মাদক উদ্ধারে গিয়ে হামলার শিকার পুলিশ, ইউপি সদস্য সহ আটক ৪

মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের মধ্য-পেয়ারপুর এলাকায় বুধবার বিকালে মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় জেলার গোয়েন্দা পুলিশের এক এসআই সহ তিন পুলিশ সদস্য আহত ও ডিবি পুলিশের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ ঘটনায় পেয়ারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুর খানসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 

এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় পুলিশ বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারদের বৃহস্পতিবার মাদারীপুর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আল মামুন এর আদালতে হাজির করা হলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক তাদেরকে জেলা কারাগারে প্রেরণের আদেশ প্রদান করেন।  

গোয়েন্দা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুর খানের বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ঘরে ইয়াবার একটি বড় চালান রেখে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ওই এলাকার আলকেজ হাওলাদারের দুই ছেলে বিটু হাওলাদার ও ইব্রাহীম হাওলাদার। 

এমন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার গোয়ান্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ আব্দুল রশীদের নেতৃত্বে একটি দল সবুর খানের বাড়িতে অভিযান চালায়। 

এসময় ইব্রাহীম হাওলাদারকে মাদকসহ আটক করেন-গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে আসনে পেয়ারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুর খান। পরে ইউপি সদস্য ভুয়া পুলিশ আখ্যা দিয়ে হামলা চালিয়ে আটক হওয়া মাদক ব্যবসায়ী ইব্রাহীমকে ছিনিয়ে নেয়। 

এসময় পুলিশের উপর লাঠিশোঠা দিয়ে বেদম মারধর করা হয়। এতে জেলার গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ আব্দুল রশীদ (৪২), সহকারী উপপরির্শক (এএসআই) শফিউল বাশার (৩২) ও এএসআই মো. সজীব (৩২) আহত হয়। 

এসময় ভাংচুর করা হয় পুলিশের ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল। খবর পেয়ে ডিবি পুলিশের অতিরিক্ত একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। 

এসময় ঘটনাস্থল থেকে অভিযান চালিয়ে ইউপি সদস্য সবুর খানসহ চার জনকে আটক করে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পেয়ারপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুর খান, মধ্য-পেয়ারপুর গ্রামের বারেক কাজীর ছেলে রাহাদ কাজী, একই গ্রামের আব্দুল হক খালাসীর ছেলে রফিকুল ইসলাম ও গফুর কাজীর ছেলে আক্কাস কাজী। 

মামলার বাদি ডিবি পুলিশের এসআই শরীফ আব্দুল রশীদ বলেন, ডিবি পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ ৪জনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আটক ৪ জনসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাত করে সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।

আমারসংবাদ/এআই