ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

বর্ষায় ঘুরে আসুন দেশের বিখ্যাত হাওর গুলোতে

মো. মাসুম বিল্লাহ

জুলাই ৩০, ২০২২, ০৭:২৮ পিএম

বর্ষায়  ঘুরে আসুন দেশের বিখ্যাত হাওর গুলোতে

বর্ষায় বহুগুণ বেড়ে যায় হাওরের সোন্দর্য । ভ্রমণপিপাসুরা সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতেই টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে শুরু করে নিকলী হাওরে ছুটে যায় আত্মার প্রশান্তিতে । বর্ষায় হাওরের চারদিকে থৈ থৈ করে পানি। এর মধ্যে প্রমোদতরীতে ভেসে বেড়ানোর সুখ নিতেই সবাই ছোটেন হাওরে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার জলাধার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যাদের মধ্যে অন্যতম হলো হাওর। বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুসারে দেশে মোট ৪১৪টি হাওর আছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবানুসারে হাওরের সংখ্যা ৪২৩টি। এর মধ্যে ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে উপরের সারিতে আছে ৫ হাওরের নাম। জেনে নিন বর্ষায় কোন কোন হাওরে ঘুরতে যাবেন-

টাঙ্গুয়ার হাওর

বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি হাওর। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত এ হাওর বাংলাদেশর দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠা পানির জলাভূমি। স্থানীয়দের কাছে হাওরটি নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল নামেও পরিচিত।এটি দেশের দ্বিতীয় রামসার স্থান হিসেবে পরিচিত, আর প্রথমটি হলো সুন্দরবন।

ভারতের মেঘালয়ের খাসিয়া, জৈন্তা পাহাড়ের পাদদেশে সারি সারি হিজল-করচ শোভিত, পাখিদের কলকাকলি মুখরিত টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ, পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম। বর্ষায় এর পুরোটাই পানিতে ডুবে থাকলেও শীতে পানি কমতে থাকে। এর বড় একটা অংশ তখন শুকিয়ে যায় যায়।


টাংগুয়ার হাওর এর প্রধান দুটি পাখির অভয়ারণ্য হল লেউচ্ছামারা ও বেরবেড়িয়ার বিল। এ হাওর শুধু একটি জলমহাল বা মাছ প্রতিপালন, সংরক্ষণ ও আহরণেরই স্থান নয়। এটি একটি মাদার ফিশারী। হিজল করচের দৃষ্টি নন্দন সারি এ হাওরকে করেছে মোহনীয়।

কীভাবে যাবেন?

প্রথমেই পৌঁছাতে হবে সুনামগঞ্জ জেলা শহরে। সুনামগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেববাজার ঘাট পর্যন্ত রিকশায় যান। বর্ষাকালে শহরের সাহেব বাড়ি নৌকা ঘাট থেকে ইঞ্জিন বোট বা স্পিড বোটে সরাসরি টাঙ্গুয়া যাওয়া যায়। ইঞ্জিন বোটে ৫ ঘণ্টায় ২৫০০-৩০০০ টাকা ও স্পিড বোটে ২ ঘণ্টা ৭৫০০-৮০০০ টাকা খরচ পড়বে।

রাতে থাকার জন্য নৌকা ভাড়া করলে প্রয়োজনীয় বাজারসদাই করে নেবেন। সেক্ষেত্রে লোকাল ট্রলার বা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় ভাড়া পরবে ৫০০০ টাকার মতো। আর বিলাসবহুল ইঞ্জিন চালিত নৌকাগুলোতে হাই কমোডসহ বাথরুম, ছাদে তেরপলসহ অনেক সুবিধা আছে সেগুলোর ভাড়া পড়বে ১০০০০-১৬০০০ টাকার মতো।

