ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

রাশিয়ায় এবার আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুলাই ৩১, ২০২৫, ১০:৫৩ এএম

রাশিয়ায় এবার আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত

ভূমিকম্পের পর রাশিয়ার কামচাটকা উপদ্বীপে অবস্থিত ক্ল্যুচেভস্কয় আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়েছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, বিশ্বের অন্যতম সক্রিয় ও উচ্চতম এই আগ্নেয়গিরির ঢাল বেয়ে নেমে আসছে জ্বলন্ত লাভা।

বুধবার (৩০ জুলাই) প্রশান্ত মহাসাগরে ৮ দশমিক ৮ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পের পরপরই এই অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়।—খবর দ্য ইনডিপেনডেন্টের।

রুশ বিজ্ঞান একাডেমির ইউনাইটেড জিওফিজিক্যাল সার্ভিস টেলিগ্রামে জানায়, আগ্নেয়গিরির পশ্চিম ঢাল দিয়ে লাভা নেমে আসছে। আগ্নেয়গিরির শীর্ষে দেখা গেছে তীব্র আলোর ঝলক এবং বিস্ফোরণ।

ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, আগ্নেয়গিরিটি পেত্রোপাভলোভস্ক-কামচাতস্কি শহর থেকে প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত। ক্ল্যুচি নামের একটি ছোট শহরের কাছে অবস্থানের কারণে এর নাম রাখা হয়েছে ক্ল্যুচেভস্কয়।

এটি ইউরেশিয়া মহাদেশের সর্বোচ্চ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। এর উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৮৩৫ মিটার (১৫ হাজার ৮৩৩ ফুট)। আগ্নেয়গিরিটি প্রায় সাত হাজার বছর আগে গঠিত হয় এবং এখনো নিয়মিত অগ্ন্যুৎপাত করে। এটি প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ার’ নামে পরিচিত ভূকম্পনপ্রবণ অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত।

ইতিহাস বলছে, ২০১৩ ও ২০২০ সালে ক্ল্যুচেভস্কয়ের দুটি অগ্ন্যুৎপাত বিশ্ব গণমাধ্যমে আলোচিত হয়েছিল। ওই সময় আগ্নেয়গিরিটি কয়েক কিলোমিটার উচ্চতায় ছাইয়ের স্তম্ভ নিক্ষেপ করে, যা বিমান চলাচলেও বিঘ্ন ঘটায়।

এটি গঠিত হয়েছে বহু বছর ধরে জমে থাকা লাভা, ছাই এবং অন্যান্য আগ্নেয় উপাদান দিয়ে। আগ্নেয়গিরিটি রুশ ভূতত্ত্ববিদ ও অভিযাত্রীদের কাছে দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণার বিষয়। তবে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক হওয়ায় এর আশপাশে জনবসতি খুবই সীমিত। রুশ বিজ্ঞানীরা আগ্নেয়গিরির গতিবিধি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করেন, যাতে আগাম সতর্কতা দেওয়া সম্ভব হয়।

আজকের ভূমিকম্পে কামচাটকা অঞ্চলে বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং কিছু মানুষ আহত হয়েছে, তবে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের পর কামচাটকা উপকূলে ৩ থেকে ৪ মিটার উচ্চতার সুনামি ঢেউ রেকর্ড করা হয়। তবে সুনামি আঘাত হানার আগেই উপকূলবর্তী এলাকা থেকে স্থানীয়রা নিরাপদ স্থানে সরে যেতে সক্ষম হন।

বিআরইউ

Link copied!