ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

কেন তারেক রহমান এতো জনপ্রিয়: অতীতের ন্যায় শঙ্কাও আছে!

মো. ফিরোজ আলম

মো. ফিরোজ আলম

জুন ২৫, ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম

কেন তারেক রহমান এতো জনপ্রিয়: অতীতের ন্যায় শঙ্কাও আছে!

শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী আইনগতভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার পরও শাসনক্ষমতা না পাওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এই প্রতিবাদ দমন করতে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী গ্রেপ্তার এবং নির্যাতন করলে শেষ পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের অনিচ্ছা সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। 

শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হলেও তার পক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (তৎকালীন মেজর) স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা করেন। শেখ মুজিবুর রহমানকে অস্থায়ী সরকারের রাষ্ট্রপতি করে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে দেশ স্বাধীন হলে ৮ জানুয়ারী, ১৯৭২ সালে মুক্তি পেয়ে তিনি পাকিস্তানের কারাগার থেকে প্রথমে লন্ডন যান, সেখানে থেকে ৯ জানুয়ারী ভারতে আসেন। ভারতে ১০ ঘণ্টার অধিক সময় থেকে ১০ জানুয়ারী বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। (India Today, January, 1972)। 

শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে আগমনের পূর্বে থেকেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সমগ্র দেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন, জমিজমা দখল করতে শুরু করেন। অথচ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রতিবেশী হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র ভারতেই আশ্রয় নিয়েছিলেন। শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রবেশের পর রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এবং ভারতে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা ভারতে যুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলো (অনেকেই সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেনি) তাদের মধ্যে প্রকাশ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। 

একই সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবার, আত্মীয়-স্বজন বনাম আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে দূরত্বের সৃষ্টি হয় এবং দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে। রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা এবং আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত কিন্তু শেখ মুজিবুর রহমানের সরাসরি আশীর্বাদপুষ্ট হতে পারেনি, বঞ্চিত হওয়ায় তারা নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করেন। শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে সম্পৃক্ত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বিরোধী মতকে দমন করতে মরিয়া হয়ে উঠেন। 

শেখ মুজিবুর সান্নিধ্যে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা লুটপাট, দুর্নীতি এবং অন্ত কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন কিন্তু তিনি তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন। এমনকি শেখ মুজিবুর রহমান বিদেশ থেকে সাহায্য হিসেবে চাল নিয়ে আসলে ত্রাণের চালের ট্রাক পর্যন্ত ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের থামাতে ব্যর্থ হয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বিরক্ত হয়ে ১৯৭৪ সালের এক ভাষণে বলেন, আমি বিদেশে গিয়ে হাত পেতে চাল ভিক্ষা করে আনি, আর তোমরা চাটার দল খেয়ে ফেল! এ দেশ কি এভাবেই চলবে?”

১৯৭৩ সালে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করলে রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের দল জাসদ, শেখ মুজিবুর রহমানের অন্যতম রাজনৈতিক গুরু মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীসহ অন্যান্য বিরোধী দলকে তিনি কঠোর হস্তে দমন করেন। স্বাধীনতার পূর্বে যে আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ছিল তা নিয়ে বাংলাদেশে আসলেও অল্প সময়ের মধ্যেই তা হারিয়ে ফেলেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ভারতে পলায়ন করলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা পূর্ব এবং পশ্চিম পাকিস্তানকে একত্রিত রেখে, ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলো স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে প্রায় ৩৭,০০০ জন রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও অন্যান্য শান্তি কমিটির সদস্যকে গ্রেপ্তার করিয়েছিলেন। (Anthony Mascarenhas, Bangladesh: A Legacy of Blood, 1986)। সকল বিরোধী দলকে চাপে রেখে শেখ মুজিবুর রহমান নির্বাচনে বিজয়ী হতে কিছুটা চাপে পড়ে যায়। তাই তিনি জামায়াত ইসলামীর সাথে সখ্যতা গড়েছিলেন এমন জনশ্রুতি আছে। যার প্রমাণ পাওয়া যায় নির্বাচনের পর ৩০শে নভেম্বর, ১৯৭৩ সালে Collaborators Act অনুসারে অভিযুক্ত বা আটক প্রায় ৩৬,৪০০ জনের গ্রেফতারপত্র বাতিল ও মামলা প্রত্যাহার করেন। (Bangladesh Gazette, 30 Nov 1973)। সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে এবং মুক্তি দিয়ে একই সাথে জামায়াত ইসলামকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দেন।

