ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
Amar Sangbad

নির্বাচনের আগে সক্ষমতা বাড়ছে পুলিশের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

জুন ২৮, ২০২৫, ১২:০৪ এএম

নির্বাচনের আগে সক্ষমতা বাড়ছে পুলিশের

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে দেশে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে। এই নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। এজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সকল বিভাগ, যেমন পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ব্যাটালিয়ন, ভিডিপি, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী, যৌথভাবে কাজ করবে। নির্বাচনের আগে ও পরে বিশেষ অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। 

নির্বাচনে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই নয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবেন। বিশেষ করে, বেসরকারি স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত থাকবেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর পুলিশের মনোবল ভেঙে যায়, ফলে সারা দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণকারী পুলিশ সদস্যরা পালিয়ে যায়। 

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, আন্দোলন চলাকালে ৪৪ জন পুলিশ সদস্য নিহত হন। নিরাপত্তার অভাবে পুলিশ সদস্যরা থানায় আসতে ভয় পাচ্ছিলেন। পরবর্তীতে, সাধারণ মানুষের সহায়তায় থানাগুলো ধীরে ধীরে আবার সক্রিয় হতে শুরু করে। 

এরইমধ্যে সরকার আগামী বছরের জুনের মধ্যে দেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে মর্মে ঘোষণা করেছেন। তবে সাধারণ জনগণের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, ভোটের আগে নির্বাচনী পরিবেশ বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক হবে কিনা? সাধারণ মানুষ আনন্দ উৎসব করে ভোট দিতে পারবেন কিনা? এ নিয়ে কাজ করছে সরকার এমনটাই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টারা। সাধারণ মানুষের জিজ্ঞাসা, এবারও কি দিনের ভোট রাতে হবে? নাকি যার ভোট সেই দেবে? ভোট উৎসব হবে নাকি বড় দলগুলো প্রভাব বিস্তার করবে? 

তবে সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘যার ভোট সে দেবে। ভোট উৎসবে পরিণত হবে। তরুণরা ভোট উৎসবে মেতে উঠবে। এতে গণতন্ত্র পুনঃরুজ্জীবিত হবে। এ লক্ষে কাজ করছে সরকার। ভোটের আগে একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি হবে।’ 

অন্যান্য উপদেষ্টাদের মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করার আগেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত হয়ে যাবে। এখনই প্রস্তুত রয়েছে তবে আরও একটু প্রস্তুতির দরকার আছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই পুলিশসহ অন্যান্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে। এর বাইরে সেনাবাহিনী রয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে সেনাবাহিনী সবসময়ই প্রস্তুত রয়েছে। নির্বাচন আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হলে এর অন্তত তিন মাস আগে অর্থাৎ ডিসেম্বরের শুরুতে অথবা নভেম্বরের শেষে কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। তফসিল ঘোষণা হয়ে গেলে সবার আগে নির্বাচনী পরিবেশ ঠিক করা হবে। 

সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, নির্বাচনী মাঠে সব দল যাতে সমান সুযোগ পায় এবং ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু হয় সেজন্য ভোটের পরিবেশ নির্ভর করবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক থাকার ওপর। তবে সে সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত থাকবে। র্যাব, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও আনসার বাহিনী প্রস্তুত থাকবেন। নির্বাচনের আগেই প্রতিটি বাহিনীর নতুন রিক্রুটমেন্ট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। নতুন সদস্যরা প্রশিক্ষণ শেষে কাজে যোগ দেবেন। সকলেই ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করবেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা ধীরে ধীরে কাটছে বলে সারাবাংলাকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। এখন থানাগুলোতে নিয়মিত মামলা ও জিডি হচ্ছে। তদন্ত কাজও চলছে। আগের মতো নিয়মিত কাজ হচ্ছে। বেশির ভাগ পুলিশের মানসিকতায় পরিবর্তন আসছে। এখন সাধারণ মানুষ সহজেই থানায় ঢুকে কাজ করতে পারছে; আগে যেখানে থানায় প্রবেশ করতে বিভিন্ন অনুমতির প্রয়োজন হতো, এখন আর কোনো অনুমতি বা হয়রানির শিকার হতে হয় না। এই অগ্রগতি পুলিশের কার্যকারিতা বাড়াচ্ছে এবং তারা সামনের সকল সমস্যা কাটিয়ে ভোটের মাঠে কাজ করতে প্রস্তুত হচ্ছে। 

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, আসন্ন নির্বাচনে দুই লাখ ২৫ হাজার পুলিশ সদস্য, ১০ হাজার র্যাব সদস্য, আড়াই লাখ বিজিবি সদস্য, আড়াই লাখ সেনাবাহিনী এবং ৮ লাখ আনসার-ভিডিপি সদস্য নির্বাচনী দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত হচ্ছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, পুলিশ সবসময় প্রস্তুত থাকে দেশের যেকোনো প্রয়োজনে। ৫ আগস্টের পর বাহিনীতে একটু মনোবল নিয়ে সমস্যা ছিল যা এরইমধ্যে কেটে উঠতে সক্ষম হয়েছে। এখন শুধুই এগিয়ে যাওয়ার পালা। আগামী নির্বাচনে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত থাকবে পুলিশ।

Link copied!