Amar Sangbad
ঢাকা সোমবার, ১২ মে, ২০২৫,

যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত ইস্যুতে অনড় ভারত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

মে ১১, ২০২৫, ১১:০১ এএম


যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলেও সিন্ধু পানিচুক্তি স্থগিত ইস্যুতে অনড় ভারত

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যস্ততা করতে সক্ষম হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চিরবৈরী দুই পক্ষই একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তবে, সিন্ধু পানিচুক্তিসহ কূটনৈতিক পদক্ষেপগুলোতে এখন পর্যন্ত কোনও পরিবর্তন আসেনি। ফলে, ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কার্যত স্থগিত এখনও। দুই পক্ষই এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনায় বসতে যাচ্ছে শিগগির।

তবে, উদ্ভূত উত্তেজনার শুরুতে সিন্ধুর পানিচুক্তি স্থগিতের ব্যাপারে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত, তা থেকে সরে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই দেশটির। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্ততায় যুদ্ধবিরতি আলোচনা চলাকালেই মিলেছে এমন ইঙ্গিত। ফলে, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও পেহেলগাম হামলার জেরে দুই দেশের মধ্যে যে কূটনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তার সমাধান সহজে হবে না বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। খবর রয়টার্সের।

ব্রিটিশ বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শনিবার (১০ মে) ভারত ও পাকিস্তান সামরিক দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তারা এক আলোচনায় সমুদ্র, আকাশ ও স্থলপথে সব ধরনের সামরিক তৎপরতা বন্ধে সম্মত হলেও ৬৫ বছর আগের সিন্ধু পানিচুক্তি পুনর্বহাল হচ্ছে না বলে স্পষ্ট করা হয়েছে। 

মূলত, ১৯৬০ সালে বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় সিন্ধু নদী ও এর শাখানদীগুলোর (সিন্ধু, চন্দ্রভাগা, শতদ্রু, ঝিলাম, ইরাবতী ও বিপাশা) পানিবণ্টন নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু চুক্তি হয়। এই চুক্তির সুবিধাভোগী ছিল পাকিস্তানের প্রায় কয়েক কোটি মানুষ। কিন্তু, পেহেলগাম হামলার জেরে ঐতিহাসিক ওই চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর ফলে পাকিস্তানে পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাবে, যা দেশটির কোটি কোটি মানুষের জীবনে সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

চুক্তি স্থগিতের ফলে ইতোমধ্যে চেনাব নদীর পাকিস্তান অংশ শুকিয়ে গেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল রোববার (৪ মে) চেনাবের পানিপ্রবাহ ছিল ৩৫ হাজার কিউসেক। কিন্তু, সোমবার (৫ মে) সকালে তা কমে মাত্র ৩ হাজার ১০০ কিউসেক হয়ে গেছে। 

পাঞ্জাব সেচ বিভাগের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, রোববার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ একতরফাভাবে চেনাব নদী থেকে পানি প্রত্যাহার শুরু করে। এ সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তারা ভাটির দিকে (পাকিস্তান অংশ) প্রায় পুরো চেনাব নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে ভারত আমাদের পানি ব্যবহার করছে। তারা তাদের বাঁধ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো ভরাট করছে, যা চেনাব অববাহিকায় অবস্থিত। 

তিনি আরও বলেন, সিন্ধু পানিচুক্তি বাতিল একটি গুরুতর লঙ্ঘন। তারা এমন কাজ করতে পারে না।

বিআরইউ

Link copied!