ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

টাকা নিয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও ‘ট্যাক্স ফ্রি’ বিলাসবহুল গাড়ি, কী অদ্ভুত এক নিয়ম!

মহিবুল ইজদানি খান ডাবলু

মহিবুল ইজদানি খান ডাবলু

অক্টোবর ২৭, ২০২৪, ০৭:৫৫ পিএম

টাকা নিয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও ‘ট্যাক্স ফ্রি’ বিলাসবহুল গাড়ি, কী অদ্ভুত এক নিয়ম!

বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই নিয়ম শুরু থেকেই হয়ে আসছে। হয়ত এভাবেই চলবে অনন্তকাল। কিন্তু কেন?

শিগগিরই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে বলে অনেকেই আশা করছেন। কারণ, ইতোমধ্যেই জামায়াত ছাড়া বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম দল বিএনপিসহ অন্যান্য সব দলই প্রকাশ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এই মুহূর্তে বাইরে না থাকলেও ধরে নেওয়া যেতে পারে তারাও চায় নির্বাচন। জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে হবে একটি ন্যায়সংগত নির্বাচন যা অতীতে পর পর তিন মেয়াদে হয়নি। বল এখন সশস্ত্র বাহিনী সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হাতে। বাংলাদেশের ভালো-মন্দ দেখার ক্ষমতা এখন তাদের হাতে।

সরকার যখনই নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে তখনই শুরু হবে নির্বাচন বাণিজ্য। যাকে বলা যেতে পারে মনোনয়নপত্র বেচা-কেনার বাণিজ্য। আমি একে বলব, রাজনৈতিক দলের বাণিজ্য। কারণ, মনোনয়ন ফরম বিক্রি করে রাজনৈতিক দলগুলো আয় করে এক বিশাল অর্থ। অর্থাৎ, দলের আয়ের একটা পথ হলো, নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নপত্র বিক্রির মাধ্যমে টাকা উপার্জন করা। নির্বাচন এলেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শুরু হয় মনোনয়ন পত্রের বাণিজ্য ও প্রতিযোগিতা। একটি নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে প্রার্থীদের কাছে ফরম বিক্রি করা হয়। নিজ নিজ দলের নির্ধারিত স্থান থেকে ক্রয় করা এই মনোনয়নপত্র। পরবর্তীতে দলীয় কর্মীদের সাথে নিয়ে আনন্দ মিছিল করে দেওয়া হয় জমা। শুনেছি এসব মনোনয়নপত্রের মূল্য ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা কিংবা তারও বেশি। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই নিয়ম শুরু থেকেই হয়ে আসছে। হয়ত এভাবেই চলবে অনন্তকাল। কিন্তু কেন?

নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য এই ৩০ থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রার্থীদের কাছে হয়ত তেমন কিছুই নয়। অন্যদিকে, বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো এই মনোনয়নপত্র বিক্রির মাধ্যমে আয় করছে কোটি কোটি টাকা। আমি জানি না বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো সরকারকে তাদের আয় থেকে কখনো কোনো ট্যাক্স দেয় কি-না। দিলে ভালো, না দিলে বিষয়টা দেখা উচিত। তাছাড়া নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র ক্রয় করবেনই বা কেন? জানি না টাকা নিয়ে মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথা পরিবর্তনের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন আজ পর্যন্ত কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি-না। আশা করি, আগামী দিনে বিষয়টির গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচন কমিশন একটি সিদ্ধান্তে আসবে। এই নিয়মকে আদৌ রাখা প্রয়োজন আছে কি-না, তা একবার হলেও ভেবে দেখা উচিত। তবে, শুধু নির্বাচন কমিশনই নয় বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে নিজে থেকেই বাতিল করতে পারে। আমরা এই পদ্ধতির অবসান চাই।

