Amar Sangbad
ঢাকা রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪,

তুসুকা কারখানায় হামলা : ২২৪ জনের নামে মামলা

মো. মাসুম বিল্লাহ

নভেম্বর ১২, ২০২৩, ০৬:৩৩ পিএম


তুসুকা কারখানায় হামলা : ২২৪ জনের নামে মামলা

গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে শ্রমিক আন্দোলনে তুসুকা কারখানা ভাঙচুর, লুটপাট, মারধর ও ক্ষয়ক্ষতির ঘটনায় ২২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (১১ নভেম্বর) রাতে ওই কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় মামলাটি করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে মঞ্জু খান (২৭) নামে এক যুবককে। তিনি পটুয়াখালী সদরের পুকুরজনা (কিসমতপুর) এলাকার এলাকার মো. ইউসুফের ছেলে।

মামলায় বলা হয়েছে, শ্রমিকদের হামলায় আনুমানিক ৫-৬ কোটি টাকার ক্ষতিসাধন এবং আট লাখ দুই হাজার টাকা চুরি হয়েছে। আসবাবপত্র, অফিস রুমে থাকা ২৫টি ল্যাপটপ, ৩৫টি পিসি, দুটি ফটোকপি মেশিন, তিনটি প্রিন্টার, একটি এলইডি টিভি, ৩০টি এক্সসেস কন্ট্রোলসহ (ফেস মেশিন) কারখানার বিভিন্ন ধরনের মেশিন, এয়ার কন্ডিশন ইউনিট, নভোএয়ারের ও রক্ষিত বাস এবং কারখানার অভ্যন্তরে থাকা ১২টি কাভার্ডভ্যান, ১১টি প্রাইভেটকার, একটি অ্যাম্বুলেন্স, ৫২টি সিসি ক্যামেরা এবং কারখানার ফ্লোরে থাকা রপ্তানিযোগ্য গার্মেন্টস পণ্য নষ্ট করা হয়।

হামলাকারীরা কারখানার সিকিউরিটি ম্যানেজার মুনসুর পাঠান, সিকিউরিটি ডিউটি কর্মকর্তা আ. রাজ্জাক, সিকিউরিটি গার্ড ফিরোজ এবং সিনিয়র অ্যাকাউন্টস কর্মকর্তা আলমগীর হোসেনসহ রফিক, সাধারণ অপারেটর সালমা আক্তার, সাধারণ অপারেটর আর্জিনা আক্তার, ফ্লোর কিউসি রিয়াদ আহম্মেদ, সাধারণ অপারেটর শফিকুলসহ আরও অনেককেই মারধর করা হয়।

ঘটনার পর কারখানার সিটি টিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে ২৪ জনকে তারা চিহ্নিত করতে পেরেছেন। বাকি ২০০ জন হামলাকারীদের তারা চিহ্নিত করতে পারেনি। পরে ওই ঘটনায় তুসুকা কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আবু সাঈদ বাদী হয়ে মো. মঞ্জু খাঁনকে প্রধান আসামি করে ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেন। তবে পুলিশ রোববার বিকেল পর্যন্ত ওই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

তুসুকা গ্রুপের পরিচালক মো. তারিক হাসান বলেন, সিটিসিভির ফুটেজ দেখে ২৪ জনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। সবাই আমাদের কারখানার শ্রমিক। বাকিদের চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি।

কোনাবাড়ী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মহিউদ্দিন ফারুক বলেন, এ মামলায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তবে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

২৩ অক্টোবর থেকে গাজীপুরে শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন। পরে মজুরি বোর্ডে বেতন ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষাণা হলেও প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন অব্যাহত রাখেন শ্রমিকরা। সেদিন তুসুকাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় শ্রমিকরা ভাঙচুর চালায়। শ্রমিক আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ১২৩টি কারখানায় ভাঙচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত মামলার সংখ্যা হয়েছে ২৪টি। গ্রেফতার করা হয়েছে ৮৮ জনকে।

আরএস

Link copied!