ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শুক্রবার, ০১ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

স্ত্রী-ছেলেমেয়েসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

অক্টোবর ৯, ২০২৪, ০৫:১৯ পিএম

স্ত্রী-ছেলেমেয়েসহ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা

ক্ষমতার অপব্যবহার, নিয়োগ বাণিজ্য, ঘুস, অর্থপাচার ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তার স্ত্রী লুৎফুল তাহমিনা খান, ছেলে শাফি মোদ্দাছির খান, মেয়ে শাফিয়া তাসনিম খানের নামে পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এছাড়া মামলা করা হয়েছে কামালের এপিএস মনির হোসেনের নামেও।

বুধবার (৯ অক্টোবর) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় এসব মামলা করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা।

তাদের বিরুদ্ধে পাঁচটি পৃথক মামলা হয়েছে, যার মধ্যে চারটির আসামি আসাদুজ্জামান খান। এসব মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পরিবারের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ৬০ কোটি ৫৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৫৬ টাকা। ৩৬টি ব্যাংক হিসাবের অস্বাভাবিক লেনদেনের মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তার পরিমাণ ৪০০ কোটি ৭৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০৯ টাকা।

কামালের বিরুদ্ধে ১৬ কোটি ৪১ লাখ ৫৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৮টি ব্যাংক হিসাবে ৫৫ লাখ ৯২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৩৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন ও মানিন্ডারিংয়ের অভিযোগ করে দুদক। এই মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম। এই মামলার একমাত্র আসামি কামাল।

প্রথম মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি ঘুস ও দুর্নীতি মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করেছেন। আসামির বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২), ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

দ্বিতীয় মামলায় লুৎফুল তাহমিনা খানের সঙ্গে আসামি কামাল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ; কামালের দুর্নীতির টাকায় সম্পদশালী হয়েছেন তাহমিনা। তাহমিনার ১০টি ব্যাংক হিসাবে ৪৩ কোটি ৭৭ হাজার ৭৪৫ টাকার লেনদেন পাওয়া গেছে। আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১), মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২), ৪ (৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এই মামলার বাদী দুদলের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন।

তৃতীয় মামলার আসামি কামাল ও তার ছেলে শাফি। তাদের বিরুদ্ধে ১৯ কোটি ৮৯ লাখ ৭৮ হাজার ৫০২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। শাফি তার নামে ব্যাংক হিসাবে খুলে সেখান ৮৪ কোটি ৭৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭২ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন।

চতুর্থ মামলার আসামির কামাল ও তার মেয়ে শাফিয়া তাসনিম। তাদের বিরুদ্ধে ৮ কোটি ৭৭ লাখ ৬৮ হাজার ৪৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। শাফিয়ার ব্যাংক হিসাবে ২৬ কোটি ৩৪ লাখ ৭০ হাজার ৫৪২ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পাওয়া গেছে।

পঞ্চম মামলায় আসামি কামালের এপিএস মনির হোসেন। তার বিরুদ্ধে ১৮ কোটি ৮২ লাখ ৫৬ হাজার ১৪২ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ব্যাংক হিসাবে ৩১ কোটি ৩১ লাখ ৭০ হাজার ৮৩৪ টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন পেয়েছে দুদক।

এছাড়া দুদক সূত্র জানায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (অবসরপ্রাপ্ত) মো. হারুন-অর-রশিদ বিশ্বাস, যুগ্ম সচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (সিআইডি) মোল্যা নজরুল ইসলাম, মন্ত্রণালয়ের সাবেক জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্যা ইব্রাহিম হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগসমূহের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে।

গত ১৫ আগস্ট আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার পাঁচ সহযোগীর বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ২১ আগস্ট কামালের পরিবার এবং তার সাবেক পিএস হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন এবং জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুসহ আটজনের ব্যাংক হিসাবের সব লেনদেনের তথ্য তলব করে দুদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আসাদুজ্জামান খান কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ঘুস হিসেবে বস্তা বস্তা টাকা নিতেন। পুলিশ, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিস থেকে এই টাকা আদায় করা হতো। এজন্য তৎকালীন অতিরিক্ত সচিব ড. হারুন অর রশীদ বিশ্বাসের নেতৃত্বে সিন্ডিকেট গড়ে তোলেন তিনি।

আরএস

Link copied!