Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪,

এক বছরে রিজার্ভ কমেছে ২০ বিলিয়ন ডলার

রেদওয়ানুল হক

রেদওয়ানুল হক

ডিসেম্বর ২৫, ২০২২, ০৫:৫০ পিএম


এক বছরে রিজার্ভ কমেছে ২০ বিলিয়ন ডলার

চলতি বছরে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে ভয়াবহ ধস নেমেছে। ফলে নজীরবিহীন আর্থিক সংকটে পড়েছে দেশ। বছরজুড়ে আমদানির আড়ালে বিপুল অর্থপাচারের কারণে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি তৈরী হয়। একই সাথে বড় ধাক্কা আসে রেমিট্যান্স প্রবাহে। এতে দেশে তীব্র ডলার সংকট দেখা দেয়।

ফলস্বরুপ রেকর্ড পতন ঘটে দেশীয় মুদ্রা টাকার দামে; বিপরীতে সীমাহীন বাড়তে থাকে দেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যবহৃত প্রধান মুদ্রা মার্কিন ডলারের দাম। এলসি জটিলতায় পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে শিল্পখাত। অন্যদিকে বাজারে দেখা দেয় আমদানি পণ্যের হাহাকার। সবমিলিয়ে ২০২২ সালে ইতিহাসের এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করেছে দেশের অর্থনীতি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, বছরের শুরুতে (ডিসেম্বর’২১ শেষে) বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৪৬ দশমিক ১৫ বিলিয়ন ডলার। আর বছর শেষে গত বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর’২২) গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩৪ দশমিক শুণ্য ১ বিলিয়ন ডলার।

এছাড়া রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলসহ (ইডিএফ) কয়েকটি খাতে বিনিয়োগ ও ঋণ বাবদ দেয়া হয়েছে আরও ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার। এরমধ্যে ইডিএফ ফান্ডে সরবরাহ করা হয়েছে সাত বিলিয়ন ও শ্রীলঙ্কাকে ঋণ দেয়া হয়েছে ২০ কোটি ডলার।

এছাড়া গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ডে (জিটিএফ) ২০ কোটি, লং টার্ম ফিন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি (এলটিএফএফ) তহবিলের তিন কোটি ৮৫ লাখ, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিমানকে দেয়া হয়েছে চার কোটি ৮০ লাখ এবং ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ট্রেড ফাইন্যান্স কর্পোরেশনে (আইটিএফসি) আমানত রাখা হয়েছে রিজার্ভ থেকে।

এসব বাদ দিলে বৈদেশিক মুদ্রার নীট রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে রিজার্ভ কমেছে রেকর্ড ২০ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলার।

সাধারণত একটি দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নির্ধারিত হয় ওই দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত কি পরিমাণে আছে তার ওপর। অন্যভাবে বলতে গেলে, আমদানিমুখি দেশের জন্য যে মুদ্রায় আমদানি হয় ওই মুদ্রার পর্যাপ্ত মজুত থাকতে হয়। অন্তত তিন মাসের আমদানির সমপরিমাণের মুদ্রা মজুত থাকলে তাকে স্থিতিশীল ধরা হয়।

সে হিসেবে বাংলাদেশের নীট রিজার্ভ তিন মাসের আমদানির সমপরিমাণে আছে। কারণ আমদানি বাবদ প্রতিমাসে গড়ে আট বিলিয়ন ডলার খরচ হয়। কিন্তু রিজার্ভের পরিমাণ স্থিতিশীল নয়; প্রতিমাসেই কমছে। তাই বিশ্লেষকরা বলছেন, তিন মাসের রিজার্ভ মজুত থাকলেও যেহেতু এটি ধারাবাহিক কমছে তাই শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কেএস 

Link copied!