ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

সঞ্জয়ের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

মে ১৭, ২০২৪, ০২:৪২ পিএম

সঞ্জয়ের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন

ভর দুপুরে তপ্ত রোদে টিনশেডে বান্ধবীর সাথে আড্ডা। সেখানে পড়তে যান এক শিক্ষার্থী। বান্ধবীর সাথে উচ্চস্বরে কথা বলায় বিরক্তবোধ করেন পাশের টেবিলে পড়তে থাকা শিক্ষার্থী।

উচ্চস্বরে কথা বলায় পড়াশোনায় বিঘ্ন ঘটছে, এমন বাক্যে ক্রোধান্বিত হন তারা। হাতে ইট নিয়ে এসে আঘাত করেন শিক্ষার্থীর উপরে। সাথে ছিল এলোপাতাড়ি মারধর এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ। এমনি ঘটনা ঘটেছে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি)।

ঘটনার শুরুটা হয় মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুর ১২টার কিছু পর। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিদ্যুৎ না থাকায়, পাশের টিনশেডের বারান্দায় পড়তে আসেন কৃষি বিভাগ ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সঞ্জয় দাশ (২৬)। তার পাশের টেবিলে উচ্চস্বরে আড্ডায় ব্যস্ত ছিলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ মোল্যা (২৬) এবং তার বান্ধবী। উচ্চস্বরে কথা বলায় বাধা দেন সঞ্জয়। কিন্তু সঞ্জয়ের বাঁধাকে বেয়াদবি মনে করে তেড়ে আসেন মাসুদ। আঘাত করেন সঞ্জয়কে। মাসুদের আঘাতে ডান চোখের ওপরের অংশ ফেটে যায় সঞ্জয়ের। চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে। ফাটা স্থানে দেওয়া হয় একাধিক সেলাই।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সঞ্জয়। একইদিন সন্ত্রাসী হামলার বিচার চেয়ে প্রক্টর বরাবর আবেদন করেন সঞ্জয়।

ঘটনার কিছুটা সত্যতা নিশ্চিত করে বুধবার প্রক্টর বরাবর আবেদন করেন অভিযুক্ত মাসুদ। আবেদনে তিনি বলেন, সঞ্জয় আমার সাথে বেয়াদবি করেছে। সেসময় দুজনের মধ্যে হাতাহাতি হয়। একসময় সঞ্জয় হঠাৎ করে মাটিতে বসে পড়ে। আমি তাকে ধরতে গিয়ে দেখি চোখের উপরে ফেটে গেছে। তাই তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।

চিকিৎসা ব্যয় কে বহন করছে? এ বিষয়ে সঞ্জয় বলেন, বাড়ি থেকে ৪ হাজার টাকা এনেছি। আর বন্ধুরা কিছু টাকা তুলে দিয়েছে। আপাতত এগুলো দিয়ে চিকিৎসা করাচ্ছি। গতকাল খুলনা আই হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়েছি। ডাক্তার বললো চোখে জমাট বাঁধা রক্ত না কমলে এবং চোখের ফোলা না কমলে উন্নত চিকিৎসা করানো যাবে না। আপাতত ১০-১৫ দিন কিছু ওষুধ খেতে হবে। তারপর পরীক্ষা করে উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে।

সঞ্জয়ের চিকিৎসা ব্যয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন করবে কিনা? এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, আমরা রোববার আলোচনা করবো। ছেলেটার চিকিৎসা ব্যয়ের বিষয়ে আমরা কথা বলব এবং ব্যয়ভার বহন করা হবে।

ইএইচ

Link copied!