ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

ভেতর-বাইরে দুর্বল জাপা!

রফিকুল ইসলাম

জুলাই ৬, ২০২২, ০১:১২ এএম

ভেতর-বাইরে দুর্বল জাপা!

৯ বছরের বেশি সময় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। সরকারের মন্ত্রিপরিষদে ছিলেন দলটির বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য। তবুও ভোট ও মাঠের রাজনীতিতে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি দলটি। জাতীয় বা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে নেই দৃশ্যমান কোনো সফলতা! 

নিজ দলের অভ্যন্তরে দ্বিধাদ্বন্দ্বে বিভক্ত সাংগঠনিক কার্যক্রম! শীর্ষ নেতারা সরকারের পক্ষে সাফাই গেয়ে পার করেছে দীর্ঘ সময়। এর মধ্যে ফের আলোচনায় জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। তার অভিযোগ, এরশাদের মৃত্যুর পর দ্বিধাদ্বন্দ্বে একেবারে এলোমেলো হয়ে পড়েছে জাতীয় পার্টি।

জাপা সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন বিদেশে চিকিৎসাসেবা নিয়ে দেশের ফেরার পর গত শনিবার গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে জাপার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে রওশন এরশাদ মতবিনিময় সভা করেন। 

সে সভায় জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরে দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আজ পল্লীবন্ধু এরশাদ নেই। উনি থাকলে পার্টি অন্যরকম হতো। উনি নেই, তার মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টি একেবারে এলোমেলো হয়ে পড়েছে। রওশন আরও বলেন, যারা অভিমানে দল ছেড়ে চলে গেছে, তাদের দলে ফেরাতে হবে। যাদের অব্যাহতি দেয়া হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে। নতুন প্রজন্মকে দলে আনতে হবে।

 নতুবা জাতীয় পার্টি রাজনীতিতে টিকে থাকতে পারব না। তার এমন বক্তব্যের পর ফের আলোচনায় উঠে এসেছে অন্তঃকোন্দলে ভুগছেন জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা। প্রকাশ্যে আসতে শুরু করেছে সংগঠনের দুর্বলতা। আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আগে এমন দ্বন্দ্ব চলমান থাকলে সংঙ্কটে পড়বে তারা।

তথ্যমতে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে না আশার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বর্তমান সরকার ও কমিশনের অধীনে আর কোনো নির্বাচনে আসবে না দলটি। এ অবস্থায় দ্বাদশে ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কে! ভোটের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ কাকে প্রতিপক্ষ মনে করে নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে! এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকবে জাতীয় পার্টি। তবে দীর্ঘদিন সংসদে বিরোধী দল হিসেবে থাকলেও সফলতার ঝুলি খুব একটা ভারী নয় জাপার। দীর্ঘ দিনেও নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি তারা। সংসদ কিংবা স্থানীয় সরকারের নির্বাচনে বারবার ব্যর্থ হয়েছেন দলটির মনোনীত প্রার্থীরা। ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি সাংগঠনিকভাবে। 

দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও আদায়ে বিরোধী দল হিসেবে কার্যকর আন্দোল গতে তুলতে পারেনি। বরং বিভিন্ন সময়ে ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে বেরিয়ে সরকারের পক্ষে সাফাই গাইতে দেখা গেছে দলটির শীর্ষ নেতাদের। ফলে বিএনপি না এলে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে প্রশ্ন উঠতে পারে জাপার সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে। 

তবে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ভোট ও মাঠের রাজনীতিতে দুর্বল এমন অভিযোগ মানতে নারাজ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতারা। তাদের দাবি— দেশের এক শ্রেণির মানুষ মনে করে, রাজপথে আন্দোলনের নামে অগ্নিসংযোগ, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ, মানুষ পোড়ানো, গাড়ি ভাঙচুর, মানুষ হত্যা করা, রাহাজানি করা, নির্বাচিত হয়ে সংসদে না যাওয়া, সংসদে গিয়ে টেবিল চাপরানো এবং টেবিল ভাঙাভাঙি করলেই সে দল শক্তিশালী।

রাজনীতির মাঠে তাদের জনসমর্থন বেশি। বাস্তবে এমন ধারণা পুরোপুরি ভুল। জাতীয় পার্টি কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি করে না। সত্যিকারের জনপ্রিয় দল হতে হলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন সংগ্রাম এবং রাজনীতি করতে হবে। 

মানুষের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে। তারা আরও মনে করেন, বাংলাদেশের রাজনীতির গতি পরিবর্তন হতে সময় লাগে না। ফলে আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন পরিবেশ কেমন হবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে নির্বাচন জোটবদ্ধ হবে। সেই বিবেচনায় আসন্ন নির্বাচনে অনেক বড় ফ্যাক্ট জাতীয় পাটি। সেই পরিকল্পা মাথায় নিয়েই সাংগঠনিক কার্যক্রম করছে তারা।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশিদ আমার সংবাদকে বলেন, ‘দেশে অনেক বড় রাজনৈতিক দল আছে। তারা মাঠের রাজনীতিতে কী করতে পেরেছে! তাদের মতো আমাদেরও কিছু করার নেই। তবে জাতীয় পার্টি কখনোই দুর্বল নয়। সুযোগ তৈরি হলেই দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নেবে। 

কারণ বর্তমান দুটি দলের (আ.লীগ-বিএনপি) যে অবস্থা। তাদের নিজেদের হানাহানি, মারামারি লেগেই আছে। দেশের মানুষ আর তাদের বিশ্বাস করে না। দেশের মানুষ চায় দুই দল বাদে অন্যরা রাজনীতিতে আসুক। আগামী দিনে জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও ভালো করবে।’ এ বিষয়ে দলের সবাই আত্মবিশ্বাসী। 

বিএনপি নির্বাচনে না আসলে জাতীয় পার্টি প্রধান বিরোধী দল হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য অগ্রিম প্রস্তুতি নিচ্ছে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সংসদ নির্বাচন জোটবদ্ধভাবে হয়। সেই বিবেচনায় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি বড় ফ্যাক্ট। তবে আগামী নির্বাচনে কী হবে! নির্বাচনের পরিবেশ কেমন হবে! তা এখন বলা যাচ্ছে না। কারণ বাংলাদেশের রাজনীতির গতি পরিবর্তন হতে সময় লাগে না।’ 

জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা আমার সংবাদকে বলেন, ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জাতীয় পার্টি সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেছে। আটটি ডিভিশনে অতিরিক্ত মহাসচিবদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তৃণমূলকে সুসংগঠিত করার দায়িত্বপ্রাপ্তরা কাজ করছেন। এই নির্বাচনের মধ্যে দিয়েই আমরা ক্ষমতায় যেতে চাই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার বাইরে। পার্টি কাদা ছোড়াছুড়ির রাজনীতি করে না। জাতীয় পার্টি  দেশ ও দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করে।’

Link copied!