ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

শিক্ষার্থীরা কী তবে গিনিপিগে পরিণত হবে

মো. তানজিমুল ইসলাম

মো. তানজিমুল ইসলাম

মে ১২, ২০২৪, ০৫:৩৩ পিএম

শিক্ষার্থীরা কী তবে গিনিপিগে পরিণত হবে

শিক্ষাক্রমের অন্যতম লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো মানব জাতিকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলা। অর্থাৎ শিক্ষাক্রমের মধ্য দিয়ে মানুষকে মূলত : সৎ হিসেবে গড়ে তোলা, মূল্যবোধ জাগানো ও ব্যক্তির গুণাবলির যথার্থ বিকাশ সাধন করা। বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করা ও বৃত্তিমূলক দক্ষতা বাড়ানো। আর এসবের কোনোটার যদি ব্যত্যয় ঘটে তাহলে বুঝতে হবে শিক্ষার উদ্দেশ্য সফল হয়নি এমনকি সনদপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রকৃত শিক্ষিত বলা যাবে না। আর তাই আমাদের এখন সময় এসেছে গোঁড়ামি থেকে বেড়িয়ে আসবার ও যুগোপযুগী পদক্ষেপ নেবার।

গবেষণা মতে, শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হলো : কেবল অর্থ উপার্জন নয়, বরং পবিত্র আত্মার বিকাশ সাধন করা। এ ছাড়া শরীর ও আত্মার পরিপূর্ণ বিকাশ ও উন্নতির জন্য যা কিছু প্রয়োজন তার সবই শিক্ষার উদ্দেশ্যের অন্তর্ভুক্ত। মোটকথা, শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত সেসব গুণাবলির যথাযথ বিকাশ সাধন যেসব গুণাবলি নিয়ে এই পৃথিবীতে একটি শিশুর আগমন ঘটে। আমরা প্রত্যেকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে বিবেকের সাথে আলোচনা করলে নিশ্চয়ই শিক্ষার প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাই! কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে আমরা আসলে কি দেখতেপাচ্ছি? প্রতি বছর কাগজে কলমে আমাদের শিক্ষিতের হার বাড়লেও আমরা কি আদৌ সভ্য জাতিতে পরিণত হচ্ছি? নাকি বিদ্যমান শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করে একটি অদ্ভুত ও অভিশপ্ত প্রজন্ম তৈরির উপযুক্ত শিক্ষানীতি সুকৌশলে চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে আমাদের উপরে!

সময়ের প্রয়োজনে যুগোপযুগী পদক্ষেপ নিতে একটি রাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট মহল শিক্ষানীতির পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করবে এটি খুব স্বাভাবিক ঘটনা। তবে সেটি যদি শিক্ষার্থী বা অভিভাবক বান্ধব না হয় তবে তা কতখানি যৌক্তিক? শিক্ষার্থীদের স্বাধীন চিন্তায় উদ্বুদ্ধ করতে পারে- তাদের স্বাধীনতার স্পৃহা জাগ্রত করতে পারে এমন শিক্ষানীতিই তো আসলে প্রত্যাশিত ছিল! কিন্তু বাস্তবে ভয়ঙ্কর এক ভিন্ন চিত্র দেখতে পাই আমরা! আজকাল এদেশে কখনো শিক্ষক, কখনো শিক্ষার্থী, কখনো আবার শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের নিয়ে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে চরম হাসি-ঠাট্টা-মশকরা-বিদ্রূপ চলে হরহামেশায়! ইতিহাস সাক্ষী, তৎকালীন নিভৃত পল্লীগুলোতে ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত পাঠশালাগুলো থেকে সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা আজ দেশে-বিদেশে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনামের সাথে অবদান রাখলেও বর্তমানে ঐসব পাঠশালাগুলোর বেহাল দশা! 