বর্ষায় বহুগুণ বেড়ে যায় হাওরের সোন্দর্য । ভ্রমণপিপাসুরা সেই সৌন্দর্য উপভোগ করতেই টাঙ্গুয়ার হাওর থেকে শুরু করে নিকলী হাওরে ছুটে যায় আত্মার প্রশান্তিতে । বর্ষায় হাওরের চারদিকে থৈ থৈ করে পানি। এর মধ্যে প্রমোদতরীতে ভেসে বেড়ানোর সুখ নিতেই সবাই ছোটেন হাওরে।

নদীমাতৃক বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার জলাধার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, যাদের মধ্যে অন্যতম হলো হাওর। বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুসারে দেশে মোট ৪১৪টি হাওর আছে।

অন্যদিকে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবানুসারে হাওরের সংখ্যা ৪২৩টি। এর মধ্যে ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে উপরের সারিতে আছে ৫ হাওরের নাম। জেনে নিন বর্ষায় কোন কোন হাওরে ঘুরতে যাবেন-

 

হাকালুকি হাওর

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর। এটি এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি। এর আয়তন ১৮ হাজার ১১৫ হেক্টর। তার মধ্যে শুধু বিলের আয়তন ৪ হাজার ৪০০ হেক্টর। এটি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা (৪০ শতাংশ), কুলাউড়া (৩০ শতাংশ), সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ (১৫ শতাংশ), গোলাপগঞ্জ (১০ শতাংশ) বিয়ানীবাজার (৫ শতাংশ) জুড়ে বিস্তৃত।

ভূ-তাত্ত্বিকভাবে এর অবস্থান, উত্তরে ভারতের মেঘালয় পাহাড় ও পূর্বে ত্রিপুরা পাহাড়ের পাদদেশে। ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের কারণে উজানে প্রচুর পাহাড় থাকায় হাকালুকি হাওরে প্রায় প্রতিবছরই আকষ্মিক বন্যা হয়। এই হাওরে ৮০-৯০টি ছোট, বড় ও মাঝারি বিল আছে। শীতকালে এসব বিলকে ঘিরে পরিযায়ী পাখিদের বিচরণে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

বর্ষাকালে হাওর এলাকায় পলিমাটি পড়ায় বিলগুলো ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর সেখানে কিছু কিছু জায়গায় ধান চাষ করা হয়। ফসল কাটার পর বিলগুলিতে হাজার হাজার গবাদি পশু বিচরণ করে। হাকালুকি হাওরে প্রচুর পরিমাণ মৎস্য সম্পদ রয়েছে।

এই হাওরের বিলগুলো অনেক প্রজাতির দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক আবাস। মৎস্যবিজ্ঞানীদের মতে, এই হাওর হলো মাদার ফিশারী। এখানে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির মাছ আছে। হাওর এলাকায় প্রধানত পেশাদার জেলে, মৌসুমি জেলে ও খোরাকি জেলেদের বসবাস আছে।

কীভাবে যাবেন?

ঢাকা থেকে হাকালুকি হাওরে যেতে প্রথমে মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া আসতে হবে। কুলাউড়া থেকে অটোরিকশা বা রিকশা ভাড়া করে সরাসরি হাওরে যাওয়া যায়। রাত্রিযাপনের জন্য হাওরে বিল ইজারাদারদের কুটিরগুলোতে বিল মালিকের অনুমতি নিয়ে ২-৪ জন অনায়াসেই থাকা যায়। তবে বিল এলাকায় জোছনা রাতে তাঁবু ফেলে ক্যাম্পিং করার মুহুর্তগুলো ভ্রমণকে স্মৃতিময় করে তোলে।

হাকালুকি হাওর ভ্রমণের সময় নৌকার মাঝির সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় বাজার করে নিলে মাঝিই রান্না করে খাওয়াবে। এছাড়া নৌকায় উঠার সময় বিস্কুট, চা, পাউরুটি, খাবার পানি ইত্যাদি হালকা খাবার নিয়ে ভ্রমণ করা উচিত। হাওরে স্বল্পমূল্যে গরু-মহিষের দুধ পাওয়া যায়।

