Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪,

শোক ও শ্রদ্ধায় বিশ্বনেতারা

সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মারা গেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আগস্ট ৩১, ২০২২, ০৩:১০ পিএম


সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা মিখাইল গর্বাচেভ মারা গেছেন

সোভিয়েত ইউনিয়নের সর্বশেষ প্রধান নেতা এবং একমাত্র প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্বাচেভ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) মারা গেছেন। দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর মস্কোর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯১ বছর বয়সে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। 

পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে দীর্ঘ চার দশক ধরে চলা স্নায়ুযুদ্ধের অবসান ঘটান তিনি। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। খবর বিবিসি, হিন্দুস্তান টাইমস।

গর্বাচেভ ১৯৮৫ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত পতনের আগ পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্ব দেন। তার পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন হয় এবং স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়।

এ ছাড়া সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন ইউরোপের পূর্বাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি দেশকে স্বাধীনতা এনে দেয় এবং আধুনিক রাশিয়া রাষ্ট্রের যাত্রা শুরু হয়। 

প্রাচ্য-পশ্চিম সম্পর্কের আমূল পরিবর্তনে প্রধান ভূমিকা পালন করে শীতল যুদ্ধের অবসানে ভূমিকার জন্য ১৯৯০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেয়েছিলেন গর্বাচেভ। সে সময় তিনি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছিলেন।

তবে নিজ দেশে তিনি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। রাশিয়ানরা তাকে ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিলুপ্তির জন্য দায়ী করে। 

কারণ এক সময়ের পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন তার সময়েই ১৫টি দেশে বিভক্ত হয়েছিল। সে সময় তার মিত্ররাও তাকে ত্যাগ করে চলে যান এবং দেশের সব সমস্যার জন্য তাকেই দায়ী করেন।

গর্বাচেভের মৃত্যুতে শোক ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিশ্বনেতারা। 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস টুইটারে বলেছেন, গর্বাচেভ ‘ইতিহাসের গতিপথ পাল্টে দিয়েছেন। তিনি ছিলেন একধরনের দয়ালু রাষ্ট্রনায়ক। একজন শক্তিশালী বিশ্বনেতা। প্রতিশ্রুতিশীল বহুত্ববাদী ও শান্তির এক অক্লান্ত প্রবক্তাকে হারিয়েছে বিশ্ব।’

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এক বিবৃতিতে বলেন, বছরের পর বছর বিরোধিতা চলে আসার পরও যে বিষয়গুলোতে যে পরিবর্তন আনা দরকার, তা স্বীকার করার ‘সাহস’ ছিল গর্বাচেভের। 

তিনি বলেন, ‘সোভিয়েত ইউনিয়নের একজন নেতা হিসেবে আমাদের দুই দেশের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত কমাতে তিনি প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের সঙ্গে কাজ করেছেন।’

গর্বাচেভের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তার মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রুশ বার্তা সংস্থা ইন্টারফ্যাক্সকে এ কথা জানিয়েছেন বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

গর্বাচেভের সাহস ও সততার প্রশংসা করেছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেন, ‘পুতিনের ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর এ সময়ে দাঁড়িয়ে সোভিয়েত সমাজকে উদারতার দিকে এগিয়ে নিতে গর্বাচেভের নিরবচ্ছিন্ন প্রত্যয় আমাদের সবার কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন ‘একজন বিশ্বস্ত ও সম্মানিত নেতা’ অভিহিত করে গর্বাচেভের প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘গর্বাচেভ মুক্ত ইউরোপের দ্বার উন্মোচন করেছিলেন। তার এ অবদান আমরা কখনও ভুলব না।’


টিএইচ

Link copied!