শিক্ষকতা পেশাকে পুঁজি করে যারা প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যের বদৌলতে নিজেকে রাতারাতি বিখ্যাতভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তারা কি স্কুল কলেজের পাঠদানের ক্ষেত্রে নিজেকে আরও উজার করে দিতে পারেন না? নাকি বাধ্য হয়েই বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে নিয়েছেন? আমাদের শিক্ষানীতি যেন সেই মান্ধাতার আমলের নীতি অনুসরণ করেই চলেছে, কাগজে কলমে সুনাগরিক তৈরির বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করা হলেও বাস্তবতার নিরিখে প্রতি বছর ছোট্ট একটি পদে চাকরির বিপরীতে লাখ লাখ উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যেও অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলতে থাকে খুব সাধারণভাবে। পুরো জাতির কাছে শিক্ষিত হওয়ার অর্থই যেন কেবল চাকরি করা

জাতীয় উন্নয়নের সাথে সাথে পাঠশালাগুলো সরকারি বিদ্যালয়ে রূপ নিয়েছে, অবকাঠামোগত ব্যপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে বটে! কিন্তু যাদের জন্য এসব আয়োজন, সেসব শিক্ষার্থীর হার অনেকাংশেই কমেছে; কমে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই! শিক্ষকের কদর/ গুরুত্ব কমেছে বা অনেক ক্ষেত্রে নেই বললেই চলে! সীমিত সম্পদ আর সীমাহীন দুর্ভোগকে সাথে নিয়ে অনেক বৈরী অবস্থাকে উপেক্ষা করে দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে প্রচলিত সেই শিক্ষা ব্যবস্থা আজ ধ্বংসের মুখে! কর্তব্য পরায়নের খাতিরে হলেও শিক্ষার্থীদের কোনো ধরনের শারীরিক, মানসিক আঘাত দেয়া যাবেনা- এটি যেন একটি নীতিমালাভুক্ত বিষয়! নিঃসন্দেহে শিশু সুরক্ষার নীতিমালা অনুযায়ী এটি প্রশংসার দাবিদার! শিক্ষাকে সর্বজনীন করবার লক্ষ্যে বিগত সময়ে প্রায় প্রতিটি সরকার অনেক বেশি আন্তরিক থাকলেও অদৃশ্য কারণে গণউন্নয়ন যেন সেভাবে চোখে পড়ছে না! বিদ্যালয় থেকে বেত্রাঘাতের প্রচলন বন্ধের সাথে সাথে শিক্ষকের প্রতি শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা-ভক্তি, জবাবদিহিতা, সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সবকিছুই যেন রাতারাতি উবে গেল চোখের নিমিষেই! কেবলমাত্র আত্মসম্মান বোধকে টিকিয়ে রাখবার লড়াইয়ে জোট বেঁধেছে অধিকার-শ্রদ্ধা বঞ্চিত শিক্ষকরা! জাতীয় নীতিমালাকে অনুসরণ করে তারা দুর্গম পথ পাড়ি দিচ্ছে।

বাড়তি কোনো আন্তরিকতা বা জবাবদিহিতার কোনো বালাই নেই এখন, কোত্থাও নেই বৈকি! নিত্য নতুন কারিকুলাম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ফেল করানোটাই যেন আজ সুকঠিন কাজ! আর তাই যেনতেনভাবে হলেও শিক্ষার্থীরা সময়মতো সনদ পেয়ে যাচ্ছে। ‘শিক্ষার মানের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হয়েছে’ এ যেন কেবল কাগজে কলমে দৃশ্যমান হয়! স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষকরাও থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে! স্বাধীনতার পর থেকে আজো প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সনদ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের প্রান্তিক যোগ্যতাসমূহ অর্জনের বিষয়ে জোর তাগিদের ক্ষেত্রে একটি অভিন্নতা রয়েছে! অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের অন্তত একটা পর্যায় পর্যন্ত (পড়তে, লিখতে ও সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করতে পারতে হবে) নিখুঁতভাবে তৈরি করে গড়ে তোলা! বাস্তবে কি তা আদৌ হচ্ছে? গ্রেড পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অবস্থান করলেও শিক্ষার্থীদের বাস্তব ভিত্তিক জ্ঞান অর্জনের ক্ষেত্রে প্রচুর ঘাটতি রয়েছে যা আপামর জনতা খুব ভালো করেই জানে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবার দায়িত্ব আমাদের সবার হলেও বাস্তব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগী বা স্ব-প্রণোদিত হওয়ার কোনো কোনো বিকল্প নেই! একজন বাঙালি ও বাংলাদেশি হিসেবে ভাষা, শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতির প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা থাকা দরকার প্রাত্যহিক কর্মকাণ্ডের প্রতিটি ক্ষেত্রেই! বাস্তবে আসলে কেমনটি ঘটছে তা আমাদের প্রত্যেকেরই জানা রয়েছে কম-বেশি।

