ছাত্রদলের নেতৃত্বে ৪ আগস্ট যাত্রাবাড়ী দখলমুক্ত করেছি

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ৪ আগস্ট তিনি যাত্রাবাড়ীর দায়িত্বে ছিলেন। আল্লাহর রহমত ও ছাত্রদলের নেতৃত্বে সেদিন যাত্রাবাড়ী আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসমুক্ত করা হয়েছে। 

অন্যদিকে শাহবাগের দায়িত্বে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ও যুবদলের নেতাকর্মীরা, তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে সেখানে সাফল্য এসেছে।

৩ আগস্ট তিনি শহীদ মিনারে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে হাজার হাজার ছাত্রদলের নেতাকর্মী একত্রিত ও বিচ্ছিন্নভাবে অবস্থান করেছিল।

রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, “আমরা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেছি। তিনি আগেই বলেছিলেন, যে যেভাবে পারবে ঢাকায় প্রবেশ করবে। এর আগে আমরা সারা দেশের ছাত্রদল নেতাকর্মীদের তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছে অবস্থান নিতে বলেছিলাম।”

ছাত্রদল সভাপতি আরও বলেন, “৪ আগস্ট ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছিলেন, এটি তোমাদের শেষ সুযোগ, তোমরা সাড়ে পনের বছর লড়াই সংগ্রাম করেছেন।”

তিনি জানান, ওইদিন শুধু ছাত্রদল নয়, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলকেও একই পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেছেন, রামপুরা, যাত্রাবাড়ী, শাহবাগ, মোহাম্মদপুর, মিরপুর ও উত্তরায় সফল হতে হবে। ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল বিভিন্ন জোন ভাগ করে নিয়েছিল।

সেই সময়ের কথা স্মরণ করে রাকিব বলেন, “আমরা আমাদের সব ইউনিটকে বলেছিলাম, যে যেখানে আছ, সেখান থেকেই লাঠিসোঁটা নিয়ে যেও। কারণ ছাত্রলীগ খালি হাতে আসবে না। সেদিন বুঝতে পারছিলাম আওয়ামী লীগের শেষ পর্যায়, তারা মরণ কামড় দেবে। সকালে আমরা দনিয়া কলেজ ও বর্ণমালা স্কুলের সামনে একত্রিত হয়েছিলাম। দুপুর ১২টায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাত্রাবাড়ী মোড় দখল করতে হবে। এটি সাংগঠনিকভাবে করতে হবে, যেন কেউ পেছনে না সরে যায়।”

তিনি বলেন, “হাজারের ওপরে নেতাকর্মীর সঙ্গে মিছিল শুরু করি। পূবালী মাছ ভাণ্ডার পার হওয়ার সময় ছাত্রলীগ আমাদের ওপর গুলি চালায়। তবুও আমাদের স্পিরিট এত বেশি ছিল যে, কেউ হাল ছাড়েনি। কিছুক্ষণ পর আমরা মোড়টি দখল করি।”

রাকিবুল ইসলাম রাকিব জানান, “সেই সময় সবাই দৌড়ে পালিয়ে যায়; কেউ থানায় ঢুকে, কেউ ধোলাইপাড়ে চলে যায়। পরে আমরা ধোলাইপাড় দখলমুক্ত করি।”

তিনি আরও বলেন, “মিছিল নিয়ে আমরা জুরাইন গিয়েছিলাম। সেখানে আগে থেকেই মাদরাসার শিক্ষার্থীরা ছিল, যারা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সঙ্গে লড়াই করছিল। জুরাইন আমাদের দখলে ছিল।”

ইএইচ