১৯৭৩ সালের একতরফা নির্বাচনের আগে থেকেই শেখ মুজিবুর রহমানের আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে অন্যান্য সকল বিরোধী দলকে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রাখা হয়। ফলে আওয়ামী লীগ (AL) ২৯৩টি আসন পেয়ে বিজয়ী হয়। বিরোধী দলের মধ্যে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (NAP - ভাসানী) -২টি, জাসদ (JSD) -১টি, এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মাত্র ৩টি আসন পাওয়ায় কার্যত কোনো বিরোধী দল ছিল না। শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগ হয়ে উঠেন চরম ও চুড়ান্ত ক্ষমতার অধিকারী। ন্যূনতম সমালোচনার পথটুকু বন্ধ করতে একটি সময়ে তিনি বাকশাল কায়েম করে সবার টুঁটি চেপে ধরেন। 

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অত্যাচারে বেসামরিক এবং সামরিকবাহিনীও অতিষ্ঠ হয়ে যান। আওয়ামী লীগের অপশাসন, লাগামহীন দুর্নীতি এবং নির্যাতনের হাত থেকে দেশের মানুষ মুক্তি পেতে চায়। শেখ মুজিবুর রহমান না পারেন পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ন্ত্রণ করতে, না পারেন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ন্ত্রণ করতে। নিপীড়ক আওয়ামী লীগারদের থেকে মুক্তি পেতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট সেনাবাহিনীর একটি দল তাঁকে স্বপরিবারে হত্যা করে।

শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর রাষ্ট্রপতি হন মুজিব সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী খন্দকার মোশতাক আহমদ। এ সময় দেশে বিশৃঙ্খলা এবং নৈরাজ্য আরো বেড়ে যায়। পরবর্তীতে বিচারপতি আবু সায়েম রাষ্ট্রপতি হন। 

আবু সায়েমের পর স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি রাজনৈতিক দল গঠন করে, এবং সকল দুর্নীতি, সন্ত্রাসবাদ দমন করে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে অসম্ভব জনপ্রিয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। কিন্তু কিছু সুবিধাবাদী ও চাটুকার বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করে বিভিন্ন সুবিধা গ্রহণ করতে চায়। জিয়াউর রহমান দুর্নীতিবাজ এবং চাটুকারদের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি সৎ, আদর্শবান, দক্ষ মানুষদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করে দেশ গঠনে মনোযোগ দেন। ফলে তার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। দুষ্কৃতিকারীরা কৌশলে দলের মধ্যে অন্তকোন্দল চেষ্টা করেন। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামে দলীয় অন্ত কোন্দল সমাধানের জন্য গেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী লোকের আক্রমণে তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন।

বর্তমান বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া শান্তিপূর্ণভাবে শাসনক্ষমতা হস্তান্তরের পর ২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন। ৭ মার্চ, ২০০৭ সালে তারেক রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং নির্মম নির্যাতন করলে প্রচণ্ড চাপের মুখে ২০০৮ সালে মুক্তি দিয়ে সেপ্টেম্বরে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়। 

ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলা দিয়ে পুণরায় গ্রেপ্তার করে হাজতে রাখেন। তিনি যে বাড়িতে থাকতেন, তা কেড়ে নিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। কনিষ্ঠ পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর উপর নির্মম নির্যাতন করা হয়, যার ফলে দেশত্যাগের পর তিনি বিদেশে হত্যার শিকার হন। তারেক রহমান দেশে এসে ছোট ভাইয়ের জানাযায়ও অংশগ্রহণ করতে পারেনি, এমনকি মৃত্যুর পর একবার দেখতেও পারেনি। 

তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে চাকুরি থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। বিএনপির কয়েকহাজার নেতাকর্মীকে গুম করা হয়, অনেককে হত্যা করা হয়, জেলে বন্দী করে রাখা হয়, লক্ষাধিক মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। নেতাকর্মীদের ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান কেড়ে নেয়া হয়, ঘরবাড়ি এলাকা থেকে বিতাড়িত করা হয়। অবর্ণনীয় নির্যাতনের পরও তারেক রহমান, বেগম খালেদা জিয়া কিংবা দলীয় নেতাকর্মীরা অন্যান্যের সাথে আপস না করে অপশাসন, দুর্নীতি এবং অন্যানের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকায় সবার কাছে জনপ্রিয়তা পায়।