আমি নিজে আমার রাজনৈতিক দল ভেন্সতার পার্টি (লেফট পার্টি) র সেন্ট্রাল কমিটির ১১ সদস্য বিশিষ্ট মনোনয়ন কমিটিতে একটানা ছয় বছর নির্বাচিত সদস্য ছিলাম। এই সময় ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে প্রার্থী মনোনয়নে অংশগ্রহণ করি। বর্তমান ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে আমাদের দলের দুইটি আসন আছে। সুইডিশ পার্লামেন্টে আছে ২৪ আসন। এছাড়া আমি নিজে দলের প্রার্থী হিসেবে দুই দুইবার স্টকহল্ম থেকে পার্লামেন্ট নির্বাচন তালিকায় মনোনয়ন নিয়ে অংশগ্রহণ করেছি। পার্লামেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় নাম নির্বাচিত হলেও নিচের দিকে থাকাতে দল প্রয়োজনের তুলনায় ভোট না পাওয়াতে জয়লাভ করতে পারিনি। একই পদ্ধতিতে প্রার্থী হয়ে একবার স্টকহল্ম সিটি কাউন্সিল ও দুইবার গ্রেটার স্টকহল্ম এসেম্বলির মেম্বার পদে নির্বাচিত হয়েছিলাম। আমি এখানে সুইডেনে কিভাবে নির্বাচনের প্রার্থী মনোনীত করা হয় সে সম্পর্কে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে সংক্ষেপে কিছু তুলে ধরছি।

এখানে প্রথমেই প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শাখা কমিটি অথবা এককভাবে সদস্যরা তাদের নির্বাচনি এলাকায় দলের মনোনয়ন কমিটির কাছে ই-মেইলে প্রার্থীর নাম প্রস্তাব করবে। পরবর্তীতে মনোনয়ন কমিটি সদস্যদের প্রস্তাবিত প্রার্থীদের কাছে একটি ই-মেইল ইস্যুর মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত করবে এবং প্রার্থীর পরিচয়সহ বিস্তারিত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জন্য একটি ফরম পূরণের আহ্বান জানাবে। শুধু তাই নয় এখানে কয়েকটা প্রশ্ন থাকে যেখানে লেখা হয়, আপনি কেন নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক? আপনি যদি নির্বাচিত হন তাহলে আপনার কী কী বিষয়ে কাজ করার আগ্রহ আছে? আপনি কেন এই বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিচ্ছেন? আপনার রাজনৈতিক সামাজিক কোনো ভূমিকা থাকলে বর্ণনা করুন। ইত্যাদি বেশ কিছু প্রশ্ন ও সাথে প্রার্থীর একটি ছবি। একটি নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে এসব প্রশ্নের উত্তর দলের আঞ্চলিক অর্থাৎ নির্বাচনি এলাকার মনোনয়ন কমিটির কাছে প্রেরণ করার আবেদন জানানো হয়।

এখানে উল্লেখযোগ্য যে, কোনো কোনো প্রার্থী চাইলে তাদের প্রার্থী প্রস্তাব থেকে নাম প্রত্যাহার করতে পারে। এই কারণে মনোনয়ন কমিটি কর্তৃক প্রেরিত ফরমে প্রথমেই একটি প্রশ্ন থাকে ঠিক এইভাবে, আপনার জন্য নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব আসছে, আপনি কি নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী? উত্তর দিতে হবে হা অথবা না। না হলে মনোনয়ন ফরমের আর কোনো কিছু পূরণ করার প্রয়োজন নেই। আর যদি প্রার্থী হ্যাঁ বলে তাহলে ফর্মের সব প্রশ্নগুলো পূরণ করতে হবে। এখানে মনোনয়ন পত্রবিলি কিংবা ফি দিয়ে ফর্ম ক্রয় করার কোনো সিস্টেম নেই। অর্থাৎ নির্বাচনে কোনো ব্যক্তিকে প্রার্থী হতে হলে কোনো “ফি” দিতে হয় না। শুধুমাত্র দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থাকলেই যে কেউ নিজেই সরাসরি ব্যক্তিগতভাবে মনোনয়ন চাইতে পারে। এছাড়া দলের বিভিন্ন শাখা থেকেও প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়ন চেয়ে মনোনয়ন কমিটির কাছে আবেদনপত্র পাঠানো হয়। পরে দলের মনোনয়ন কমিটি প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার ও প্রার্থীর রাজনৈতিক সক্রিয়তা তথা যোগ্যতার ওপর নির্ভর করে মনোনয়নের প্রস্তাব প্রকাশ করবে।

