ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

বাকৃবিতে ডরমিটরি উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম

বাকৃবি প্রতিনিধি

বাকৃবি প্রতিনিধি

মার্চ ২৯, ২০২৪, ০৮:১৬ পিএম

বাকৃবিতে ডরমিটরি উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া পিএইচডি ডরমিটরি ভবনের উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ চলমান।

পূর্বের একতলা ভবনটির দ্বিতীয় তলা নতুন করে নির্মাণ এবং নিচতলা সংস্কার (সিভিল, সেনেটারি ও বৈদ্যুতিক) মিলিয়েই শিডিউলে পুরো আর্থিক হিসাব দেখানো হয়েছে ৩ কোটি ৩৮ লাখ ১৮ হাজার ১০ টাকা। আর্থিক হিসাব নিচতলা এবং দ্বিতীয় তলা উভয়ের জন্য হলেও আর্থিক স্বল্পতার কারণে বর্তমানে কেবল দ্বিতীয় তলা নির্মাণের কাজ চলমান।

এদিকে কাজের শিডিউলে ভবন নির্মাণে ইটের কাজ, প্লাস্টার এবং রডসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান সামগ্রীতে ২ থেকে ৩ গুণ পর্যন্ত অতিরিক্ত এবং কিছু ক্ষেত্রে একই উপাদান দুইবার করে ধরে হিসাব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা।

নেই কোনো ফাউন্ডেশনের কাজ, তবে শুধু ২য় তলা তৈরিতেই এতো টাকা কেনো লাগছে? এমন গড়মিলের বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

তবে অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন ও ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবি করেছেন কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী ও কাজের মনিটরিং কমিটির সদস্যরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযোগকারীরা বলেন, শিডিউলে অতিরিক্ত ইটের ব্যবহার, অতিরিক্ত রডের ব্যবহার, ঢালাই কাজে অতিরিক্ত বিল তৈরি, অতিরিক্ত সিমেন্টসহ সব কিছুতেই অতিরিক্ত ব্যয়ের বাজেট ধরা হয়েছে। যেখানে অর্ধেক পরিমাণ উপাদান সামগ্রী দিয়ে কাজ করা সম্ভব সেখানে অতিরিক্ত সামগ্রীর হিসাব দেখিয়ে ব্যয়ের বাজেট করা হয়েছে।

এছাড়াও অভিযোগে আরও জানানো হয়, পুরো কাজের শিডিউলে ফ্লোর তৈরিতে অতিরিক্ত টাইলস ধরা হয়েছে এবং দুইবার করে সেটির ব্যয় দেখিয়ে হিসাব করা হয়েছে। প্লাস্টিক ও কাঠের দরজার চৌকাঠ তৈরিতেও অতিরিক্ত বাজেট ধরা হয়েছে। এমনকি দরজার হিসাব সংখ্যায় না করে কাঠ বা প্লাস্টিকের পরিমাণ (বর্গফুট) দিয়ে বাজেট করা হয়েছে যেখানে সাধারণত দরজার বিষয়টি সংখ্যায় হিসাব করা হয়। নীচ তলার সংস্কারের জন্যে আলাদা বাজেট করা আছে তবুও তারা নীচ তলার কাজ করছে না। নীচ তলার বাজেটও ওপর তলার কাজে ব্যয় করা হবে। তাহলে এতো টাকা দিয়ে কি কাজ হচ্ছে?

এ বিষয়ে ওই কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত পূর্তঃনির্মাণ ও সংরক্ষণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. মোস্তাফিজুর রহমান আমার সংবাদকে বলেন, শিডিউল তৈরির সময় ভুলবশত প্রথম ও দ্বিতীয় তলার কাজ এক তালিকায় করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি সংশোধন করা হয়েছে। বাজেট স্বল্পতার কারণে প্রথম তলার সংস্কার কাজ কিছুটা কমানো হয়েছে। দ্বিতীয় তলার কাজ শেষ হওয়ার পর যদি বাজেট অবশিষ্ট থাকে তাহলে সেই অর্থ দিয়ে প্রথম তলার সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

বিভিন্ন কাজে অতিরিক্ত উপাদান সামগ্রীর হিসাব দেখানোর অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা প্রথমে যেকোনো কাজ করার ক্ষেত্রে একটি আনুমানিক হিসাব তৈরি করি। পরবর্তীতে যতটুকু কাজ করা হয় সেই কাজের প্রকৃত ব্যয়ের হিসাব তৈরি করে বিল তৈরি করি। এখানে অতিরিক্ত সামগ্রী দেখিয়ে বিল করার কোনো সুযোগ নেই। আমরা যে কাজ করছি সবই দৃশ্যমান। যে কেউ দেখলেই কাজের পরিমাণ ও গুণগত মান বুঝতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজগুলো যাতে বন্ধ হয়ে যায় এ কারণে একটি চক্র এসকল মিথ্যা তথ্য প্রচার করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, যেহেতু এটি ভবন নির্মাণ বিষয়ক কাজ তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী এ ব্যাপারে ভালো বলতে পারবেন। তবে আমাকে যতটুকু হিসাব দেখানো হয়েছে এবং আমি ওই নির্মাণকাজ পরিদর্শন করে কাজের পরিমাণ যতটুকু পেয়েছি তাতে উপাদানের হিসাবে গরমিল আছে বলে আমার মনে হয় নাই। তবে গড়মিলের সঠিক প্রমাণ কেউ দিতে পারলে অবশ্যই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহীন ইসলাম খান বলেন, কাজ যতটুকু হচ্ছে সবটুকুই দৃশ্যমান। এখানে কারচুপির কোনো সুযোগ নাই। প্রথমবার শিডিউল তৈরির সময় নীচতলা ও দ্বিতীয় তলার কাজ একসাথে ধরে শিডিউল করার কারণে টাইলস, প্লাস্টারসহ কিছু কাজের হিসাব দুইবার করে চলে এসেছিল। এখন যেহেতু আগে দ্বিতীয় তলার কাজ করতে হচ্ছে তাই ওই শিডিউল সংশোধন করা হয়েছে। আমরা মনিটরিং কমিটির সাথেও আলোচনা করেছি। তাদেরকে আমাদের সকল কাজের পরিমাণ ও গুনগতমানের হিসাব দেখিয়েছি। এ সকল কাজের ক্ষেত্রে সামগ্রীর পরিমাণ আগেই শতভাগ সঠিকভাবে অনুমান করা সম্ভব নয়। তবে পূর্ব অনুমানের ভিত্তিতে কখনোই কোনো বিল করা হয় না। যতটুকু কাজ প্রকৃতপক্ষে হচ্ছে ঠিক ততটুকুরই বিল দেওয়া হচ্ছে।

ইএইচ

Link copied!