ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

চবির আলাওল হল সংস্কারে দীর্ঘসূত্রিতা, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

ডিসেম্বর ২৮, ২০২২, ০৩:২৩ পিএম

চবির আলাওল হল সংস্কারে দীর্ঘসূত্রিতা, শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আবাসিক হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আলাওল হল সংস্কারের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন। কিন্তু, সংস্কার কাজের দীর্ঘসূত্রিতায় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেড়েছে দ্বিগুণ। লম্বা সময় নিয়ে সংস্কার কাজের ফলে ছাত্রদের পড়ালেখার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে, ব্যাহত হচ্ছে একাগ্রতা ও মনোযোগ, ব্যাঘাত ঘটছে তাদের দৈনন্দিন কাজে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত হলের সংস্কার কাজ শুরু হলেও শেষ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। এতে ছাত্ররাই ভোগান্তির শিকার। কাজে অনেক গাফিলতি আছে। নিয়মিতভাবে কাজ করা হয় না।  তাছাড়া কাজের মান আশানুরূপ নয়।  

আলাওল হলের আবাসিক শিক্ষার্থী নাইম ইসলাম বলেন, হলে যে ধরনের সমস্যাগুলো আছে তার আশানুরূপ প্রতিকারে সংস্কার কাজ হাতে নেওয়ার পরেও নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ হচ্ছে না। এতে আমরা ছাত্ররাই সংকটে পড়েছি। এই সংকট থেকে উত্তরণে যথাযথভাবে দ্রুত সময়ে কাজ শেষ করলে শিক্ষার্থীরাই উপকৃত হবে।

ঠিকাদার সূত্রের দাবি, সংস্কার কাজ ঠিকভাবেই চলমান। কাজ শেষ হয়েছে ৫০ শতাংশ। প্রায় ৫০ লাখ টাকার কাজ হয়েছে বলে কাজের রসিদ দাখিল করা হয়। কিন্তু, প্রশাসন আরও সময় চেয়েছে।

অন্যদিকে, হল প্রশাসন ও প্রকৌশল দপ্তরের মতে, সংস্কার কাজ শেষ না করেই টাকা দাবি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। নিয়মানুযায়ী একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে কাজ করার পরে কাজের রসিদ দাখিল করতে পারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু, ঐ পরিমাণ কাজ হয় নি বলে প্রশাসন তাদেরকে জানায়। কাজের মানও নিম্নমানের এবং তা প্রশ্নবিদ্ধ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী  বলেন, আলাওল হল সংস্কার কাজ এখনো অনেকটাই বাকি। এতে শিক্ষার্থীদের অনেক ভোগান্তি তৈরি হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খুব ধীর গতিতে কাজ করছে। ঠিকাদারকে বারবার অবগত করছি যে কাজের নির্ধারিত সময় শেষ হয়ে গেছে। কাজের জন্য এখনও কোনো টাকা পরিশোধ করা হয় নি। ওরা কাজের রসিদ দাখিল করেছে। কিন্তু, ঐ টাকার কাজ হয় নি বলে আমরা জানিয়েছি।

আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো কাজের দায়িত্বে থাকে প্রকৌশল দপ্তর। টেন্ডারের মাধ্যমে তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়। আর পুরো কাজ তদারকির দায়িত্বও তাদের। হলের সংস্কার কাজ নিয়ে শিক্ষার্থীরাসহ আমরা সবাই অসুবিধায় আছি। আমরা আমাদের ভোগান্তির বিষয়টি প্রকৌশল দপ্তরে জানিয়েছি। গত তিনদিন আগেও চিফ ইঞ্জিনিয়াকে এসব বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।  আমরা তো ঠিকাদারকে বলতে যাব না।  ঠিকাদারকে বলতে গেলেও তাকে সময়মতো পাওয়া যায় না। এখানে তারা নিয়মিতভাবে কাজ করতেছে না। তারা একদিন কাজে আসে, তিনদিন আসে না।

তিনি আরও বলেন, হলের সংস্কারের জন্য তারা একটা কাজ ধরে সেটা শেষ না করেই অন্য কাজ ধরে। এমন করার কারণে বেশ কিছু কাজের ব্যাপারে আমরা অসন্তোষ জানিয়েছি। মোট ৯০ লাখ টাকার বাজেট হয়েছে। এত টাকার বাজেটের কোনো কাজই আমার কাছে দৃশ্যমান না। সার্বিক বিষয়ে আমি জানিয়েছি, ইঞ্জিনিয়ারিং অফিস চরমভাবে বিরক্ত, খুব হতাশ। আমরা জানিয়েছি, কাজ আদায় করে নেওয়ার বিষয় আপনাদের, আপনারা কাজ আদায় করে নিবেন। সেটা না হলে আমরা আমাদের দিক থেকে কোনো ধরনের ছাড় দিব না।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দেওয়ান এন্টারপ্রাইজ এর স্বত্বাধিকারী কিরণ বাবু বলেন, আসলে এই কাজে অনেকটা অসামঞ্জস্য আছে। একদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর অন্যদিকে প্রকৌশল দপ্তর। এখানে প্রকৌশল দপ্তর থেকে কাজের সরঞ্জামাদির আনুমানিক হিসাব বরাদ্দে অসামঞ্জস্য আছে। আর কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদির বর্তমান বাজার মূল্যের বিষয়টিও কাজ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখতে হবে। কিছু ক্ষেত্রে কাজের বাজেট কম, কিছু ক্ষেত্রে বেশি। সরজমিনে না দেখে বরাদ্দ দেওয়াতে মূলত সমস্যা হয়ে যায়। সমন্বয়হীনতাই এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে।

প্রসঙ্গত,আলাওল হলের চলমান সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করা, পানির ফিল্টার স্থাপন ও টয়লেট সংস্কারসহ ৮ দাবিতে গত ১৪ নভেম্বর আলাওল হলের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করে আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

এসএম

Link copied!