তবে এই প্রস্তাবই চূড়ান্ত প্রস্তাব নয়। পরবর্তীতে প্রতিটি জেলা তাদের বিভিন্ন শাখার প্রতিনিধিদের নিয়ে স্ব-স্ব জেলার নির্বাচনি এলাকায় একটি চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা করার লক্ষে কনফারেন্সের আয়োজন করবে। এই কনফারেন্সে জেলার বিভিন্ন শাখা থেকে কতজন প্রতিনিধি উপস্থিত থেকে সরাসরি ভোট দেওয়ার অধিকার পাবে তা নির্ভর করবে শাখার সদস্য সংখ্যার ওপর। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকার এই সভা পরিচালনা করার জন্য যারা দায়িত্বে থাকবে তারা কেন্দ্রীয় কিংবা জেলা কমিটির প্রতিনিধি। সভার পরিচালকেরা যে নির্বাচনি এলাকার কনফারেন্স পরিচালনা করবেন সেখানে তারা নিজে প্রার্থী হতে পারবেন না। প্রার্থী নির্বাচনের সিদ্ধান্তে নিরপেক্ষতা ও প্রভাবিত না করার লক্ষ্যেই মূলত এ ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। এখানেই প্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে প্রার্থীদের নাম তালিকা চূড়ান্ত করা হয়। সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মনোনয়ন কমিটির রাখা প্রস্তাব প্রতিনিধিদের সমর্থন পেয়ে থাকে। তবে কিছু কিছু নাম প্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে আগে পিছে হয়ে থাকে।

এখানে একটা বিষয় উল্লেখ করা উচিত, আর তা হলো যাদের নাম মনোনয়ন কমিটির প্রস্তাবে রাখা হয়নি অথচ তারা তাদের দলের শাখা কিংবা নিজে থেকেই প্রার্থী হওয়ার আবেদন করেছেন  তাদের সবার নামও মনোনয়ন কমিটির প্রস্তাবিত তালিকার নিচে একটি দাগ দিয়ে লেখা থাকবে। অর্থাৎ মনোনয়ন কমিটির প্রস্তাব তালিকায় তাদের নাম না থাকলেও নিজ নিজ শাখা কিংবা কোনো ব্যক্তি কর্তৃক তাদের প্রার্থী মনোনয়নের প্রস্তাব করার কারণে তাদেরও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্তের ভোটে অংশগ্রহণের অধিকার আছে। প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করার এই সভায় উপস্থিত ভোটাররা যাকে চাইবেন তাকেই ভোট দিতে পারবেন। এমনকি মনোনয়ন কমিটির প্রস্তাবের বাইরের প্রার্থীকেও। বিভিন্ন দলের বিভিন্ন সিস্টেম আছে। তবে সব দলই প্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমেই প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করে।

বাংলাদেশের প্রার্থী মনোনয়ন পদ্ধতি সম্পূর্ণ ভিন্ন ও অগণতান্ত্রিক। এখানে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা দেশের প্রার্থী তালিকার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় দলের কেন্দ্রীয় কমিটি। অনেকক্ষেত্রে দলীয়প্রধান নিজে। যা গণতন্ত্রের জন্য নেতিবাচক। শুধু তাই নয়, প্রার্থীতা পাওয়ার জন্য খরচ করা হয় এক বিশাল অর্থ। শুরু হয় টাকার খেলা, সাথে দুর্নীতি। প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থীরা খরচ করেন কোটি কোটি টাকা। যদিও নির্বাচন কমিশনে এক্ষেত্রে বাঁধা-ধরা একটা নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কে শুনে কার কথা। জানি না নির্বাচনে অতিরিক্ত অর্থ খরচের কারণে এ পর্যন্ত কতজন প্রার্থীকে দায়ী করা হয়েছে। কিংবা ভবিষ্যতে আদৌ দায়ী করা হবে কি-না? তাহলে দেখা যায়, বাংলাদেশের নির্বাচনটা শুরুই হয় দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি ও একনায়কতান্ত্রিক পথে। পাকিস্তান আমল থেকে চলে আসা এই সিস্টেম এখনো চলছে। হয়ত ভবিষ্যতেও চলবে। কারণ, এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দল সম্ভবত এ ধরনের পদ্ধতির কোনো পরিবর্তন চায়নি। অন্যদিকে নির্বাচনি প্রচারে টাকার উৎস কথা থেকে আসে এটা দেখার দায়িত্ব নিশ্চয়ই দুর্নীতি দমন বিভাগের। এখন প্রশ্ন হলো, প্রার্থীরা তাহলে এতো অর্থ খরচ করে কীভাবে? কেনই বা এত অর্থ খরচ করে নির্বাচন করে? কেন নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য নিজ নিজ রাজনৈতিক দলের আদর্শ প্রচারের পরিবর্তে দলীয় নেতা নেত্রীদের তোষামোদি করে? উত্তরটা খুবই সহজ। কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের দারিদ্র্য মোচনের কথা বলে ক্ষমতায় এসে তারা হয়ে যায় এক নম্বর দুর্নীতিবাজ।

