ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

গ্যাস সরবরাহে পিছিয়ে পড়ছে বাপেক্স

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুলাই ১, ২০২৫, ১২:০২ এএম

গ্যাস সরবরাহে পিছিয়ে পড়ছে বাপেক্স

গ্যাস সরবরাহে পিছিয়ে পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠান বাপেক্স। যদিও প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয়ভাবে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে বিগত সরকারের আমলে জরিপ, অনুসন্ধান ও কূপ খননসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলেও বাপেক্সের গ্যাস অনুসন্ধানসংক্রান্ত সব পদক্ষেপ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু নানা তৎপরতায়ও গ্যাস ফিল্ডগুলোয় গ্যাস উৎপাদনে সংস্থাটির তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। বরং স্থানীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে বাপেক্সের আওতায় সর্বোচ্চসংখ্যক গ্যাস ফিল্ড থাকলেও গ্যাস উৎপাদনে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে সংস্থাটি। 

বর্তমানে বাপেক্সের আওতায় আটটি গ্যাস ফিল্ড থেকে দৈনিক ১০৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, যা বর্তমানের মোট গ্যাস সরবরাহের মাত্র ৫ শতাংশ। জ্বালানি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। 

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বর্তমানে দেশে গ্যাস উৎপাদন করছে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি কোম্পানি। তার মধ্যে সবচেয়ে কম গ্যাস উত্তোলন করছে বাপেক্স। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (বিজিএফসিএল) দৈনিক মোট গ্যাস উৎপাদন ৪৩৭ মিলিয়ন ঘনফুট। কোম্পানিটির আওতায় পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড আছে। তার মধ্যে তিতাস গ্যাস ফিল্ড সবচেয়ে বেশি গ্যাস উৎপাদন করছে। ওই গ্যাস ফিল্ডের দৈনিক উৎপাদন ২৯৫ মিলিয়ন ঘনফুট।

স্থানীয় কোম্পানি হিসেবে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল) দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উৎপাদন করছে। কোম্পানিটির আওতায় মোট পাঁচটি গ্যাস ফিল্ড থেকে জাতীয় গ্রিডে ১৩৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে। আর বাপেক্সের আওতাধীন আটটি ফিল্ড থেকে দৈনিক ১০৪ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। গ্যাস ফিল্ডের সংখ্যা বিবেচনায় বাপেক্সের এ উৎপাদন অনেক পিছিয়ে রয়েছে। 

সূত্র জানায়, বাপেক্সের আওতাধীন মোট আটটি গ্যাস ফিল্ডের মধ্যে চারটি গ্যাস ফিল্ডের দৈনিক উৎপাদন দুই মিলিয়ন ঘনফুটের কম-বেশি। সালদা নদী গ্যাস ফিল্ডের দৈনিক গ্যাস উৎপাদন ২ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট। 

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন ৬ দশমিক ৩ মিলিয়ন ঘনফুট। দ্বীপ জেলা ভোলার শাহবাজপুর গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন ৬৯ মিলিয়ন ঘনফুট। সেমুতাং গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট। সুন্দলপুর গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন দৈনিক দুই মিলিয়ন ঘনফুট। 

কুমিল্লার শ্রীকাইল গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন ১৩ মিলিয়ন ঘনফুটের কিছু বেশি। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের উৎপাদন ৯ দশমিক ৬ মিলিয়ন ঘনফুট। আর রূপগঞ্জ গ্যাস ফিল্ডের সক্ষমতা দৈনিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট থাকলে ফিল্ডটি থেকে এখন কোনো গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে না। তবে বাপেক্সের আওতাধীন ফিল্ডগুলোর মধ্যে ভোলার শাহবাজপুর থেকে সবচেয়ে বেশি গ্যাস উৎপাদন হচ্ছে। কিন্তু জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত না থাকায় ভোলার স্থানীয় শিল্প-কারখানায় এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্রে ওই গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। আর শাহবাজপুর ফিল্ডের গ্যাস বাদ দিলে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহে যৎসামান্যই বাপেক্সের অবদান। বাপেক্সকে নিয়ে বিভিন্ন সময় সরকার নানা তৎপরতা চালালেও কোম্পানিটি গ্যাস সরবরাহে পিছিয়ে পড়ছে। 

সূত্র আরও জানায়, মূলত এক্সপ্লোরেশন (অনুসন্ধান) কোম্পানি হিসেবে গঠিত হয়েছিল বাপেক্স। পরে সংস্থাটি যেসব গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার করে সেগুলো থেকে উৎপাদন শুরু করে। একপর্যায়ে সংস্থাটি আর অনুসন্ধান কোম্পানি হিসেবে থেমে না থেকে কাজ করছে উৎপাদন কোম্পানি হিসেবেও। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি গ্যাস উৎপাদন বড় আকারে বাড়াতে পারেনি। বরং বাপেক্সের গ্যাস উৎপাদন আগের চেয়ে কমে আসছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাপেক্সের বার্ষিক গ্যাস উৎপাদন ছিল ৩৫ হাজার ৬১১ মিলিয়ন ঘনফুট। ২০২১-২২ অর্থবছরে উৎপাদন অন্তত ১৫ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট বেড়ে ৫০ হাজার মিলিয়ন ঘনফুটে উন্নীত হয়। এরপর ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে গ্যাস সরবরাহ কিছুটা কমে যায়। ওই অর্থবছরে বাপেক্সের মোট গ্যাস উত্তোলন ছিল ৪৮ হাজার ২৭৭ মিলিয়ন ঘনফুট। 

২০২৩-২৪ অর্থবছরে গ্যাস সরবরাহ আরও কিছুটা কমে ৪৭ হাজার ১০৪ মিলিয়ন ঘনফুটে নেমে আসে। অর্থাৎ গত তিন অর্থবছরের ব্যবধানে বাপেক্সের গ্যাস সরবরাহ অন্তত তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট কমেছে। যদিও দেশে স্থানীয়ভাবে গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধিতে ২০২৯ সালের মধ্যে মোট ১০০টি কূপ খননের পরিকল্পনা করা হয়েছে। ওই পরিকল্পনায় অর্ধেকের বেশি কূপ খনন করবে বাপেক্স। ওই পরিকল্পনায় বাপেক্স বিজিএফসিএল ও এসজিএফএলের পাঁচটিসহ মোট ৫৭টি কূপ খনন করবে। তার মধ্যে বাপেক্স নিজস্ব রিগ দিয়ে ৩৩টি কূপ খনন করবে। বাকি কূপ বিদেশ থেকে রিগ ভাড়া করে এনে খনন করা হবে। 

এদিকে এ বিষয়ে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মো. ফজলুল হক কোনো মন্তব্য না করলেও বাপেক্সের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, বাপেক্স গ্যাস অনুসন্ধান ও কূপ খনন কার্যক্রমে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি উত্তোলন কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। ওই কাজের তৎপরতা বিবেচনা করলে বাপেক্স অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি কাজ করছে। বাপেক্সের নিজস্ব কূপগুলোর উন্নয়ন ও গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আশা করা যায় এ বছরের শেষ নাগাদ বাপেক্সের গ্যাস উৎপাদন বিগত কয়েক বছরের তুলনায় বাড়বে।

Link copied!