আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
বাবার মৃত্যুর শোক, চোখেমুখে অনিশ্চয়তা আর টানাপোড়েনের এক কঠিন বাস্তবতা। ঠিক এই সময়টাতেই একটু ভরসা, একটু সহানুভূতি হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
কুড়িগ্রামের সীমান্তঘেঁষা ফুলবাড়ী উপজেলার দোলাটারী গ্রামের মেধাবী ছাত্র মইনুল হক সদ্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। তবে ভর্তির আনন্দটা যেন স্থায়ী হলো না। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির খবর পাওয়ার রাতেই মারা যান তার বাবা লুৎফর রহমান। এরপর শুরু হয় অর্থসংকটের করাল ছায়া।
মইনুল হকের ভাষ্য, ‘ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। তখনই ছাত্রশিবির থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁরা ঢাকায় এনে ভর্তি থেকে শুরু করে আবাসনের ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন।’
দাসিয়ারছড়ার সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দা মইনুল গংগারহাট এমএএস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি ও ফুলবাড়ী ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ–৫ পান। কিন্তু পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে অনেক সময় না খেয়ে কিংবা রোজা রেখে পড়াশোনা চালিয়ে গেছেন। উচ্চশিক্ষার স্বপ্ন পূরণের দ্বারপ্রান্তে এসে বাবার মৃত্যু ও টাকার অভাবে তাঁর সেই স্বপ্নও প্রায় ভেঙে যাচ্ছিল।
এমন সময় পাশে দাঁড়িয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনটির শাখা সেক্রেটারি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীর আর্থিক সংকটের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে আমরা মইনুলের সঙ্গে যোগাযোগ করি। সে এখন ঢাকায় এসেছে। দ্রুত ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করে তার থাকার ব্যবস্থাও করা হবে ইনশাআল্লাহ।’
তিনি আরও জানান, ‘শিক্ষাবান্ধব একটি সমাজ গড়াই আমাদের উদ্দেশ্য। ইসলামী ছাত্রশিবির সব সময় মেধাবী, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পাশে থাকে। মইনুলের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না।’
বিআরইউ