ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

জাবির আইন অনুষদের দুই শিক্ষকের অব্যাহতি দাবি

জাবি প্রতিনিধি

জাবি প্রতিনিধি

আগস্ট ১১, ২০২৪, ০৭:২৭ পিএম

জাবির আইন অনুষদের দুই শিক্ষকের অব্যাহতি দাবি

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জড়িত শিক্ষার্থীদের হেনস্তা, শিক্ষার্থীর গায়ে হাত তোলা, ছাত্রীকে যৌন নিপীড়ন, পরিকল্পিতভাবে রেজাল্ট কমিয়ে দেওয়াসহ ৯ দফা দাবিতে দুই শিক্ষকের অব্যাহতি দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা।

রোববার সকাল ১১টায় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সামনে থেকে একটি মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার চত্বরে যান বিভাগের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। শহীদ মিনারের পাদদেশে মানববন্ধন করেন তার।

এ সময় মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা আইন অনুষদের ডিন ও বিভাগের সভাপতি তাপস কুমার দাস ও সহযোগী অধ্যাপক সুপ্রভাত পালের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ এনে তাদের পদত্যাগের দাবি জানান।

শিক্ষার্থী সৃজন পুলিশের গুলিতে আহত হলে তার বাবা কল দিয়ে সহযোগিতা চাইলে তিনি ডিন তাপস সৃজনের বাবার সাথেও বাজে আচরণ করেন। বলেন, আপনার ছেলের কতবড় সাহস সে ছাত্রলীগের বিপক্ষে কথা বলেন। এটা একজন টিচারের আচরণের মধ্যেই পড়ে না। আমরা তার পদত্যাগ চাই!

সহযোগী অধ্যাপক সুপ্রভাত পাল শিক্ষার্থীর গায়ে তোলে অভিযোগ তুলেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সুহার্ত্য দৌলা অনিক। এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লামিয়া আক্তার বলেন, অনিক সেকেন্ড বেঞ্চে ছিল। স্যারদের সামনে থেকে নকল করা সম্ভব ছিল না। তারপরেও তিনি ওর গায়ে হাত তোলেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি এটা করতে পারেন না।

বিভাগের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফল কমিয়ে দেয়ার অভিযোগ এনে জামিয়াতুন নাহু বলেন, শিক্ষকরা খাতা মূল্যায়নের সময় পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে থাকেন। যেসকল শিক্ষার্থী তেলবাজির মাধ্যমে তাদের মন জুগিয়ে তোলেন তারা সুনজরে থাকেন। এর প্রভাব তার রেজাল্টে দেখতে পাই।

মানববন্ধনে ৫২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াজুল রাহী ডিন তাপসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় আমি আন্দোলনে অংশ নেই। ২২ তারিখ পুলিশ গেরুয়াতে আক্রমণ করলে পুলিশের গুলির মুখে আমরা আত্মসমর্পণ করি। সেসময় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য আইনি সুপারিশের সেল গঠন করা হয়। আইন অনুষদের ডিন ও বিভাগের চেয়ারম্যান তাপস কুমার সেই সেলের সদস্য। তাপস স্যারকে জানানো হলে তিনি  বলেন, আমি নাকি হিজবুত তাহরীরের লোক, আমি নাকি দুষ্কৃতকারী। যেখানে অন্য বিভাগের শিক্ষকরা আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের ছাড়িয়ে নিচ্ছেন সেখানে আমার ডিপার্টমেন্টের স্যার এসব বলেন!

সহযোগী অধ্যাপক সুপ্রভাত পাল শিক্ষার্থীর গায়ে তোলে অভিযোগ তুলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সুহার্ত্য দৌলা অনিক বলেন, গত ২৭ জুন আমার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। আমি তাড়াহুড়ো করে ক্লাসে আসি এবং দ্বিতীয় সারির একটি বেঞ্চে বসে পরীক্ষা শুরু করি। তাড়াহুড়োয় আমার ফোনটা রাখতে মনে ছিল না। পরীক্ষার একদম শেষ পর্যায়ে আমার ফোনটা বেজে উঠলে তিনি বলেন, আমি নকল করছি। আমি নকল করিনি বললে তিনি আমাকে সবার সামনে থাপ্পড় মারেন। আমার ফোন নেয়ার দেড় মাস পার হলেও এখনো তিনি ফোন ফেরত দেননি।

এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী লামিয়া আক্তার বলেন, অনিক সেকেন্ড বেঞ্চে ছিল। স্যারদের সামনে থেকে নকল করা সম্ভব ছিল না। তারপরেও তিনি ওর গায়ে হাত তোলেন। শিক্ষক হিসেবে তিনি এটা করতে পারেন না।

মাদরাসা থেকে আসা শিক্ষার্থীদের প্রতি বিরূপ আচরণ করা হয় অভিযোগ এনে কাওসার আহমেদ রেজাউল বলেন, আমরা যারা মাদরাসা থেকে এসেছি ক্লাসে নানানভাবে তাদের হেনস্তা করেছে। তারা ক্লাসে কোন প্রশ্ন করলে তাদের প্রশ্নের উত্তর তো দেয়াই হতো না বরং উল্টো প্রশ্ন করে বলা হয় তুমিতো কি মাদ্রাসা থেকে এসেছো? দাঁড়ি—টুপি পরে আছো! মাদ্রাসা ছাত্র হলে কি আমার প্রশ্ন করার অধিকার নেই?

মানববন্ধনের শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন- অনেকে মনে করতে পারে যে দুইজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে তারা আবার মাইনরিটি নিয়ে অনেকের সহানুভূতি নেয়ার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই তাদের অত্যাচারের মাত্রা এবং ক্ষমতার দাপট এত বেশি ছিল যে, তাদের কাছে পুরো ডিপার্টমেন্ট মাইনরিটি ছিল, মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মাইনরিটি ছিল। তাই তাদেরকে মাইনরিটি ভাবার কোন সুযোগ নেই।

ইএইচ

Link copied!