মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো:
মে ১৪, ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
মামুনুর রশিদ, চট্টগ্রাম ব্যুরো:
মে ১৪, ২০২৫, ১২:১৩ পিএম
চট্টগ্রাম বন্দরকে বাংলাদেশের অর্থনীতির হৃদপিণ্ড আখ্যা দিয়ে এর দ্রুত আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর ইয়ার্ড পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর শক্তিশালী না হলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে না।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। পিছিয়ে থাকার জন্য দুঃখ প্রকাশ বা গভীর অনুশোচনার চেয়ে আমরা বরং ছোটখাটো বিষয় নিয়ে ঝগড়াতেই বেশি ব্যস্ত। অথচ বিরাট পরিবর্তনের যেসব জায়গায় আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার, সেগুলোতে আমরা উদাসীন।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘বন্দরের পেছনে একটি দক্ষ ও দায়িত্বরত টিম কাজ করছে। এই টিমকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে কাজটি শেষ করতে হবে। আমি নৌ উপদেষ্টাকে স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি—বন্দরের ব্যবস্থাপনাকে বিশ্বমানের করতে হবে। সময়মতো কাজ শেষ করতে হবে। মানুষ রাজি না থাকলে তাদের বোঝাতে হবে—কারণ এটা সবার জন্য ভালো।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বদলে দিতে হলে চট্টগ্রাম বন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে হবে। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, নেপাল, ভুটান এমনকি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের (সেভেন সিস্টার্স) জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবাই মিলে লাভবান হতে পারি এই বন্দরকে ঘিরে।’
বন্দর প্রসঙ্গে ড. ইউনূস বলেন, ‘এটি যেন দেশের অর্থনৈতিক হৃদপিণ্ড। আর এই হৃদপিণ্ড যদি দুর্বল হয়, তবে পুরো শরীর অকার্যকর হয়ে পড়ে। আমাদের এই বন্দরকে এমন শক্তিশালী করতে হবে, যেন তা দেশের ভেতরে রপ্তানি-আমদানির কেন্দ্র হয় এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গেও সংযুক্ত থাকে।’
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় বন্দরের বর্তমান অবস্থা ও ব্যবস্থাপনা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বিশ্বমানের বন্দরের দিকে তাকালে আমাদের চট্টগ্রাম বন্দরের অবস্থানকে দুর্বল মনে হয়। আমরা একটি বন্দর ও কয়েকটি টার্মিনাল নিয়ে গর্ব করি, অথচ বিশ্বের বড় বন্দরগুলো আমাদের চেয়ে বহু গুণ এগিয়ে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন– নৌ উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক এবং চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস. এম. মনিরুজ্জামান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে যোগদানের পাশাপাশি, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঐতিহাসিক জোবরা গ্রাম পরিদর্শন করবেন, যেখানে তিনি বিখ্যাত ক্ষুদ্রঋণ ধারণার জন্য খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
বিআরইউ