ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনায় নতুন শিক্ষাক্রম

রায়হান আহমেদ তপাদার

রায়হান আহমেদ তপাদার

জুলাই ১৯, ২০২২, ০২:৩৩ এএম

চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনায় নতুন শিক্ষাক্রম

যে শিক্ষা গ্রহণ করে একজন শিক্ষার্থী সমাজ, রাষ্ট্র তথা নিজের জন্য কিছু করতে পারে না সেই শিক্ষা তার জন্য আশীর্বাদের বদলে অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায়। শিক্ষা হলো তাই, যা একজন মানুষকে তার নিজের অস্তিত্বের জন্য এবং সমাজের কল্যাণের জন্য দক্ষ করে তোলে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্য, আমাদের বর্তমান মুখস্থনির্ভর শিক্ষাব্যবস্থা শিক্ষার্থীদের মাঝে সেই দক্ষতা সৃষ্টিতে ব্যর্থ। কিন্তু শিক্ষাব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা বিশেষজ্ঞরা বারবার বলে আসছেন। কিন্তু কাজের কাজ যা হয়েছে তা অপ্রতুল। 

প্রস্তাবিত শিক্ষানীতিতে যদিও প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ধারাবাহিকতা রাখার কথা বলা হয়েছে এবং প্রাসঙ্গিকভাবে শিক্ষার বিভিন্ন পর্যায় ও স্তরের উদ্দেশ্যসমূহও বিধৃত হয়েছে, কিন্তু এই প্রাসঙ্গিকতা বর্তমান শিক্ষানীতির সঙ্গে কতটুকু সামজস্যপূর্ণ, তা নিয়ে বিশদভাবে ভাবার অবকাশ রয়েছে। বিশেষ করে কারিগরি শিক্ষার বিষয়টি তুলনামূলকভাবে কম গুরুত্ব পেয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। অনুমোদিত নতুন শিক্ষাক্রম রূপরেখায় আটটি বিষয়ে মূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। 

আর এ শিক্ষাক্রমে ৯টি বিষয় নতুন সংযোজন করা হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে রূপরেখায় যে ১১টি বিষয় বাস্তবায়ন আবশ্যক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে এগুলো নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়, কিন্তু তা শুধু কাগজে-কলমে লিপিবদ্ধ নয়তো?

 এগুলো কবে থেকে, কীভাবে, কতদিনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বা কাদের দ্বারাই শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু বলা হয়নি। সুতরাং এ রূপরেখার বাস্তবায়ন করতে কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে, যে ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো উত্তরণ পথ দেখানো হয়নি বা কোনো দিকনির্দেশনাও প্রদান করা হয়নি।

নতুন শিক্ষাক্রম চালুর লক্ষ্য সম্পর্কে রূপরেখায় বলা হয়েছে— সংবেদনশীল, জবাবদিহিমূলক, একীভূত ও অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নতুন শিক্ষাক্রমের লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এমনকি শিক্ষার্থীর দৃষ্টিভঙ্গি, জ্ঞান, যোগ্যতা, মূল্যবোধ ও দক্ষতা বাড়াতে জাতীয় শিক্ষাক্রমের মূল ভিত্তি ঠিক করা হয়েছে এ রূপরেখায়। যোগ্যতা নির্ধারণে শিক্ষার্থীদের প্রেরণা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধানের রাষ্ট্রীয় চার মূলনীতিকে গুরুত্ব দিয়ে নতুন শিক্ষাক্রম প্রস্তুত করা হয়েছে। 

নতুন শিক্ষাক্রমের অভিলক্ষ্য হচ্ছে সব শিক্ষার্থীর অন্তর্নিহিত সম্ভাবনা বিকাশে কার্যকর ও নমনীয় শিক্ষাক্রম প্রণয়ন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে শিক্ষার্থীর বিকাশ ও উৎকর্ষের সামাজিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা, প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশের বাইরেও বহুমাত্রিক শিখনের সুযোগ সৃষ্টি ও স্বীকৃতি প্রদান এবং সংবেদনশীল, জবাবদিহিমূলক একীভূত ও অংশগ্রহণমূলক শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করণসহ শিক্ষাব্যবস্থার সব পর্যায়ে দায়িত্বশীল, স্ব-প্রণোদিত, দক্ষ ও পেশাদার জনশক্তি নিয়োগ। নতুন শিক্ষাক্রমে, প্রাক-প্রাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ধারাবাহিক বা গাঠনিক মূল্যায়নের ওপর জোর দেয়া হয়েছে। 

