ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ইবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

ইবি প্রতিনিধি

ইবি প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২৪, ০৭:২০ পিএম

ইবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী জানান, তাকে গলা চেপে শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টা করেছে অভিযুক্তরা। ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

অপরদিকে অভিযুক্তরা হলেন উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রতন রায় ও রিহাব রেদোওয়ান।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, তারা উভয়ই শাখা ছাত্রলীগের কর্মী ও সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের অনুসারী।

শনিবার দুপুরে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস থেকে কুষ্টিয়ায় যাওয়ার জন্য দুপুর তিনটার বাসে উঠে ভুক্তভোগী। সে একটা সিটে বসা ছিল তারপাশে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী রতন রায় বসা ছিল। পরে রতন নিচে গিয়ে কয়েকজন বন্ধু-বান্ধবী নিয়ে পুনরায় সিটে বসতে আসে। এ সময় সে ভুক্তভোগীকে পাশের সিটে সরে যেতে বললে সে এতে অস্বীকৃতি জানায়। এ সময় উভয়ের মাঝে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রতন তার গলাটিপে ধরে রাখে। সেই সাথে তার বন্ধু রিহাব রেদোওয়ান তার চোখে আঙুল ঢুকিয়ে দেয়। পরে বাসের সবাই চিল্লাচিল্লি করে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। এভাবে আর ৯ বা ১০ সেকেন্ড থাকলে মারা যেতাম বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

তবে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানান অভিযুক্ত রতন রায়। বলেন, আমরা যদি তার গলাটিপে বা চোখ আঙুল দিতাম তাহলে তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা। আমরা এই বিষয়ে প্রক্টর স্যারের নিকট একটি অভিযোগপত্র দিয়েছি সেখানে বাসের প্রত্যক্ষদর্শী দুইজনের স্বাক্ষর রয়েছে।

এ সময় সে ছাত্রলীগের সাথে জড়িত আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, হ্যাঁ আমি ছাত্রলীগের কর্মী তবে সবার আগে আমার পরিচয় সাধারণ শিক্ষার্থী।

আরেক অভিযুক্ত রিহাব রেদোওয়ান বলেন, তার এসব অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। মূলত বাসের পিছনের সিটে দুইটি মেয়ে বসা ছিল, সে (ভুক্তভোগী) দুইজনের মাঝখানে বসা ছিল। তাই আমরা তাকে ওপাশে সরে যেতে বললাম। একপর্যায়ে তার সাথে আমাদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরিস্থিতি খারাপ পর্যায়ে চলে যাবে ভেবে আমি তাকে একটু হাতে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। তখন সে তার বড় ভাই মজুমদারকে কল দিয়ে আনলে তখন তখন তিনি আমাদের বিষয়টা মীমাংসা করার চেষ্টা করেছিলেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী আবু জাহেদ বলেন, ওনারা বাসে উঠে আমাকে সরে যেতে বললে আমি অস্বীকৃতি জানাই। একপর্যায়ে তারা আমার গলাটিপে ধরে, মুখ ও চোখে হাত দিয়ে ধরে রাখে। এভাবে প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে আমাকে শ্বাসরোধ অবস্থায় রাখে। আর ৫ সেকেন্ড ধরে রাখলে মারা যেতাম। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাতের কাছ থেকে জানতে চাইলে বলেন, কোথায়, কী অভিযোগ হয়েছে শুনিনি। এরকম অভিযোগ সত্য হয়ে থাকলে এবং ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ছাত্রলীগ অপরাধীকে বরাবরের মতোই প্রশ্রয় দেয় না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা অভিযোগগুলো পেয়েছি। এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেব।

ইএইচ

Link copied!