জুন ১৭, ২০২৫, ১১:০৭ এএম
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। স্থানীয় সময় সোমবার (১৬ জুন) রাতভর ইরান থেকে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থানে ছোড়া হয় একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র। ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় থাকলেও, ইরানি গণমাধ্যমগুলো দাবি, ‘আইরন ডোম’ হ্যাক করায় বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যে আঘাত হানে। এতে হাইফার তেল পরিশোধনাগার সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি। হতাহতের খবরও মিলেছে।
একই সময়ে ইসরায়েল হামলা চালায় তেহরানে। রাষ্ট্রীয় টিভি ভবনে বিস্ফোরণে আগুন ধরে যায়। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে সম্প্রচারে থাকা উপস্থাপকের মধ্যেও। পাল্টা হুমকি দিয়ে ইরান হুঁশিয়ারি দিয়েছে তেল আবিববাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে।
ইরানি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানায়, ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যর্থতার কারণ হ্যাকিং। এমনকি তাবরিজে ইসরাইলের একটি F-35 যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবিও করেছে তারা।
এদিকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সরাসরি ইঙ্গিত দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনিকে হত্যা করতে। জবাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্কিন হস্তক্ষেপে ভেটো দিলেও তেহরানবাসীকে শহর ছাড়ার হুঁশিয়ারি দেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনায় ভেটো দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, ইরান শিগগিরই পারমাণবিক চুক্তি না করলে বাসিন্দাদের তেহরান ত্যাগ করা উচিত।
ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান শান্তিপূর্ণ অবস্থান জানিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ প্রসার চায় না ইরান, তবে আঘাতের জবাব দেয়া হবে। একইসঙ্গে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে কূটনীতির বিরুদ্ধে বড় আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন।
বিআরইউ