয়া হোক না কেন, সবাইকে তার হয়ে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে হবে। তৃণমূলের দায়িত্ব হলো দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করা।”
তিনি আরও বলেন, “দলের ভেতরে কোনো অপশক্তি অনুপ্রবেশ করলে বিএনপিকে কলঙ্কিত হতে হবে। তাই সময় থাকতে এসব ষড়যন্ত্রকারীদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। আমরা দলে এমন কাউকে চাই না, যারা দলের ক্ষতি করে।”
দুর্নীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এক বছরে একজন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান যদি অট্টালিকা নির্মাণ করতে পারে, তাহলে আমি ছয়বার এমপি হয়েও কেন পারিনি? কারণ আমি কখনো দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হইনি, ভবিষ্যতেও হব না ইনশাআল্লাহ।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, “যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে মানুষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে, আমরা তাকে আইনের হাতে তুলে দেবো।”
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সর্বসম্মতিক্রমে গোলাম মোস্তফা মিন্টুকে সভাপতি এবং ওমর আসাদ রিন্টুকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।
সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— প্রধান বক্তা আ ক ম কুদ্দুসুর রহমান সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) বিএনপি, উদ্বোধক নাছের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, সদস্য ও সমন্বয়ক ভোলা জেলা নির্বাহী কমিটি এবং সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি, বিশেষ অতিথি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর সদস্য, নির্বাহী কমিটি ও আহ্বায়ক, বিএনপি ভোলা জেলা শাখা, মোহাম্মদ রাইসল আলম সদস্য সচিব বিএনপি ভোলা জেলা শাখা ও আলহাজ্ব শফিউর রহমান কিরন সিনিয়র আহ্বায়ক বিএনপি ভোলা জেলা শাখা।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা মিন্টু এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব ওমর আসাদ রিন্টু।
উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে আগত হাজারো নেতাকর্মীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে সম্মেলনটি উৎসবমুখর হয়ে ওঠে।
নেতাকর্মীরা জানান, এ সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তৃণমূল সংগঠন আরও সুসংহত হবে এবং আগামীর রাজনৈতিক আন্দোলনে উপজেলা বিএনপি আরও ঐক্যবদ্ধভাবে অংশ নিতে পারবে।
তজুমদ্দিনে বিএনপির এ সম্মেলন প্রমাণ করেছে—তৃণমূলে দল এখনো জীবন্ত, সচল এবং লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত।
ইএইচ