ঢাবি প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ২২, ২০২২, ০৭:২১ পিএম
অধিকার কেউ দিবে না, আওয়াজ তুলে অধিকার আদায় করে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা।
বৃহস্পতিবার ( ২২ ডিসেম্বর ) বিকেল ৪: ৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক প্রতিবাদ সভায় বক্তারা এই মন্তব্য করেন।
২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্তমান ক্ষমতাসীন ছাত্রনেতাদের দ্বারা সাবেক ডাকসু নেতাদের উপর হামলায় বিচারহীনতার ৩ বছর পার হবার প্রতিবাদে এই প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার পরিষদ। এসময় নেতারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের সনাক্ত করে তাদের বিচারের আহবান জানানোর পাশাপাশি পুনরায় ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ার আহবান ব্যাক্ত করেন।
ছাত্র অধিকারের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা বলেন, ২৪ ঘন্টার কথা বলে ৩ বছরেও ডাকসু হামলার বিচার হয়নি। আমরা বিচারহীনতার সমাজে বাস করছি। তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ২০১৯ সালে ডাকসু নেতৃবৃন্দের উপর বর্বরোচিত হামলা। ১৯৫২ সালে যেমন ছাত্র ছাত্রীরা জেগেছিলো, এদেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে শিক্ষা ফিরিয়ে আনতে, সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে, সবার অধিকার ফিরিয়ে আনতে ছাত্রছাত্রীদের আবার জেগে উঠতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এদেশ স্বাধীন হয়েছে মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য, অথচ মেহনতি মানুষ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার পাচ্ছে না। প্রশাসন দাবি করে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ অথচ এদেশের প্রতিটি মানুষের গড় ঋণ ৯৬ হাজার টাকা। এভাবে কোনো দেশ স্মার্ট হয় না। মানুষকে কথা বলার অধিকার, রাজনীতি চর্চার অধিকার দিতে হবে। হলগুলোকে দখলমুক্ত রাখতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়া সম্ভব হবে।
হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, ডাকসুর সাবেক এজিএস সাদ্দাম হোসেনের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়েছে। যাকে শাস্তি না দিয়ে বরং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। প্রশাসনের উচিত এর সঠিক তদন্ত করে অভিযুক্তদের শাস্তির ব্যবস্থা করা।
এসময় তিনি সকল ছাত্রসংগঠনগুলোকে একত্রিত হয়ে একটি ফ্যাসিবাদ বিরোধী সংগঠন করে দল মত নির্বিশেষে সকল মানুষের ন্যায্য অধিকার আদায়ের চেষ্টার আহবান জানান।
এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা মোহাম্মদ আতাউল্লাহ, নাজমুল হাসান প্রমূখ বক্তব্য প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বর্তমান ক্ষমতাসীন ছাত্রনেতাদের দ্বারা সাবেক ছাত্রনেতা ডাকসু ভিপি নূরের উপর হামলা করা হয়। হামলায় ছাত্র নেতা তুহিন ফারাবি লাইফ সাপোর্টে থাকা সহ প্রায় ৪০ জন ছাত্রছাত্রী আহত হন।