ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার

সুপরিকল্পিত বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০২:০২ পিএম

সুপরিকল্পিত বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে সেটা আপনারা সবাই জানেন। অত্যন্ত সুপরিকল্পিত বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এটা করা হচ্ছে বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে। শিক্ষার্থীদের মাস্টার্স ডিগ্রি দেয়া হবে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের ভেতরে কোনো জ্ঞান থাকবে না। আর এতেই জাতি ধ্বংস হবে। পলিসি মেকাররা  চায় না এটা পরিবর্তন হোক।  তাদের সুবিধার জন্যই তারা এমনটি করছে। কারণ তাদের সন্তানরা এ দেশে পড়াশোনা করছে না। তাদের সন্তানদের বিদেশে বা ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ায়। আর এই দেশ হচ্ছে তাদের জন্য আদর্শ লুটতরাজের চারণ ক্ষেত্র। অত্যন্ত রূঢ় বাস্তবতা হচ্ছে,  যতদিন আমার ছেলেকে এখানে পড়তে হবে না। ততদিন এ শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমি মাথা ঘামাবো না।

শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি)  জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে শিক্ষা, সংস্কৃতি, সভ্যতা ও ট্রান্সজেন্ডার বিতর্ক: প্রেক্ষিত বাংলাদেশের প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন। 

সরকারের পরিবর্তন ছাড়া এটা সম্ভব হবে না জানিয়ে এ শিক্ষাবিদ বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এটা করা সম্ভব না। এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করা কঠিন। কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, নির্বাচন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আমাদের সকল জায়গায় পরিবর্তন করতে হবে।
অনুষ্ঠানে নতুন শিক্ষা কমিশন তৈরির চিন্তার কথা জানিয়েছেন তারা। এ কমিশন নতুন করে শিক্ষানীতি তৈরি করবেন। 

প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল লতিফ মাসুম বলেন, রাষ্ট্রের দুটো কাজ। দালান কোটা নির্মাণ করা আর জাতি নির্মাণ করা। জাতি হিসেবে যদি মানুষ তৈরি না হয়। মন তৈরি না হয়। একটা কাঙ্ক্ষিত জাতি তৈরি হবে না। এই অবস্থা থেকে পরিবর্তনের জন্য সমাজ বিজ্ঞানীগণ নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। যদি কোন রাষ্ট্র তার সামগ্রিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চোর, খারাপ মানুষ তৈরি করে সেটার অবস্থা এখন আপনারা দেখতে পাচ্ছেন। এটা একটি মার্কিন-ভারতে যৌথ প্রযোজনা। ১৯৮৯ সালে উইলিয়াম পি হান্টিংটন ক্লাস অব সিভিলাইজেশন তৈরি করেছেন।

সেখানে বলা হয়েছে, যতদিন পর্যন্ত আমরা পশ্চিমাদের মতো হতে পারবো না ততদিন আমরা সভ্য হবো না। আমরা একটা আরোপিত সমাজে বসবাস করছি। এদেশের ৯০ শতাংশ মানুষ মুসলমান। অথচ তাদের কাজে কর্মে এধরনের কোন কিছু নেই। একশত নব্বই বছর ধরে ম্যাকলে যে শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে। 
ট্রান্সজেন্ডারের বিষয়টি আমাদের উপর আরোপিত বিষয়। ষষ্ঠ শ্রেণির বইয়ে ইখতিয়ার উদ্দিনকে বহিরাগত বলা হয়েছে। তারা বলছেন, এই মুসলমানরা অর্থাৎ আমাদের বহিরাগত বলছে। বর্তমানে আমরা ভারত অধীনতার দিকে যাচ্ছি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা থাকবে না। শিক্ষাব্যবস্থাতো অনেক দূরের কথা। 

আমাদের করণীয়, পার্মানেন্ট সমাধান। এ সমাজ আমরা পরিবর্তন করতে চাই। আল্লাহ বলছেন, লা তা খাফ।অর্থাৎ ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের মাইন্ড সেট পরিবর্তন করে আমাদের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামষ্টিক ভাবে আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে। এই শিক্ষানীতিতে পরিবর্তনের জন্য আমাদের দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আমরা একটা কঠিন সময় অতিক্রম করছি। যে স্বৈরাচার আমাদের উপর চেপে বসেছে। তাকে পরিবর্তন করে আমাদের গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে। তাহলে আমাদের ইমান রক্ষা পাবে।

 ভয়েস অব ল ইয়ার‍‍`স বাংলাদেশের আয়োজনে সভাপতি হিসেবে ছিলেন, সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মো. গিয়াস উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল লতিফ মাসুম। কী নোট বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম ও অন্যান্যরা।

বিআরইউ

Link copied!