Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪,

ফেব্রুয়ারি-মার্চেই চবির সমাবর্তন: উপাচার্য

আজিম সাগর, চবি প্রতিনিধি

আজিম সাগর, চবি প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১৪, ২০২২, ০৫:৫১ পিএম


ফেব্রুয়ারি-মার্চেই চবির সমাবর্তন: উপাচার্য

বাংলাদেশের চারটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের মঝে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) অন্যতম। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় এবছর বিভিন্ন আয়োজনে ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করে। চবি তার এই পথচলায় সংগ্রহ করেছে নানা সফলতা ও প্রাপ্তির গল্প। কিন্তু, সফলতার বিপরীতে হতাশার দিক হলো এ বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তন হয়েছে মাত্র ৪ বার।

চবিতে সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতি ও আচার্য আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ও ৭ হাজার ১৯৪ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে এটিই ছিল চবির সবচেয়ে বড় সমাবর্তন।

‍‍`৭৩-এর অধ্যাদেশে পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে চবিতে গড়ে ১৪ বছরে একবার সমাবর্তন হচ্ছে।

এদিকে চট্টগ্রামের অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ও নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করে চলেছে। এসব অনুষ্ঠানে চবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্যের অতিথি হয়ে যাওয়া নিয়েও সৃষ্টি হয়েছে সমালোচনার। শিক্ষার্থীদের মতামত, কর্তৃপক্ষ বহুবার সমাবর্তনের আশ্বাস দিলেও কোনো বাইর তা আলোর মুখ দেখেনি। কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছা ও যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের অভাবই নিয়মিত সমাবর্তন না হওয়ার প্রধান কারণ। এসব বিষয়ে বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিরূপ প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করতে দেখা গেছে।

এদিকে নিয়মিত সমাবর্তন না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের অর্জিত ডিগ্রির আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও মিলছে না। সাময়িক সনদপত্র নিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়তে হচ্ছে তাদের। ২০১১ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৩৩ হাজারের অধিক শিক্ষার্থী স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডিও সম্পন্ন করেছেন। তবে কেউই পাননি আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সাবরিনা তাহসিন বলেন, নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করা বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। এক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের দায়িত্বের প্রতি অবহেলায় প্রকাশ পাচ্ছে।

রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. মঈন উদ্দীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করে সবার আশা থাকে সমাবর্তন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে স্বীকৃতি পাবেন। দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে চবির নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজন করতে না পারাটা আমাদের জন্য লজ্জার ব্যাপার।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও আইন বিভাগের অধ্যাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, ৫৬ বছরে মাত্র ৪ বার সমাবর্তন হওয়াটা দুঃখজনক ও লজ্জাজনক। একই সাথে এটা আমাদের সক্ষমতার ঘাটতিও প্রকাশ। কারণ, দেশের অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় নিয়মিতভাবে সমাবর্তন আয়োজন করে যাচ্ছে। তাই প্রতিশ্রুতির মধ্যে আবদ্ধ না থেকে দায়িত্বপ্রাপ্তদের উচিত নিয়মিত সমাবর্তন আয়োজনের ব্যবস্থা করা।

এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বিলেন, সমাবর্তনের লক্ষে আমরা কাজ শুরু করেছি। সিন্ডিকেটে এটি অনুমোদন হয়েছে। ডিসেম্বরেই আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে যাবো। আগামী ফেব্রুয়ারির শেষে অথবা মার্চের প্রথম সপ্তাহে যেদিন রাষ্ট্রপতি সময় দিবেন সেদিনই সমাবর্তন হবে।

এসএম

Link copied!