এটি ইতিবাচক, কিন্তু শিক্ষকেরা কি সঠিক ও কার্যকরভাবে শিক্ষার্থীদের সারা বছর ধরে মূল্যায়ন করতে সক্ষম? সারা বছর মূল্যায়ন করার মতো প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ্য কি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর রয়েছে? এ ধরনের মূল্যায়নের জন্য শিক্ষকেরা কতটুকু প্রস্তুত? স্থানীয় নানা চাপ উপেক্ষা করে শিক্ষকেরা কি আদৌ যথাযথভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করতে পারবেন? বেশ কয়েক বছর আগে বিদ্যালয়ভিত্তিক মূল্যায়নের একটি প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছিল, যা শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়। 

সুতরাং সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়ন করতে না পারলে ফলাফল নেতিবাচক হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো বার্ষিক পরীক্ষা না থাকার সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয়, এটি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত হলে আরও ভালো হতো। কিন্তু তাদের তো কোনো না কোনো ধরনের মূল্যায়ন প্রক্রিয়া থাকা আবশ্যক, যার ওপর ভিত্তি করে তাদের পরবর্তী শ্রেণিতে উন্নিত করা যেতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি প্রতিযোগিতার মানসিকতা তৈরি হতে পারে। একইভাবে ২০২৩ সাল থেকে প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষাও থাকছে না। 

সেই হিসাবে শিক্ষার্থীরা প্রথম বড় আঙ্গিকে পরীক্ষা দেবে এসএসসিতে। সেখানে শুধু দশম শ্রেণির বিষয়বস্তুর ওপর পরীক্ষা হবে। নবম শ্রেণির পাঠ্যবিষয় বাদ রেখে শুধু দশম শ্রেণির ওপর পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানভিত্তিক মেধা গঠনে কতটুকু সহায়ক হবে তা প্রশ্নবিদ্ধ। আরেকটি বিস্ময়কর ব্যাপার হলো একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণিতে দুটো পাবলিক পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত; অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ পরপর তিন বছর তিনটি পাবলিক পরীক্ষা দিতে হবে। 

যেখানে শিক্ষার্থীর মানসিক চাপ কমাতে প্রাথমিক সমাপনী ও জেএসসি পরীক্ষা বাতিল করার কথা বলা হচ্ছে, সেখানে এইচএসসিতে পাবলিক পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ বৃদ্ধির আরেকটি প্রয়াস। এতে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট বা কোচিংয়ে পড়ার হার বেড়ে যাবে। ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞানচর্চার আগ্রহ কমে যাবে। শিক্ষানীতিতে আমাদের দেশে ব্যর্থতার অধ্যায় কম নয়।

২০১০ শিক্ষানীতিতে শিক্ষার প্রাথমিক স্তর ধরা হয়েছিল অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত, তা কিন্তু আজো বাস্তবায়িত হয়নি সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবে। বর্তমান শিক্ষাক্রম তৈরির সময় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য বা এসডিজিকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে বলে ধারণা করা যায়। সে হিসাবে বলা যায়, ২০৩০ সালের আগে প্রাথমিক স্তরের সীমা অষ্টম শ্রেণিতে উন্নীত করার চিন্তাভাবনা সরকারের নেই। নতুন শিক্ষাক্রমেও এ সম্পর্কিত কোনো আভাস পাওয়া যায়নি। 

এনসিটিবি যদিও দাবি করছে, শিক্ষানীতির সঙ্গে মিল রেখে নতুন শিক্ষাক্রম করা হয়েছে, তবে বাস্তবে তা যথাযথ বলে মনে হচ্ছে না। সুতরাং নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক ভালো দিক থাকলেও সবচেয়ে বড় শঙ্কার জায়গা হলো এর বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া। 

গত দুই দশকে একাধিক শিক্ষাক্রম তৈরি করা হয়েছে, কিন্তু প্রতিবারই বাস্তবায়ন-প্রক্রিয়া হোঁচট খেয়েছে। এ শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে মূল ও বড় ভূমিকা পালন করবেন শিক্ষকরা। কিন্তু তাদের যথাযথভাবে তৈরি না করে শিক্ষাক্রম চালু করা হলে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

তাই প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রয়োজন অনুসারে দ্রুত যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন। জাতীয় শিক্ষানীতিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যে অনুপাত নির্ধারণ করা হয়েছে, সেই অনুসারে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যোগ্য শিক্ষক রয়েছে কি না, তা দ্রুত যাচাই করা এবং সে অনুসারে শিক্ষক নিয়োগ করা প্রয়োজন। শিক্ষকদের মান ও শিক্ষাদানের প্রতি তাদের আগ্রহের বিষয়টিও প্রশ্নযুক্ত। নতুন শিক্ষাক্রম চালুর আগে শিক্ষকদের মান যাচাই করা প্রয়োজন। 

মানের বিচারে যারা যোগ্যতা ও দক্ষতা প্রদর্শন করতে পারবেন না, তাদের বিকল্প সম্পর্কে ভাবতে হবে এবং প্রয়োজনে নতুন মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া আবশ্যক হবে। 

