ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

শিশু মেহেদীকে মামার জিম্মায় দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ১৩, ২০২৪, ০৫:৪৬ পিএম

শিশু মেহেদীকে  মামার জিম্মায় দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের

ময়মনসিংহের ভালুকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া নারীর শিশু সন্তান মেহেদী হাসানকে তার মামার জিম্মায় দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সোমবার (১৩ মে) বিচারপতি এম আর হাসান ও বিচারপতি ফাহমিদা কাদের চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ আইনজীবী বলেন, আদালত ভালুকা মডেল থানায় দায়ের করা মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে দায়ী গাড়ি এবং আসামিকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করার জন্য ভালুকার ওসি, ময়মনসিংহের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ২০ মের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল, সুরতহাল রিপোর্ট ও অন্যান্য তথ্য আদালতে দাখিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট এলাকার ডিআইজিকে মামলাটি তদারকি করতে বলা হয়েছে। র‍্যাবের মহাপরিচালককে আসামি গ্রেপ্তারের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত ভিন্নরূপ দাবি না থাকায় শিশুটির তত্ত্বাবধান ও হেফাজতের জন্য তার মামার কাছে অস্থায়ীভাবে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। শিশুটির আরো উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়া এবং এ ব্যাপারে পদক্ষেপগুলো প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে হবে। শিশুটির অভিভাবকত্ব নিয়ে সংশ্লিষ্ট আদালতে দরখাস্ত দাখিল ও নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহের ভালুকায় মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মায়ের মৃত্যু হলেও কোল থেকে ছিটকে পড়ে অলৌকিক বেঁচে আছে দেড় বছরের শিশুপুত্র মেহেদী হাসান। মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে বর্তমানে শিশুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তার ছবি দেওয়া হয়। পরে ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে শিশুটির কোনো আত্মীয়-স্বজনের সন্ধান পাওয়া না গেলেও দুই দিন পর রোববার স্বজনদের মাধ্যমে পরিচয় মিলেছে তাদের।

নিহতের বড় ভাই রবিন মিয়া ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এসে মর্গে থাকা বোন জায়েদা খাতুনের (৩২) মরদেহ এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ভাগ্নে মেহেদী হাসানকে শনাক্ত করেন।

নিহত জায়েদা খাতুন সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার খুশিউড়া গ্রামের মো. রমিজ উদ্দিনের মেয়ে।

এদিকে রোববার সকালে হাসপাতালের পরিচালকসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শিশুটিকে দেখতে ওয়ার্ডে যান। এ সময় হাসপাতালের পরিচালক গোলাম ফেরদৌস সাংবাদিকদের জানান, শিশুটি এখন শঙ্কামুক্ত। সমাজসেবা অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকবে। প্রকৃত অভিভাবক পেলে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

এদিকে পুলিশ জায়েদার স্বামী ফারুক মিয়াকে খুঁজছে। হাসপাতালে আগত স্বজনদের কেউ কেউ বলছেন, শিশুর বাবা ফারুক মিয়া হাসপাতালে আড়াল করে আছেন।

ভালুকা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, ৯ মে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ভালুকা উপজেলার স্কয়ার মাস্টারবাড়ি এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় মা ও শিশুপুত্রকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কীভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে, তা তারা জানেন না। স্থানীয় লোকজন খবর দিলে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ওই নারী মারা যান। শিশুপুত্রটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহতের বড় ভাই রবিন মিয়া জানান, প্রথমে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বিয়ে হলেও স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় সেই সংসার ভেঙে যায় তার বোন জায়েদা খাতুনের। এরপর জায়েদা খাতুনের বিয়ে হয় নরসিংদীর পলাশ থানার গজারিয়া ইউনিয়নের কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. ফারুক মিয়ার সঙ্গে। স্বামী ফারুক মিয়া এর আগেও একটি বিয়ে করেন। সেই ঘরে এক স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে।

আরএস

Link copied!