ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

৮দিন পর তালামুক্ত হলো বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য কক্ষ

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা:

বশেমুরবিপ্রবি সংবাদদাতা:

জুন ৬, ২০২৪, ০৫:১৪ পিএম

৮দিন পর তালামুক্ত হলো বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য কক্ষ

দীর্ঘ আট দিন তালাবদ্ধ থাকার পর অবশেষে তালামুক্ত হলো উপাচার্য, এবং উপ-উপাচার্যের কক্ষ। শিক্ষক সমিতির দাবির মুখে এতদিন তালাবদ্ধ ছিল কক্ষগুলো। তালাবদ্ধ থাকার এই সময়টাতে বন্ধ ছিল অফিশিয়ালি কার্যক্রম। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য কেউই প্রবেশ করতে পারেননি তাদের কক্ষে। এমনি এক ঘটনার সাক্ষী হলো গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়(বশেমুরবিপ্রবি)।

জানা যায়, করোনাকালীন লকডাউনের সময় খণ্ডকালীন শিক্ষকদের বেতন বাকি ছিল। তারপর নতুন মাত্রায় যুক্ত হয়েছে পদোন্নতির সমস্যা। দীর্ঘ দেড় বছরের অধিক সময় ধরে আটকে আছে শিক্ষকদের পদোন্নতি। এব্যাপারে শিক্ষকদের প্রাক্তন সমিতি এবং বর্তমান সমিতি উভয়ই উপাচার্যের সাথে একাধিকবার বৈঠক করেছে। কিন্তু উপাচার্য তালবাহানা করে তাদের পদোন্নতি দিচ্ছেনা বলে জানা যায়। অন্যদিকে ডিউ-ডেইট সংক্রান্ত জটিলতায় ভুগছে শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা। এব্যাপারেও উদাসীন উপাচার্য এবং উপ উপাচার্য। এমনই দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতির নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা।

শিক্ষক সমিতির একটি সূত্র জানায়, ডিউ ডেইটের কারণে অনেক শিক্ষকের দুই লাখ টাকার উপরে আটকে আছে। সমিতি সূত্রে জানা যায়, গত ২৯ তম রিজেন্ট বোর্ডে শিক্ষকদের দাবিগুলো পাশ করা হয়। সেখানে ডিউ ডেইট জটিলতা সহ অন্যান্য বিষয়গুলো ছিল। কিন্তু ওই বোর্ডে পাশ হওয়ার পরেও ৩৮ তম রিজেন্ট বোর্ডে সেগুলো কেড়ে নেওয়া হয়। ফলে ৩৯ তম রিজেন্ট বোর্ডের আগে শিক্ষক সমিতির সদস্যরা উপাচার্য, উপ উপাচার্য সহ ট্রেজারারকে দাবিগুলো পুনরায় অবগত করেন। কিন্তু এতেও কোনো কাজ হয়নি। যার ফলশ্রুতিতে গত ৩০মে(বৃহস্পতিবার) সাধারণ শিক্ষকদের সাথে আলোচনার পর  উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ট্রেজারার কক্ষ তালাবদ্ধ করে দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।

গত ২জুন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. মো. বশির উদ্দীন জানান, আমরা এতবার ওনার কাছে গিয়েছি কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। তাই আমরা নতুন করে আল্টিমেটাম দিয়েছি। চলতি সপ্তাহের(৬জুন) বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাকে সময় দেওয়া হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে তিনি যদি শিক্ষকদের দাবিগুলো রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে পাশ করিয়ে আনতে না পারেন তাহলে শিক্ষক সমিতি কঠোর অবস্থানে যাবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, আজ ৬জুন(বৃহস্পতিবার) উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য কক্ষ খুলে দেওয়া হয়েছে। যথারীতি দাপ্তরিক কার্যক্রম চলছে।

এবিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ফায়েকুজ্জামান মিয়ার সাথে। শিক্ষক সমিতির দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে কিনা? যার কারণে আপনারা উপাচার্য কক্ষ তালামুক্ত করেছেন! এমন প্রশ্নের জবাবে ফায়েকুজ্জামান বলেন, আমরা উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে আজকে পর্যন্ত সময় দিয়েছি। এরই মধ্যে রিজেন্ট বোর্ডের মাধ্যমে এগুলো পাশ করিয়ে আনতে হবে, এমন আল্টিমেটাম ছিল। কিন্তু শিক্ষকদের দাবিগুলো এখনো পাস করানো হয়নি।

তাহলে কি আপনাদের আল্টিমেটাম ভুল ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তারা আমাদের কাছ থেকে একটা সময় নিয়েছে। আমরা তাদেরকে সময় দিয়েছি। তবে চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ হয়নি। প্রশাসন আজকের মধ্যে আমাদের একটি তারিখ দিবেন। ঐ তারিখে পদোন্নতির বোর্ড বসবে। সেদিন তাদেরকে পদোন্নতি দিতে হবে। সেজন্য আমরা দপ্তরগুলো তালামুক্ত করেছি।

উল্লেখ্য, শিক্ষক সমিতির আন্দোলনে এতদিন বন্ধ ছিল উপাচার্য, উপ-উপাচার্য কক্ষ। সাথে বন্ধ ছিল রেজিস্ট্রার দপ্তর। তবে চলমান ছিল অ্যাকাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম।

বিআরইউ

Link copied!