ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ০১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

জেনে নিন ফিতরা আদায়ের নিয়ম-কানুন

আমার সংবাদ ধর্ম ডেস্ক

মার্চ ৩১, ২০২৪, ০৪:৪৪ পিএম

জেনে নিন ফিতরা আদায়ের নিয়ম-কানুন

পবিত্র মাহে রমাদ্বানে আদায় করতে হয় ফিতরা। ‘সাদাকাহ’ মানে দান এবং ‘আল-ফিতর’ মানে রোজা ভেঙে পানাহারের বৈধতা। অর্থাৎ পানাহারের বৈধতার সুযোগ প্রাপ্তিতে কিছু দান করা এবং ‘ঈদুল ফিতর’ মানে পানাহারের বৈধতা দানের আনন্দে খুশি। (কাওয়াঈদুল ফিকহ, ইত্যাদি)

পরিভাষায় সাদাকাতুল ফিতর মানে ‘নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিকের উপর ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদেকের সময় থেকে যে ‘দান’ ওয়াজিব হয়।

মূলত মাহে রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি যে অফুরন্ত নিয়ামত দান করেছেন, তার শোকর হিসেবে এবং রোজা পালনে ত্রুটি-বিচ্যুতির ক্ষতিপূরণ বিবেচনায় সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব করা হয়েছে। ওয়াকি ইবনুল জাররাহ রা. বলেন, ‘সিজদায়ে সাহু যেমন নামাজের ক্ষতিপূরণ, তেমনি সাদাকাতুল ফিতর রোজার ক্ষতিপূরণ’।

কার উপর ওয়াজিব : 

নিসাব পরিমাণ তথা সম্পদশালী ব্যক্তির নিজের পক্ষ থেকে, নাবালক সন্তানদের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর ওয়াজিব হয়। পরিবারস্থ স্ত্রী, কন্যা ও রোজগারবিহীন সাবালক সন্তানের পক্ষ থেকে সাদাকাতুল ফিতর প্রদান করা উত্তম, তবে ওয়াজিব নয়। (হিদায়া, আলমগীরী-১)

পরিমাণ : 

এর পরিমাণ ছোট-বড়, নারী-পুরুষ প্রত্যেকের পক্ষ থেকে আধা সা’ গম-আটা বা এক সা’ যব, কিসমিস, খেজুর, চাল, বাজরা, ভুট্টা ইত্যাদি বা তার মূল্য। (শামি-২, ইত্যাদি)

নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক বলতে জীবিকা নির্বাহের আবশ্যকীয় উপকরণ যথা আবাসগৃহ, পরিধেয় বস্ত্র, খাদ্যদ্রব্য, ঘরের ব্যবহার্য সরঞ্জামাদি ব্যতীত সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ (৮৮ গ্রাম সোনা) বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপা (৬১৩ গ্রাম রুপা) অথবা সমপরিমাণ নগদ অর্থ বা সম্পদ থাকলে নিসাবের মালিক বলা হয়ে থাকে। (আলমগীরী-১, শামি-২)

সর্বশেষ বর্তমান হিসাব মতে, এক সা’ মানে (৩.৩০০ কেজি) তিন কেজি ৩০০ গ্রাম এবং অর্ধ সা’ মানে (১.৬৫০ গ্রাম) এক কেজি ৬৫০ গ্রাম।

জাকাতের অনুরূপ সাদাকাতুল ফিতরের ক্ষেত্রে পুরো বছর নিসাবের মালিক থাকা আবশ্যক নয়। কেবল ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদেকের পূর্ব মুহূর্তে নিসাব পরিমাণ মাল থাকা বিবেচ্য। কেউ যদি ঈদের আগেই ফিতরা প্রদান করে, তা জায়েয; এমনকি উত্তমও বটে।

ব্যক্তির উপর তার দাদা-দাদী, নানা-নানী, বাবা-মা, প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়ে ও স্ত্রীর পক্ষে ফিতরা ওয়াজিব নয়। (আলমগীরী)

যাদের ফিতরা ব্যক্তির উপর ওয়াজিব নয়, তাদের অনুমতি ছাড়া তাদের পক্ষে ফিতরা প্রদান করলে তা সহিহ হবে না। (আলমগীরী : ১)

একজনের ফিতরা একজনকে বা কয়েকজনকে এবং কয়েকজনের ফিতরা একজনকেও দেয়া জায়েজ। (ইমদাদুল-২, মাহদুদিয়া-৩)

রোজা ও ফিতরা দু’টি পৃথক ইবাদত। তাই কোনো কারণে রোজা না রাখলেও ফিতরা দিতে হয়। (আলমগীরী:১)

ঈদের নামাজের আগে আদায় করতে না পারলে ফিতরা মাফ হবে না। পরে তা আদায় করা ওয়াজিব হিসেবে বহাল থাকবে। (হিদায়া-১)

যব, গম, আটা, খেজুর, কিসমিস ইত্যাদির বাজারমূল্যের সমপরিমাণ নগদ অর্থও ফিতরা হিসেবে আদায় করা যায়।

শরিয়তের পক্ষ থেকে ধার্যকৃত ফরজ, ওয়াজিব ইত্যাদি আর্থিক ইবাদতগুলো, যেমন জাকাত, ফিতরা ইত্যাদি বাধ্যতামূলক দানগুলো কেবল মুসলিম ফকির, মিসকিন, ঋণী ও অসহায়দের প্রদান করা যায়; অমুসলিম কাউকে দেয়া যায় না।

লেখক : মুফতি, ইসলামিক ফাউন্ডেশন

এইচআর

Link copied!