ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

‘তোমাকে দেখলে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না’ — ছাত্রীকে শিক্ষক

বেরোবি প্রতিনিধি

বেরোবি প্রতিনিধি

এপ্রিল ২১, ২০২৫, ১১:৩৩ এএম

‘তোমাকে দেখলে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না’ — ছাত্রীকে শিক্ষক

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে এবার নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তুলেছেন বিভাগের নবম ব্যাচের এক ছাত্রী।

ওই ছাত্রী তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি বিস্তারিত পোস্ট দিয়ে অভিযোগ প্রকাশ করেন এবং ঘটনার প্রমাণ হিসেবে কিছু স্ক্রিনশটও সংযুক্ত করেন।

ফেসবুক পোস্টে ছাত্রীটি দাবি করেন, শিক্ষক রশীদুল ইসলাম তাকে রুমে ডেকে বলেন, “তোমাকে দেখলে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না।”

ছাত্রী জানান, এ ধরনের মন্তব্য ছাড়াও শিক্ষক ইনবক্সে অশালীন বার্তা পাঠাতেন এবং শাড়ি পরা ছবি চাইতেন।

একটি স্ক্রিনশটে দেখা যায়, শিক্ষক লিখেছেন, “মিষ্টি মেয়ে একটা!” উত্তরে ছাত্রী বলেন, “থ্যাংক ইউ স্যার, আপনি খুব ভালো মনের মানুষ।” এরপর শিক্ষক জানতে চান, “তোমাকে কী যেন করতে বলেছিলাম?” ছাত্রী উত্তরে লেখেন, “বাসায় যেতে! আসলে স্যার, আমি কম বুঝি আর আপনাকে ভয় পাই।” এরপর শিক্ষক বলেন, “স্টপ ইট, সব জায়গায় সব কথা বলা যায় না, বুঝতে পেরেছ?”

ছাত্রী আরও জানান, শিক্ষক প্রথম থেকেই নানা ছলচাতুরীর মাধ্যমে তার সঙ্গে সখ্য গড়ার চেষ্টা করেন। পিকনিক, ইনবক্সে বার্তা পাঠানো, শিক্ষার অজুহাতে রুমে ডাকা এবং এক পর্যায়ে সরাসরি শারীরিকভাবে স্পর্শ করার চেষ্টাও করেন।

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, “একদিন আমি তার রুমে গেলে তিনি বলেন, ‘তুমি কি জানো ক্লাসে পড়ানোর সময় আমার মনোযোগ তোমার দিকেই থাকে? তোমাকে দেখলে আমি নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারি না।’ এরপর তিনি আরও অশালীন কথা বলেন, যা আমি এখানে প্রকাশ করতে পারছি না।”

ছাত্রী দাবি করেন, এক পর্যায়ে শিক্ষক তার ফোন নিয়ে সকল চ্যাট মুছে দেন এবং বলেন, “তুমি এসবের কোনো রেকর্ড রাখো নাই তো?” এরপর ওই শিক্ষার্থী বন্ধুর সহযোগিতায় কথোপকথনের একটি অংশ প্রমাণ হিসেবে সংরক্ষণ করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে হল ত্যাগ করে বাসায় চলে যান।

অভিযোগ বিষয়ে জানতে শিক্ষক অধ্যাপক রশীদুল ইসলামের সঙ্গে দুইদিন ধরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

উল্লেখ্য, এর আগেও গত ১৭ এপ্রিল ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নম্বর টেম্পারিং ও হুমকির অভিযোগে বিভাগীয় শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দেন।

ইএইচ

Link copied!