যেমন ধরুন, নির্বাচন পরবর্তীতে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের কার্যকলাপ শুরু হয় সংসদ সদস্যদের নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে। সম্ভবত এই কারণেই অনেকে নির্বাচন পূর্বে বিনিয়োগ করেন বিপুল অর্থ। প্রথমেই সংসদ সদস্যদের জন্য বিদেশ থেকে “ট্যাক্স ফ্রি” গাড়ি কেনার সুযোগ দিয়ে শুরু হয় এই যাত্রা। সংসদ সদস্যদের আর পিছ ফিরে তাকাতে হয় না। আসতে থাকে একটার পর একটা টাকা উপার্জনের সুযোগ। অনেক সংসদ সদস্য মেয়াদকাল শেষ হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতার অপব্যবহার করে (সবাই না) আয় করে অনেক অর্থ। এই টাকার পাহাড় নির্বাচন পূর্ববর্তীতে থাকা তাদের অতীত অবস্থার আনে এক বিরাট পরিবর্তন। তার মানে হলো, নির্বাচনটা শুরু হয় দুর্নীতির মাধ্যমে। আর সেই দুর্নীতি আর স্বজনপ্রীতি চলে পুরো মেয়াদকাল পর্যন্ত। অনেক নির্বাচিত এমপি নির্বাচন পরবর্তীতে তাদের নির্বাচন এলাকার মানুষের সাথে ততটা যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন মনে করে না। বসে বসে বেশিরভাগ সময় কাটায় রাজধানী ঢাকায়। এই জনবিছিন্নতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি সাথে দুর্নীতির কারণে দল ক্ষমতা হারালে শুধু এলাকায় নয় জনগণের ভয়ে তাদের আত্মগোপন কিংবা দেশত্যাগ পর্যন্ত করতে হয়। বাংলাদেশের ফিরে দেখা রাজনৈতিক ইতিহাস তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

আগামী নির্বাচন পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসা সরকারের প্রথমেই এই “ট্যাক্স ফ্রি” গাড়ি ক্রয়ের নিয়ম বন্ধ করা উচিত হবে। যে দেশের মানুষ দারিদ্রসীমার এতো নিচে বসবাস করে সে দেশের জন প্রতিনিধিরা কী করে “ট্যাক্স ফ্রি” বিলাসবহুল গাড়ি কেনার সুযোগ পায় এটাই আমার প্রশ্ন? তাও শুধুই কি একবার? যারা বারবার এমপি হন তারা বারবার এই “ট্যাক্স ফ্রি” গাড়ি ক্রয়ের সুযোগ পান। কী অদ্ভুত এক নিয়ম। এর বিরুদ্ধে নাই সংসদে কোনো প্রতিবাদ। এভাবেই যুগ যুগ ধরে চলছে বাংলাদেশ। হয়ত আগামীতেও চলবে একইভাবে। তাহলে এই অন্যায়ের পরিবর্তন কি কখনো আসবে না? নিশ্চয়ই আসবে একদিন। আর সেই দিন হবে বাংলাদেশের শোষিত নির্যাতিত মানুষের দিন বদলের পালা। আমি তাকিয়ে আছি আমার জন্মভূমি সেই বাংলাদেশের দিকে।

লেখক পরিচিতি : সাবেক ইলেকটেড মেম্বার, গ্রেটার স্টকহল্ম অ্যাসেম্বলি; সাবেক ইলেকটেড মেম্বার, মনোনয়ন বোর্ড লেফট পার্টি (ভেন্সতার পার্টি) সেন্ট্রাল কমিটি।

Link copied!