তথ্যসূত্রে, মাধ্যমিক পর্যায়ে ষষ্ঠ শ্রেণির সারা দেশে ৬১টি স্কুল, কারিগরি ও মাদ্রাসায় নতুন শিক্ষাক্রম পাইলটিং শুরু করা হয়েছে। সে ব্যাপারে প্রতিষ্ঠানগুলোর সফলতা কতটুকু হয়েছে সে সম্পর্কে কোনো প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে কি না সেটাও নিশ্চিত নয়। 

আবার বলা হয়েছে এ বছরের আগস্টে প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণির পাইলটিং শুরু করা হবে। এরপর ২০২৩ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করা হবে। ২০২৪ সালে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি এবং অষ্টম ও নবম শ্রেণি এ শিক্ষাক্রমের আওতায় আসবে। ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণি যুক্ত হবে। 

২০২৬ সালে একাদশ ও ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণি যুক্ত হবে। এগুলো সবই তাত্ত্বিক, বাস্তবায়নের কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ কি আদৌ নেয়া হচ্ছে? তাও প্রশ্নবিদ্ধ। শিখন-শেখানো কৌশল এবং শিখন-শেখানো সামগ্রী অংশেও মনে করছি, নতুন রূপরেখা বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বর্তমানে আমাদের বিদ্যালয়গুলোর ভৌত অবকাঠামো অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে। 

একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য যে ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা দরকার, আমাদের বিদ্যালয়গুলোতে তার অনেককিছুই অনুপস্থিত। সম্পদের অপ্রতুলতার বিষয়টি অধিকাংশ বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। শিক্ষাব্যবস্থার মূল্যায়নের কথাও এসেছে প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রমে যেটি আশাব্যঞ্জক। 

আমরা পূর্বে জিপিএ ৫-এর উল্লম্ফন দেখেছি। একইসাথে কিন্তু সরকারেরই করা জাতীয় কৃতী অভীক্ষার (এনএসএ) ফলাফলে বিরাট ফারাক উঠে এসেছে। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলে যে বড় ধরনের সাফল্য দেখা যায়, এনএসএর ফলাফল তার বিপরীত। 

প্রস্তাবিত শিক্ষাক্রম সেটির ওপর গুরুত্ব প্রদান করায় আনন্দিত। একইসাথে বলবো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যেসব মূল্যায়ন প্রচলিত ও বিশ্বব্যাপী গৃহীত, যেমন— পিআইএসএ সেগুলোতেও বাংলাদেশের অংশগ্রহণের উদ্যোগ ধীরলয়ে হলেও গ্রহণ করা হোক।

 তাহলেই কেবল অন্য দেশের তুলনায় আমরা কতটুকু এগিয়ে বা পিছিয়ে আছি, সেটি অনুধাবন করতে সক্ষম হব। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসের সময়ে যেভাবে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দুর্যোগকালীন শিখন-শেখানোর প্রচেষ্টা অনেকটাই অনুপস্থিত বলে আমাদের মনে হয়েছে। 

রূপরেখায় ও নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে এই বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব প্রদান করা আবশ্যক। যেকোনো ভালো পদ্ধতিই খারাপ ফলাফল বয়ে আনতে পারে যদি সেটির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন সম্ভব না হয়। নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নে সম্মুখকর্মী হিসেবে কাজ করবেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষকরা। 

এক্ষেত্রে শিক্ষকদের তৈরি হওয়ার ও তৈরি করার বিষয়টি নানা অর্থে চ্যালেঞ্জিং। প্রথমত সব শিক্ষককে নতুন শিক্ষাক্রমের সঙ্গে পুরোপুরি একাত্ম করতে হবে যাতে তারা নতুন শিক্ষাক্রমের প্রতিটি পরিবর্তন ভালোভাবে অনুধাবন করতে পারেন। নতুন শিক্ষাক্রমে অনেক ভালো দিক আছে। কিন্তু সেগুলোর বাস্তবায়ন করা সবচেয়ে বড় বিষয়। 

প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি না করে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করা কঠিন হবে। শিক্ষা খাতে বিদ্যমান দুর্নীতি ও অরাজকতা দূর করতে হবে। শিক্ষাবিদদের শিক্ষা খাতের চালিকাশক্তি হিসেবে নিয়ে আসতে হবে। শিক্ষা ব্যবসায়ীরা আর যাই হোক গুণগত ও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে পারে না। 

দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবস্থা এক ধরনের নয়। শিক্ষায় সমতা আনতে হলে সমগ্র শিক্ষাকে জাতীয়করণ করতে হবে। তবে অতীত অভিজ্ঞতা সুখের নয় বলে বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জগুলোই মূল আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

লেখক : গবেষক ও কলামিস্ট

Link copied!