সমপ্রতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) জড়িপ মতে, বাংলাদেশের ৮৬ শতাংশ প্রি-স্কুল শিশু স্মার্টফোনে আসক্ত। এর মধ্যে ২৯ শতাংশ শিশুর মারাত্মকভাবে স্মার্টফোনের আসক্তি রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আয়োজিত জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জনশুমারি ও গৃহগণনার প্রাথমিক এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। সেখানে উঠে আসে ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সিদের মধ্যে ৭২ দশমিক ৩১ শতাংশ মানুষের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন রয়েছে। মোবাইল ব্যবহারে লিঙ্গভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬৬ দশমিক ৫৩ শতাংশ পুরুষ ও ৪৫ দশমিক ৫৩ শতাংশ নারী রয়েছে। ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সিদের মধ্যে ৮৬ দশমিক ৭২ শতাংশ পুরুষের ও ৫৮ দশমিক ৮৩ শতাংশ নারীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন রয়েছে। শিশু-কিশোরদের প্রযুক্তিতে আসক্তি করোনাকালীন সময় ঘরবন্দি জীবনে তা আরও তীব্র হয়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকরা হতাশার চাদরে মৃয়মান! মোবাইল-ইন্টারনেট ব্যবহারের অনেক সুফল থাকলেও বাস্তবে এর বৈপরিত্য দেখা যায় খুব বেশি। মোবাইল অসক্তি, সাহিত্য চর্চার অভাব আর সংস্কৃতিকে লালন না করার ফলে শিক্ষার্থীরা একদিকে যেমন আবেগহীন মানুষে পরিণত হচ্ছে; অন্যদিকে মায়া-মমতাহীন, পারিবারিক-সামাজিক মূল্যবোধহীন এক জাতিতে রূপ নিতেও আর খুব বেশি দিন লাগবে না! চোখের সামনে অন্যায় দেখে মুখ বুজে চুপ করে থাকা, বিবেক তাড়িত না হবার কারণে মানবিকতার কোনো চাষাবাদই ঘটছে না। মা-বাবার কষ্টার্জিত আয়ের টাকায় কেনা কোনো স্বল্প মূল্যের বস্তু দেখে খুশি না হওয়া বা অনেকটা গুরুত্বহীন মনে করা এমনকি আবেগের রঙিন চশমা দিয়ে মা-বাবার দুর্দিনের কষ্টের কথাগুলো বেমালুম ভুলে যাওয়া, সবকিছুই এসবের একটি বড় প্রভাব বলেও মনে করতে পারি আমরা!

শিক্ষাটা যেন আজকাল একটি বাণিজ্যে রূপ নিয়েছে! সঙ্গত কারণেই ’সবার জন্য শিক্ষা’- এ কথাটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে খুব জোরেশোরে। শিক্ষার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অবদান কতটুকু তা চোখ বন্ধ করলেও আমরা দেখতে পাই! কিন্তু বাস্তবতা হলো— শহরের তুলনায় পুরো দেশের গ্রামাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা অতি নগণ্য! তারপরও যারা রয়েছে, তাদের ভিত্তিটা যেন বেজায় নড়বড়ে! পরবর্তীতে তাই, যেকোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় তারা পিছিয়ে পড়ে অনায়াসেই! আর এভাবেই আমাদের যুব সমাজ চরম হতাশাগ্রস্ত প্রজন্মে পরিণত হচ্ছে! শহুরে স্কুলগুলোতেও যে সার্বজনীন নীতিতে শিক্ষার চর্চা ঘটছে তা কিন্তু নয়! 