নিকলী হাওর

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ জেলায় অবস্থিত একটি হাওর। এর নাম এসেছে নিকলী উপজেলা থেকে, যেখান থেকে হাওরটির উৎপত্তি হয়েছে। নিকলী ছাড়াও এই হাওরের পরিধি পার্শ্ববর্তী মিঠামইন, অষ্টগ্রাম ও ইটনা উপজেলা পর্যন্ত বিস্তৃত। ঢাকা থেকে এর দুরত্ব ১১০ কিলোমিটার।

এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ মিঠাপানির জলাভূমি ও জনপ্রিয় একটি পর্যটন কেন্দ্র। ঢাকার সাথে সহজ সড়ক ও রেল যোগাযোগ এই হাওরের পর্যটন বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। নিকলীতে একাধিক আবাসিক হোটেল গড়ে উঠায় পর্যটকরা এখন একাধিক দিন হাওর ভ্রমণের সুবিধা পাচ্ছে। জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসই হলো নিকল হাওর ভ্রমণের সেরা সময়।

কীভাবে যাবেন?

প্রথমেই পৌঁছাতে হবে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে। এরপর কালিয়াচাপরা সুগার মিল এলাকা থেকে সিএনজি করে নিকলী হাওর চলে যাবেন। সময় লাগবে ঘণ্টাখানেক। আবার পুলের ঘাট নেমেও আধা ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছাতে পারবেন হাওরে।

নিকলীতে থাকার জন্য বেশ কিছু আবাসিক হোটেল আছে। চাইলে সেখানে রাত্রিযাপন করতে পারবেন। তবে অনেকেই সারাদিন হাওর ভ্রমণ করে সন্ধ্যা ফিরে যান নিজ গন্তব্যে।

বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ হাওর। এটি এশিয়ার অন্যতম বৃহত্তম মিঠাপানির জলাভূমি। এর আয়তন ১৮ হাজার ১১৫ হেক্টর। তার মধ্যে শুধু বিলের আয়তন ৪ হাজার ৪০০ হেক্টর। এটি মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা (৪০ শতাংশ), কুলাউড়া (৩০ শতাংশ), সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ (১৫ শতাংশ), গোলাপগঞ্জ (১০ শতাংশ) বিয়ানীবাজার (৫ শতাংশ) জুড়ে বিস্তৃত।

ভূ-তাত্ত্বিকভাবে এর অবস্থান, উত্তরে ভারতের মেঘালয় পাহাড় ও পূর্বে ত্রিপুরা পাহাড়ের পাদদেশে। ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের কারণে উজানে প্রচুর পাহাড় থাকায় হাকালুকি হাওরে প্রায় প্রতিবছরই আকষ্মিক বন্যা হয়। এই হাওরে ৮০-৯০টি ছোট, বড় ও মাঝারি বিল আছে। শীতকালে এসব বিলকে ঘিরে পরিযায়ী পাখিদের বিচরণে মুখর হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।

বর্ষাকালে হাওর এলাকায় পলিমাটি পড়ায় বিলগুলো ক্রমশ ছোট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর সেখানে কিছু কিছু জায়গায় ধান চাষ করা হয়। ফসল কাটার পর বিলগুলিতে হাজার হাজার গবাদি পশু বিচরণ করে। হাকালুকি হাওরে প্রচুর পরিমাণ মৎস্য সম্পদ রয়েছে।

এই হাওরের বিলগুলো অনেক প্রজাতির দেশীয় মাছের প্রাকৃতিক আবাস। মৎস্যবিজ্ঞানীদের মতে, এই হাওর হলো মাদার ফিশারী। এখানে বিভিন্ন বিরল প্রজাতির মাছ আছে। হাওর এলাকায় প্রধানত পেশাদার জেলে, মৌসুমি জেলে ও খোরাকি জেলেদের বসবাস আছে।

আরইউ

Link copied!