Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪,

বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ

বাজার সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরাই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী

মো. মাসুম বিল্লাহ

ডিসেম্বর ১০, ২০২৩, ০৭:০১ পিএম


বাজার সিন্ডিকেটের সাথে যুক্ত ব্যক্তিরাই মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী

বাজার সিন্ডিকেট, অতি মুনাফালোভী এবং বাজার কারসাজির সাথে যুক্ত ব্যক্তিরা মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে তাই এদের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের দাবি করেছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব একেএম খোরশেদ আলম বলেন, দেশে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী যারা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার সিন্ডিকেট করে মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং লুটে নিচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকা। এরা মানবাধিকার লংঘনকারী সেই সাথে এরা দেশদ্রোহী। ভারতের  পিঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণার সাথে সাথে ৯০ টাকা কেজির পেঁয়াজ ১ লাফে ১৮০ থেকে ২২০ টাকা হয়ে যায়। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও হঠাৎ করে বাজার থেকে সরবরাহ কমিয়ে মজুদদার মজুতদারি করা শুরু করে। 

আজ বিশ্ব মানবাধিকার দিবসের একদিন পূর্বেই এ সকল অসৎ ব্যবসায়ী বাজার থেকে জনগণকে জিম্মি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তাই এদেরকে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী বললে ভুল হবে না। সাধারণ মানুষ যখন নুন আনতে পান্তা ফুরিয়ে যায় এই পরিস্থিতি বিরাজমান সেই সময় এই সকল অসৎ ব্যবসায়ী দেশ ও জনগণের কথা না ভেবে শুধু নিজেদের পকেট ভারি করার জন্য বাজারে নৈরাজ্য তৈরি করছে। বিবৃতিতে আরো বলেন, জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর কেবলমাত্র জরিমানার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকছে যা দিয়ে কোনোভাবেই বাজার নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এ সকল অসৎ ছোট  ব্যবসায়ী যখন হাজার হাজার টাকা মুনাফা করে তখন তার কাছে ২০-৫০ হাজার টাকা জরিমানা গোনা কোন বিষয় না। যে চেহারা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী তাই তাদেরকে সর্বোচ্চ শাস্তির আওতায় আনা না গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব না। 

ভোক্তা অধিদপ্তরের ফৌজদারি মামলা দায়ের করার সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ পর্যন্ত জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর এ ধরনের মামলা রুজু করে নাই। অন্যদিকে প্রতিযোগিতা কমিশনার বাজার নিয়ন্ত্রণে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে।

আরএস

Link copied!