মে ১০, ২০২৫, ১০:৫৮ এএম
ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদ বলছে, ‘অপারেশন সিঁদুরের’ ‘যথাযথ প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ নামে এই অপারেশন শুরু করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ড্রোন পাঠিয়েছে পাকিস্তান।
ভাতরের গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ভারতের ২৬টি স্থানে নতুন করে ড্রোন হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান।
ভারত শাসিত জম্মু ও কাশ্মীর থেকে শুরু করে নরেদ্র মোদির গুজরাটে এসব ড্রোন হামলা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ভারত শাসিত কাশ্মীরের শ্রীনগর বিমানবন্দরের কাছে বড় ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। সেখানে বিশ মিনিটের মধ্যে পাঁচটি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। সরকারি কর্মকর্তা বা সামরিক বাহিনী- কারও পক্ষ থেকেই এখনো এ বিষয়ে কোন মন্তব্য আসেনি।
বিবিসির আরেক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারত-শাসিত কাশ্মীরের উধমপুর এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোট এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এসব এলাকায় ভারতের প্রতিরক্ষা স্থাপনা রয়েছে যেগুলো ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দাবি, ভারতের অত্যাধুনিক এস-৪০০ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছে ভারত।
এছাড়া ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপিসহ দেশটির অনেক ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালানো হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড ওয়েবসাইটে সাইবার হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানি হ্যাকাররা। বিদ্যুৎ মিটার সম্পর্কিত তথ্যসহ ওয়েবসাইটে থাকা বিভিন্ন তথ্য মুছে দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের কিছু এলাকা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে জিও টিভির প্রতিবেদনে।
জিও টিভি জানিয়েছে, পাকিস্তানের হামলায় ভারতের বাথিন্ডা বিমানঘাঁটি ধ্বংস হয়ে গেছে।
আরেক খবরে বলা হয়েছে, হামলায় ভারতের উরি ফিল্ড সরবরাহ ডিপো ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ভারতের একটি সামরিক স্যাটেলাইট আটকে দিয়েছে পাকিস্তান বিমান বাহিনী। স্যাটেলাইটটি এখন অকার্যকর অবস্থায় রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের বরাত দিতে জিও টিভি আরো জানিয়েছে, ভারতের সিরসা বিমানঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়া রাজৌরিতে ভারতীয় সামরিক গোয়েন্দা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংসের দাবি করেছে ইসলামাবাদ।
এর আগে ইসলামাবাদ দাবি করে, রাওয়ালপিন্ডি, চাকওয়াল এবং শোরকোটে বিমানঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে ভারত। দেশটির দাবি এসব হামলা প্রতিহত করা হয়েছে এবং কোনো বিমানের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
বিআরইউ