আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ১১, ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ১১, ২০২৫, ০২:২৪ পিএম
ভারত-পাকিস্তান সংঘাত দ্রুত ‘নাটকীয় মোড়’ নিতে পারে—এমনই আশঙ্কাজনক গোয়েন্দা তথ্য পেয়েই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। এই তথ্য মার্কিন প্রশাসনের সূত্রে দাবি করেছে সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
সূত্র জানায়, শুক্রবার সকালে (মার্কিন সময়) গোয়েন্দারা এমন একটি রিপোর্ট দেন, যা যথেষ্ট সংবেদনশীল বলে প্রশাসন বিস্তারিত প্রকাশ করেনি। তবে সেই রিপোর্টে সংঘাত ঘনীভূত হয়ে যেকোনো সময় মারাত্মক রূপ নিতে পারে, এমনই বার্তা ছিল। রিপোর্ট পাওয়ার পর ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান্স তা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে জানান এবং পরে মোদীকে ফোন করে সরাসরি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার পরামর্শ দেন।
শুক্রবার বিকেলেই ভারত ও পাকিস্তান উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার ঘোষণা দেয়। বিক্রম মিস্রী এক সংক্ষিপ্ত ব্রিফিংয়ে জানান, দুই দেশের সামরিক কর্মকর্তাদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত হয়। বিকেল ৫টা থেকে স্থল, আকাশ ও সমুদ্রপথে সব ধরনের সামরিক অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়।
মার্কিন প্রশাসনের একাংশ জানিয়েছে, ভাইস প্রেসিডেন্ট ভান্স ছাড়াও বিদেশসচিব মার্কো রুবিয়ো এবং হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ সুসি উইলিস বিষয়টি নিয়ে ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখছিলেন। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তারা তৎক্ষণাৎ আলোচনায় বসেন এবং আরও সক্রিয় মধ্যস্থতার সিদ্ধান্ত নেন। এরই ধারাবাহিকতায় মোদীকে ফোন করেন ভান্স। তিনি মোদীকে বলেন, পরিস্থিতি দ্রুত খারাপের দিকে যেতে পারে এবং সপ্তাহান্তে সংঘাত আরও বাড়তে পারে।
ভান্সের এই ভূমিকা প্রসঙ্গে মার্কিন প্রশাসন বলছে, গত মাসে ভারত সফরের সময় মোদীর সঙ্গে সরাসরি বৈঠকের কারণে ট্রাম্প প্রশাসন তার ওপর বিশেষ আস্থা রেখেছিল।
পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক্সে (সাবেক টুইটার) ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানালেও, ভারতের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতিতে আমেরিকার উল্লেখ করা হয়নি। ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব মিস্রী জানিয়েছেন, দুই দেশ সরাসরি আলোচনা করেই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে।
এই ঘটনার মাধ্যমে স্পষ্ট হয়, আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও গোয়েন্দা পর্যবেক্ষণ এখনো উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
আরএস