Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৪ মে, ২০২৫,

নাহিদ ইসলাম

আবারও এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা চলছে

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ২৩, ২০২৫, ০৯:৩৯ পিএম


আবারও এক-এগারোর মতো পরিস্থিতি তৈরির পাঁয়তারা চলছে

আবারও এক-এগারোর মতো একটি অস্থির পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। 

শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।

পোস্টে নাহিদ ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিকে সকল প্রকার আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত করে স্বাধীন ও সার্বভৌমভাবে পরিচালনা করাই আমাদের লক্ষ্য। বারবার বাংলাদেশকে বিভাজন ও দুর্বল করে রাখার অপচেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হওয়ার পর আবারও দিল্লি থেকে অস্থিরতা তৈরির ছক কাটা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটি এক-এগারোর বন্দোবস্তের পাঁয়তারা চলছে।”

তিনি দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশপন্থি ও ধর্মপ্রাণ ছাত্র-জনতাকে ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। পাশাপাশি সেনা অফিসার ও সৈনিকদের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ করে নাহিদ ইসলাম লেখেন, “জনগণের প্রতি সংস্কার, বিচার ও ভোটাধিকারের যে প্রতিশ্রুতি তিনি দিয়েছেন, তা রক্ষা করতে হবে। তাঁকে দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিকভাবে সকল সমস্যার সমাধান করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জুলাই ঘোষণাপত্র দিতে হবে, নির্বাচনও নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হতে হবে।”

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারের ভিত্তিতে জুলাই সনদ রচিত হবে এবং জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান হতে হবে। সেই বিচার কার্যক্রমের রোডম্যাপ প্রকাশ করতে হবে। একই সাথে নতুন সংবিধানের জন্য গণপরিষদ ও আইনসভার নির্বাচন আয়োজনের কথাও বলেন তিনি।

এর আগে রাজধানীর ধানমন্ডির একটি হোটেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির যুব উইং ‘জাতীয় যুবশক্তি’র আয়োজিত পরিচিতি ও সাধারণ সভায় বক্তব্য দেন নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, “দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে। এর ফাঁদে পা না দিয়ে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের রাজনীতি ও অস্তিত্বের ভিত্তি হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান। এটি ক্ষমতার পালাবদল নয়, বরং মৌলিক রাষ্ট্র সংস্কারের আন্দোলন। কিন্তু কিছু অংশীদার একে ‘রেজিম চেঞ্জ’ হিসেবে উপস্থাপন করছে, যা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।”

নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই ঘোষণাপত্র শহীদ ও আহতদের জন্য আমাদের উপহার হবে। এ বাস্তবায়নে যত বড় বাধাই আসুক, আমরা তা মোকাবিলা করব। এখন প্রয়োজন সংগঠিত শক্তি।”

তিনি বলেন, “যখন পুরো জাতি রাষ্ট্র সংস্কার চায়, তখন তরুণ নেতারা ক্ষমতার লোভে ব্যস্ত। এই অবস্থায় দেশপ্রেমিক যুবসমাজকে একত্রিত করাই হবে আমাদের মূল লক্ষ্য। যারা ভবিষ্যতে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা ও নতুন প্রজাতন্ত্র গঠনে ভূমিকা রাখবে।”

ইএইচ

Link copied!