ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

চাকরির দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার কুবি ছাত্রলীগ সভাপতির

কুবি প্রতিনিধি

কুবি প্রতিনিধি

নভেম্বর ৩০, ২০২২, ১২:১৬ পিএম

চাকরির দাবিতে উপাচার্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার কুবি ছাত্রলীগ সভাপতির

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া বিরুদ্ধে উপাচার্য ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের দপ্তরে ঢুকে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। চাকরির দাবিতে দুই দফা নেতাকর্মীদের নিয়ে উপাচার্যের সাথে দেখা করতে যান তিনি।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ও বেলা ২টায় তিনি উপাচার্যের দপ্তরে যান। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন শিক্ষক। এ ঘটনায় বিব্রত হন তারাও।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া উপাচার্যের দপ্তরে যান। তিনি উপাচার্যকে ছাত্রলীগের নেতাদের চাকরি দেওয়ার জন্য চাপ দেন। এ নিয়ে তাদের অনেকক্ষণ কথা কাটাকাটি হয়। উপাচার্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাফ জানিয়ে দেন, মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়ে যারা উত্তীর্ণ হবেন, তাঁরাই চাকরি পাবেন।

অতঃপর ছাত্রলীগের সভাপতি উপাচার্যকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বললেও চাকরি দেবেন না?’ উত্তরে উপাচার্য বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নীতিমালার বাইরে চাকরির জন্য বলবেন, এটা আমি বিশ্বাস করি না। বিশ্ববিদ্যালয় সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, আইনের মধ্যে চলে। ছাত্রলীগের কেউ যদি মেধা দিয়ে আসে, অবশ্যই নিয়োগ বোর্ড তাঁকে চাকরি দেবে। কিন্তু চাপ দিয়ে, দুর্ব্যবহার করে চাকরি আদায়ের চেষ্টা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’ পরে তারা বের হয়ে আসেন। এরপর দুপুর ২টায় তারা আবার উপাচার্যের কক্ষে ধুকে উচ্চবাচ্য করেন।

এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের চাকরির জন্য উপাচার্যের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেছেন, চাকরি দিতে পারবেন না। এ নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান জানান, একদল লোক উপাচার্যের দপ্তরে ঢুকে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। এতে আমি প্রচণ্ড বিব্রতকর অবস্থায় পড়ি।

উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন জানান, চাকরির দাবি নিয়ে দুই দফা তাঁর দপ্তরে আসেন ইলিয়াস। ইলিয়াস তাঁর সঙ্গে অসদাচরণ করেন। তিনি বলেছেন, মেধার ভিত্তিতে চাকরি হবে। আবেদনকারীরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে চাকরি পাবেন। সুনির্দিষ্ট নীতিমালার আলোকে নিয়োগ বোর্ড চাকরি দেবে। এখানে চাপ দিয়ে কিছু করা যায় না। আগেও তাঁরা চাপ প্রয়োগ করার চেষ্টা করেছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ২৮ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আছেন ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইলিয়াস মিয়া। তাঁর ছাত্রত্ব এবং কমিটি উভয়ের মেয়াদ শেষ। তারপরেও তিনি হলে থাকেন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেন বলে অভিযোগ আছে। 

এআই

Link copied!