প্রতিটি নতুন বছরে কিংবা নতুন কোনো উৎসবে যেমন নতুন পোশাকের প্রচলন ঘটে মহাসমারোহে, আজকাল ঠিক তেমনই প্রায়শই শিক্ষা বিষয়ক নিত্যনতুন কারিকুলাম, সিস্টেম ও পরিবেশের সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে বাধ্য করা হচ্ছে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের! সমাপনী পরীক্ষা হবে কি না, স্কুলে ভর্তিপরীক্ষা হবে কিনা, নাকি লটারিই হবে প্রতিবার? এসব নিয়ে প্রায়শই গোলক ধাঁধায় থাকতে হয়! নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কষাঘাতে নিষ্পেষিত আজ ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক মহল। তাপদাহে জর্জরিত সারাদেশে যখন ৩৭ ডিগ্রি তখন আগামী সপ্তাহের জন্য স্কুল-কলেজকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলেও পরের সপ্তাহে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রা হলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলবে বলে নতু নোটিস করা করা হয়! যখন গোলক ধাঁধায় পড়ে যায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল, ঠিক তক্ষুণি রাতারাতি আবার নতুন নোটিস আসে স্কুল কলেজ বন্ধের! এমন হাস্যকর ঘটনাও ঘটে এই মধ্যম আয়ে উন্নীত হওয়া দেশটিতে! এ ছাড়া শারীরিক অসুস্থতার কারণে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থী পরের বার কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করলেও পূর্ব নির্ধারিত কোনো নোটিস ছাড়াই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে মেডিকেল কলেজের ভর্তিপরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না দেয়ার মতো খামখেয়ালিপনা বুঝি এদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাতেই সম্ভব! 

শিক্ষকতা পেশাকে পুঁজি করে যারা প্রাইভেট ও কোচিং বাণিজ্যের বদৌলতে নিজেকে রাতারাতি বিখ্যাতভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তারা কি স্কুল কলেজের পাঠদানের ক্ষেত্রে নিজেকে আরও উজার করে দিতে পারেন না? নাকি বাধ্য হয়েই বাড়তি আয়ের পথ খুঁজে নিয়েছেন? আমাদের শিক্ষানীতি যেন সেই মান্ধাতার আমলের নীতি অনুসরণ করেই চলেছে, কাগজে কলমে সুনাগরিক তৈরির বিভিন্ন বক্তব্য প্রদান করা হলেও বাস্তবতার নিরিখে প্রতি বছর ছোট্ট একটি পদে চাকরির বিপরীতে লাখ লাখ উচ্চ শিক্ষিতদের মধ্যেও অসুস্থ প্রতিযোগিতা চলতে থাকে খুব সাধারণভাবে। পুরো জাতির কাছে শিক্ষিত হওয়ার অর্থই যেন কেবল চাকরি করা। প্রতি বছর এ দেশে যেমন শিক্ষিতের হার বাড়ছে আর আমরা তৃপ্তির ঢেকুর গিলছি, পক্ষান্তরে বেকারত্বের হার বাড়ছে অনেক বেশি! চরম বাস্তবতা সত্ত্বেও এক বুক আশা নিয়ে অভিভাবকরা তীর্থের কাকের মতো চেয়ে থাকে বেলায় অবেলায়! এই বুঝি শিক্ষানীতির উন্নয়ন ঘটবে, লক্ষ কোটি শিক্ষার্থী সত্যিকারের মানুষে পরিণত হবে! নাকি দিনশেষে আমাদের শিক্ষার্থীরা গিনিপিগে পরিণত হবে?

লেখক : প্রাবন্ধিক ও কলামিস্ট
 

Link copied!