জামায়াতে ইসলামী অতীতে আওয়ামী লীগের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করে সরকার গঠন করেছিলো। সর্বশেষ বিএনপির সাথে জামায়াত ইসলামী ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া জোটের সহযোগী জামায়াত ইসলামী নেতা মতিউর রহমান নিজামীকে কৃষিমন্ত্রী ও পরবর্তীতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করেন (২০০১–২০০৬)। আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে ডিভাইড এন্ড রুলস পলিসি অনুসরণ করে বিএনপি এবং জামায়াত মধ্যে কৌশলগত দূরত্ব সৃষ্টি করেন। জামায়াত ইসলামী ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় শেখ হাসিনা পিতৃপ্রদত্ত সাধারণ ক্ষমাকে ছুড়ে ফেলে তাদের ৫ জনকে ফাঁসি দেয়। মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মতো বিশ্ববরেণ্য আলেমদের জেলখানায় হত্যা করে। ঢাকায় তার জানাযার নামাজ পর্যন্ত আদায় করতে দেননি। হামলা মামলা দিয়ে চরম নির্যাতন করে, তাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে জবরদখল করে নেয়। নির্মম নির্যাতনে নিষ্পেষিত হয়ে একটি পর্যায়ে জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা রাজপথের প্রকাশ্যে প্রতিবাদ থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করেন। ফলে আওয়ামী লীগ তাদের উপর নির্যাতনের যে স্টিমরোলার চালিয়েছে, আনুপাতিক হারে সেই পরিমাণ জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেনি। 

২০০৭ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিএনপির উপর নির্মম নির্যাতন করা হলেও ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পূর্ব মুহূর্তে বিএনপির নেতা-কর্মীদের এবং জনগণকে ধৈর্য্য ধারণ করতে বলেন। আইন নিজের হাতে তুলে না নেয়ার অনুরোধ করে, প্রতিহিংসা পরায়ণ না হওয়ায় জননন্দিত হন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপির নির্যাতিত নেতাকর্মীরা, কিংবা বিএনপি'র উপর ভর করে কেউ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ কিংবা অন্যান্যের সাথে সম্পৃক্ত হলে দলীয় শাস্তি কিংবা বহিষ্কার করার মতো কঠোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেন। এতে তিনি হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতীক যার ফলে আসন্ন নির্বাচনের জন্য তিনি হয়ে উঠেছেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্রনায়ক।

ফ্যাসিস্টের অনুসারীরা বর্তমানে তুমুল জনপ্রিয় তারেক রহমান এবং সমগ্র দেশে প্রতিষ্ঠিত বিএনপির বিরুদ্ধে জামায়াত ইসলামীকে বিরোধী দল হিসেবে দাঁড় করাতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেছে। বিএনপি সরকার গঠন করে জামায়াত বিরোধী দল হলে দ্বন্দ্ব হবে বিএনপি এবং জামায়াত ইসলামীর মধ্যে। ফলে আওয়ামী লীগের অপরাধীরা থাকবে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ফ্যাসিবাদীদের বিরোধিতা করলেও তারা আবার জামায়াত ইসলামীর কাছাকাছি জনসমর্থনও অর্জন করতে পারেনি। ফ্যাসিবাদীদের বিরুদ্ধে ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছাড়া সকল বিরোধী শক্তিগুলো একত্রিত হয়ে ফ্যাসিস্টকে বিদায় করেছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে কৌশলগত কারণে নেতৃত্বে রাখা/থাকা ছাত্রদের মধ্যে সম্মুখভাগের নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এতো পরিমাণ অনিয়ম এবং দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশিত হচ্ছে যা ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ তো দূরে থাক বিশ্বের ইতিহাসেই বিরল। নৈতিক স্খলনের জন্য তারাও জনসমর্থন হারিয়েছে।

সর্বোপরি ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের পূর্বে শেখ মুজিবুর রহমান যতটা জনপ্রিয় ছিল, জিয়াউর রহমান যতটা জনপ্রিয় ছিল, বর্তমানে তারেক রহমান তার চেয়েও অধিক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় বাংলাদেশের মানুষের আস্থার প্রতীক হয়েছেন। তিনি জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে সরকার গঠনের বার বার আশ্বাস দিয়ে আরও জনপ্রিয় হয়েছেন। ফ্যাসিবাদীরা পলায়নের পর মুক্ত পরিবেশে বিএনপির নেতাকর্মীরা শৃঙ্খলা পরিপন্থি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হলে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতেছেন। নির্বাচনপূর্ব এবং নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে বিগত ১৭ বছরের সকল অপকর্মের বিচার নিশ্চিত করে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। খালেদা জিয়ার সরকারের সময় জনাব তারেক রহমানের নাম ব্যবহার করে কিছু দুষ্কৃতিকারীরা অন্যানের লিপ্ত হয়েছিলো, যার পরিণতি এবং শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে তিনি, তার পরিবার এবং সর্বোপরি বিএনপির নেতা-কর্মীদের। 

পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সৎ, দক্ষ এবং যোগ্যদের যায়গা দিয়ে তিনি ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালনা করে জনপ্রিয়তা ধরে না রাখতে পারলে শঙ্কার বিষয় থেকেই যায়!

লেখক: সাবেক গণসংযোগ সম্পাদক, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ ও এমফিল গবেষক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Link copied!