বরিশালে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে সড়কে হাঁটু পানি

বরিশালে প্রবল বর্ষণ ও নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নগরীর বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে গেছে। মাত্র এক ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতেই অনেক এলাকায় হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, কীর্তনখোলা নদীর পানি বর্তমানে বিপদসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে বরিশাল নগরীর নিচু এলাকা ও ড্রেনেজ দুর্বল এলাকা দ্রুতই জলমগ্ন হয়ে পড়ে।

সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বরিশালে ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিছুর রহমান জানিয়েছেন, আগামী দুই-তিন দিন বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে, তবে বৃষ্টির মাত্রা কিছুটা কমে আসবে।

বরিশাল নগরীর কাকলির মোড়, বগুড়া রোড, সদর রোড, ফকির বাড়ি রোড, বটতলা এলাকা, নবগ্রাম রোড, ভাটিখানা ও পলাশপুরের মোহাম্মদপুর এলাকায় বৃষ্টির পানিতে হাঁটাচলার অনুপযোগী পরিস্থিতি তৈরি হয়।

নগরবাসী বলছেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও দুর্বল ড্রেনেজ ব্যবস্থাই এই দুর্ভোগের প্রধান কারণ। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, বছরজুড়েই সামান্য বৃষ্টিতেও রাস্তায় পানি জমে থাকে, কিন্তু কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এদিকে, সমুদ্র বন্দরের জন্য কোনো সতর্কতা সংকেত না থাকায় অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। তবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে নগরীর নিচু এলাকাগুলো আংশিকভাবে প্লাবিত হয়েছে।

বৃষ্টির কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন রিকশাচালক, ফেরিওয়ালাসহ শ্রমজীবী মানুষ। কাজের সুযোগ কমে যাওয়ায় আয়ও কমেছে বলে জানান তারা।

একজন নির্মাণশ্রমিক বলেন, বৃষ্টির কারণে কাজই নেই, পকেটে একটা টাকাও নাই। এমন চলতে থাকলে সংসার চালানো দায় হয়ে যাবে।

বিআরইউ